চট্টগ্রাম টেস্টে ভয়ানক ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশের হাল ধরেছেন মুমিনুল হক। দলীয় ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর টেল এন্ডার তাইজুল ইসলামকে নিয়ে ৮৯ রানের জুটি গড়েছেন তিনি। তবুও ফলো-অন এড়াতে পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘ পথ। তাই মাথার ওপর পাহাড়সম চাপ নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছেন ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুইজন। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৩৭ রান।
সফরকারীদের চেয়ে এখনো ৪৩৮ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। এর আগে, দিনের শুরুতে মাঠে নেমেই চার উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। কাগিসো রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক কাইল ভেরাইনিকে ক্যাচ দেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৯ রান।
ঠিক তিন বল পরেই সাজঘরের পথ ধরেন মুশফিকুর রহিম। ডেন পিটারসেনের ডেলিভারি ফ্লিক করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে টনি ডি জর্জিকে ক্যাচ উপহার দেন তিনি। এরপরের ওভারে জোড়া আঘাত হানেন রাবাদা। অফ স্টাম্প তাক করা লেংথ ডেলিভারিটি ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে জমা হয়।
দুই পা না নাড়িয়ে আগেভাগে শট খেলে ফেলে এক রানে বিদায় নেন ইনফর্ম মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজকে ফেরানোর এক বল পরে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকেও সাজঘরে ফেরান রাবাদা। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফাইফার পূর্ণ করেন এই প্রোটিয়া পেসার। জাতীয় দলে অভিষেক ইনিংসে মুশফিকের মতোই দুই বলে শূন্য রান করেন তিনি।
এর আগে, আগের দিনে করা ৪ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান (ডিক্লেয়ার)। প্রোটিয়াদের হয়ে টনি ডি জর্জি ১৭৭, ট্রিস্টান স্টাবস ১০৬ ও মুল্ডার করেছেন ১০৫ রান। এছাড়া, বেডিংহ্যাম ৫৯ ও মুথুস্যামি করেন ৬৮ রান। বল হাতে তাইজুল ইসলাম একাই নেন পাঁচ উইকেট।
বিডি প্রতিদিন/ইই