১০ বছরের শিরোপাখরা কাটিয়ে আইপিএলের গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে এমন মুহূর্ত এনে দেওয়া অধিনায়ক শ্রেয়াশ আইয়ারকে এবার আর শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি রিটেনশন তালিকায় রাখেনি। মেগা নিলামের আগে তাকে ছেড়ে দিলো কলকাতা, যদিও নিলাম থেকেও তাকে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। জানা গেছে, ছেড়ে দেওয়ার আগেও দলে পছন্দের শীর্ষে ছিলেন আইয়ার।
নিলামের আগে সর্বোচ্চ ছয়জন ক্রিকেটার ধরে রেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস। কলকাতার রিটেনশনে আছেন– দুই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারিন। পাশাপাশি রিঙ্কু সিং, বরুণ চক্রবর্তী, হার্ষিত রানা এবং রমনদীপ সিংরাও আসন্ন আসরে তাদের বেগুনি-সোনালি জার্সি গায়ে তুলবেন। এর মধ্যে হার্ষিত ও রমনদীপ আছেন আনক্যাপড হিসেবে। তবে কলকাতায় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক না থাকা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
আইয়ারকে রিটেনশনে না রাখার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন কলকাতার প্রধান নির্বাহী ভেঙ্কি মাইশোর। তিনি বলেছেন, ‘শ্রেয়াস আইয়ার আমাদের রিটেনশন লিস্টের প্রথম নাম ছিল। তবে রিটেনশন প্রক্রিয়া সবসময় একপথে চলে না। এটি কেবল ফ্র্যাঞ্চাইজিরও বিষয় নয়। ফ্র্যাঞ্চাইজিতে থাকতে ক্রিকেটার কী চাচ্ছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই তিনি আমাদের পছন্দের তালিকায় ছিলেন। তিনি আমাদের অধিনায়ক, সে লক্ষ্যেই ২০২২ সালে দলে নেওয়া হয় আইয়ারকে।’
এরপরই কলকাতায় না রাখার বিষয়ে প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় আছে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। যদি কোনো ক্রিকেটার নিজের আর্থিক মূল্য যাছাই করতে চায় এবং সেজন্য নিলাম সবচেয়ে ভালো সুযোগ। তাকে সেটি করতে দেওয়াই উত্তম। কেকেআর সবসময়ই এমন মানসিকতা রাখে এবং তারপর খেলোয়াড়দের সমর্থন জানায়। ব্যক্তিগত পর্যায়ে শ্রেয়াসের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক, তবে এটিও ঠিক যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা তার রয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ