বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতা কাগিসো রাবাদার সামনে আরেকটি স্বীকৃতির হাতছানি। ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’-এর পুরুষ ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই পেসার। অক্টোবরের সেরার লড়াইয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিউ জিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার ও পাকিস্তানের নোমান আলি।
অক্টোবরে দুইটি টেস্ট খেলেন রাবাদা, দুটিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। মিরপুরে প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেন তিনি। যেখানে প্রথম শিকারটি ধরে পূর্ণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩০০ উইকেট; ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে ১২ হাজারের কম ডেলিভারিতে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি (১১ হাজার ৮১৭ ডেলিভারি)। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে বলা যায় একাই গুঁড়িয়ে দেন তিনি। ৪৬ রানে নেন ৬ উইকেট। ম্যাচে তার প্রাপ্তি ৭২ রানে ৯ উইকেট। উপমহাদেশের বাইরের কোনো পেসারের জন্য মিরপুরে সেরা বোলিং এটিই। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন রাবাদা। দ্বিতীয় ইনিংসে তেমন বোলিং করতে হয়নি, থাকেন উইকেটশূন্য। দুই ম্যাচই জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই পারফরম্যান্সে টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ বছর পর শীর্ষে ফেরেন রাবাদা। এবার আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থের স্বীকৃতি জেতা তৃতীয় দক্ষিণ আফ্রিকান হতে পারেন তিনি।
নিউ জিল্যান্ডের হয়ে অক্টোবরে কেবল এক ম্যাচ খেলেই মাস সেরার লড়াইয়ে জায়গা করে নিয়েছেন স্যান্টনার। ভারতের বিপক্ষে পুনে টেস্টে সুযোগ পেয়ে দুর্দান্ত বোলিং উপহার দেন তিনি। ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন বাঁহাতি এই স্পিনার। পুনের টার্নিং উইকেটে স্যান্টনারের বাঁহাতি স্পিনের ধ্রুপদি প্রদর্শনীতে দুই ইনিংসেই ব্যাটিং ধসে পড়ে ভারত। প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানে ৭ উইকেট নেওয়া স্যান্টনার দ্বিতীয়ভাগে নেন আরও ৬টি। জেতেন ম্যাচে সেরার পুরস্কার। স্যান্টনারের ১৫৭ রানে ১৩ উইকেট টেস্টে নিউ জিল্যান্ড বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা। টেস্টের দুই ইনিংসেই অন্তত পাঁচটি করে উইকেট নেওয়া নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় স্পিনার স্যান্টনার। আগের জন ড্যানিয়েল ভেটোরি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত মাসে দুই টেস্ট খেলার সুযোগ পান নোমান। দুই ম্যাচেই বাজিমাত করেন তিনি। দুই ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সিরিজে জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন বাঁহাতি এই স্পিনার। আর এই পারফরম্যান্সে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন মাসে সেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায়। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি নোমানের। ম্যাচটি হেরে তিন ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। পরের দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে বল হাতে দলের ভাগ্য বদলে দেন তিনি। রাওয়ালপিণ্ডিতে ১১ উইকেট নেওয়া স্পিনার মুলতানে ধরেন ৯ শিকার।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ