হারিস রউফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির বোলিং তোপে পড়ে ইনিংসের ৯০ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩৫ ওভার খেলে স্কোরবোর্ডে তুলেছে মাত্র ১৬৩ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে পাকিস্তানের কাছে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হলো অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ১৯৯০ সালে সিডনিতে সর্বনিম্ন ১৬৫ রানে অলআউট হয়েছিলো তারা।
স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের ওপর রীতিমত আগুন ঝরিয়েছেন হারিস রউফ, শানিহন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং মোহাম্মদ হাসনাইনরা। মাত্র ২৯ রানে রউফ পাঁচটি, শানিহন শাহ আফ্রিদি ২৬ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ হাসনাইন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
অ্যাডিলেডে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান মোহাম্মদ রিজওয়ান। ব্যাট করতে নেমে ২১ রানের জুটি গড়েন ম্যাথিউ শর্ট এবং জ্যাক ফ্রেজার ম্যাগার্ক। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ১৩ রান করে আউট হন ম্যাগার্ক। ১৯ রান করে আফ্রিদির বলে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দেন ম্যাথিউ শর্ট।
এরপরই শুরু হয় হারিস রউফের তাণ্ডব। জস ইংলিশকে ১৮ রানে, মার্নাস লাবুশেনকে ৬ রানে আউট করেন তিনি। স্টিভেন স্মিথ কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন; কিন্তু ৩৫ রান করে মোহাম্মদ হাসনাইনের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলকে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের হাতে।
অ্যারোন হার্ডি ১৪ রানে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। বোলার হারিস রউফ। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তো বাইরের বল ভেতরে টেনে এনে বোল্ড হলেন ১৬ রান করে। প্যাট কামিন্সও হারিস রউফের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। সে সঙ্গে ফাইফার পূর্ণ হলো হারিসের।
শুধু তাই নয়, একই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬টি ক্যাচ ধরার রেকর্ডও গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে অবশ্য আরও একজন এক ম্যাচে ৬টি ক্যাচ নিয়েছেন, তিনি সরফরাজ আহমেদ। শেষ পর্যন্ত জাম্পা শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হলে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। জাম্পা ২১ বলে করেন ১৮ রান।