২১ এপ্রিল, ২০১৯ ১০:০৮
নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা

এখনও ঘুরছে সেই ভিডিওগুলো

অনলাইন ডেস্ক

এখনও ঘুরছে সেই ভিডিওগুলো

ফেসবুকে এখনও রয়ে গেছে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে নিরীহ মুসলিমদের হত্যার একাধিক ভিডিও ক্লিপিংস। 

গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় সন্ত্রাসবাদীর গুলিতে নিহত হন ৫০ জন। গোটা হত্যাকাণ্ডের ফেসবুক-লাইভ করেছিল অস্ট্রেলিয়ান জঙ্গি ব্রেনটন ট্যারেন্ট। ১৭ মিনিটের সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।

এ ঘটনার পর লাইভস্ট্রিমিং নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিল ফেসবুক। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ও তার অংশবিশেষ ফেসবুক থেকে মুছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সংস্থাটি জানিয়েছিল, ভিডিওগুলো তাদের নীতিবিরুদ্ধ। তাই অবিলম্বে মুছে দেওয়া হবে। কিন্তু ঘটনার এক মাস পরও ভিডিওটির অংশবিশেষ ঘুরছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

শুক্রবার এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, “বিশ্বের সব চেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কে ওই নৃশংস ভিডিওর একাধিক ক্লিপিংস রয়েছে!”

ক্লিপিংসগুলো বেশির ভাগই এক থেকে দেড় মিনিটের। যে কেউ দেখতে পারেন। একটি ১ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই শ্বেতাঙ্গ জঙ্গি মসজিদে ঢুকল এবং তারপর গুলি চালাতে শুরু করল। এমনও একটি ভিডিও পাওয়া গেছে, যাতে আলাদা করে চিহ্নিত করা, “নৃশংস দৃশ্য রয়েছে।” কিন্তু সতর্কবার্তা সত্ত্বেও কেন ফেসবুক থেকে মুছে ফেলা হয়নি ভিডিওটি, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ফেসবুকের মুখপাত্র অবশ্য দাবি করেছেন, ভিডিওগুলো তাদের নীতি-বিরুদ্ধ। সব ভিডিও মুছে দেওয়া হয়েছে।”

১৫ মার্চের ওই শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসের মূল ভিডিওটি মুছে ফেলার আগেই ৪ হাজার বার দেখা হয়েছিল সেটি। ফেসবুক থেকে পরে ভিডিওটির অংশবিশেষ ছড়িয়ে পড়ে টুইটার, ইউটিউবেও। লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিডিওগুলো দেখেন। এ ঘটনার পরে লাইভ নিয়ে কড়া হবে বলে জানিয়েছিল ফেসবুক।

সংস্থারটির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বিষয়টিকে হাল্কা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতি-ই যে রাখেনি ফেসবুক, তা বর্তমান রিপোর্টে স্পষ্ট। এ মাসের গোড়াতেই নিউজিল্যান্ডের প্রাইভেসি কমিশনার জন এডওয়ার্ড বলেন, ফেসবুক ‘নীতিগতভাবে ফাঁপা ও মিথ্যাবাদী’।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর