বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

সৌরজগতে এক গ্রহাণুর তিন চাঁদ!

রকমারি ডেস্ক

সৌরজগতে এক গ্রহাণুর তিন চাঁদ!

মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে ইলেক্ট্রা গ্রহাণু আবিষ্কার হয় ১৮৭৩ সালে। এর প্রথম চাঁদের সন্ধান মেলে ইলেক্ট্রা আবিষ্কারের ১৩০ বছর পর, ২০০৩ সালে; দ্বিতীয়টি ২০১৪ সালে। আর তৃতীয়টি আবিষ্কারের তথ্য প্রকাশ হয় গত মাসে...

মহাকাশ গবেষণায় সুখবর দিলেন বিজ্ঞানীরা। প্রথমবারের মতো সৌরজগতের একটি গ্রহাণুতে তিনটি চাঁদ বা উপগ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ১৩০ ইলেক্ট্রা নামে ওই গ্রহাণুর অবস্থান মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে থাকা গ্রহপুঞ্জের মধ্যে।

থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অ্যান্টনি বারডেউ এর নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল তাদের গবেষণাপত্রে এ গ্রহাণুর কথা উল্লেখ করে লিখেছেন- ইলেক্ট্রা হলো এ যাবৎকালে শনাক্ত হওয়া প্রথম চতুর্মুখী সিস্টেম। তারা জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো তিন চাঁদ বা স্যাটেলাইট আছে এমন গ্রহাণুর সন্ধান পাওয়া গেছে। মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে থাকা গ্রহাণুপুঞ্জে এর অবস্থান।

দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে বলা হয়েছে- সেখানে তিন চাঁদের এ গ্রহাণুর কথা বলা হয়েছে। ইলেকট্রা গ্রহাণু আবিষ্কার হয় ১৮৭৩ সালে। এর প্রথম চাঁদের সন্ধান মেলে ইলেকট্রা আবিষ্কারের ১৩০ বছর পর, ২০০৩ সালে; দ্বিতীয়টি ২০১৪ সালে। অবশ্য গ্রহাণুর উপগ্রহ খুঁজে পেতে সময় লাগার কারণও আছে। গ্রহাণুগুলো আকারে ছোট এবং এবং নক্ষত্রের আলোতে নিজেই বেশি আলোকিত থাকে। তাই গ্রহাণুকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা উপগ্রহগুলো অপেক্ষাকৃত কম আলো ছড়ায়। এ জন্যই গ্রহাণুর উপগ্রহ বা চাঁদ শনাক্ত করা সহজ নয়।

সায়েন্স অ্যালার্টের খবরে বলা হয়েছে- নতুন চাঁদের সন্ধানে বারডুর দল ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপের সাহায্য নিয়েছে। টেলিস্কোপের স্পেস শেয়ার থেকে তথ্য নেন বিজ্ঞানীরা। তারপর সেসব থেকে অপ্রয়োজনীয় উপাদান (নয়েজ) একটি যন্ত্রের সাহায্যে আলাদা করেন। এ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৪ সালে। পর্যবেক্ষণ চলে টানা সাত বছর। এ সময়ের মধ্যে ২২ দিনে বিজ্ঞানীরা নতুন চাঁদটিকে দেখেছেন ১২০ বার। বিজ্ঞানীরা নতুন চাঁদের নাম রেখেছেন আগের দুটির সঙ্গে মিলিয়ে। তৃতীয়টির নাম দেওয়া হয়েছে এস/২০১৪ (১৩০) ২। প্রথম আবিষ্কৃত চাঁদটির নাম এস/২০০৩ (১৩০) ১ এবং দ্বিতীয়টির নাম এস/২০১৪ (১৩০) ১। এস/২০০৩ (১৩০) ১-এর ব্যাস ছয় কিলোমিটার। প্রায় এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে এটি ইলেক্ট্র্রাকে প্রদক্ষিণ করছে। আর এস/২০১৪ (১৩০) ১ দুই কিলোমিটার ব্যাসের। এটির কক্ষপথের গড় দূরত্ব ৫০০ কিলোমিটার। নতুন আবিষ্কৃত চাঁদ এস/২০১৪ (১৩০) ২-এর ব্যাস ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার। কক্ষপথের গড় দূরত্ব ৩৪০ কিলোমিটার। মহাকাশে এ পর্যন্ত ১১ লাখের বেশি গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এগুলোর মধ্যে ১৫০টির বেশির আছে অন্তত একটি করে চাঁদ।

সর্বশেষ খবর