একসময় কিবোর্ডের প্রতিটি বাটনের আলাদা গুরুত্ব ছিল। টাইপরাইটার থেকে শুরু করে আধুনিক কম্পিউটারের যাত্রায় এই বাটনগুলো নানান কাজ সহজ করেছে। কিন্তু প্রযুক্তি বদলেছে, বদলেছে আমাদের কাজের ধরনও। ফলে কিছু বাটন আজ কেবল জায়গা দখল করে আছে, ব্যবহার হয় খুব কম বা একেবারেই হয় না। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট মেকইউজঅব সম্প্রতি এমন ছয়টি কিবোর্ড বাটনের কথা জানিয়েছে, যার প্রয়োজন আজ প্রায় নেই বললেই চলে।
স্ক্রল লক : আলো জ্বালিয়ে বিভ্রান্তি : একসময় স্ক্রল লক দিয়ে নির্ধারণ করা যেত, তিরচিহ্নের কি কার্সর সরাবে, নাকি পুরো স্ক্রিন স্ক্রল করবে। কিন্তু মাউসের স্ক্রল হুইল আসার পর এই বাটনটি প্রায় অচল। এখন শুধু কিছু পুরোনো স্প্রেডশিট সফটওয়্যারে এর আংশিক ব্যবহার দেখা যায়।
পজ/ব্রেক : পুরোনো কম্পিউটারের স্মৃতি : এই বাটন ছিল আগের যুগের জরুরি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা-কোনো কমান্ড থামাতে বা সিস্টেম চালুর সময় লেখা থামাতে ব্যবহার হতো। আজ এটি ডেভেলপারদের হাতে টিকে আছে। ব্যবহারকারীদের কাছে যা অপ্রয়োজনীয়।
‘ইনসার্ট’ ভুলে চাপলে বিপদ : ইনসার্ট বাটন ভুল করে চাপলে লেখা মুছে যাওয়ার বিপত্তি ঘটতে পারে। ওভারটাইপ মোডে নতুন লেখা পুরোনো লেখাকে সরিয়ে দেয়, যা অনেক সময় বিপর্যয় ডেকে আনে। আজকাল আধুনিক অনেক সফটওয়্যার এটি সমর্থন করে না।
‘নাম লক’ বিভ্রান্তির রাজা : এটি সংখ্যা টাইপের সুবিধার বাটন, কিন্তু একবার ভুলে বন্ধ করে দিলে সংখ্যাগুলো কাজ করে না, বদলে সক্রিয় হয় অ্যারো বা হোম অ্যান্ড কি। তাই অনেকে এটি অন অবস্থায় রাখে।
‘মেনু’ ডান ক্লিকের বিকল্প, তবু অচল : মাউসের ডান ক্লিক না থাকলে এ বাটন দিয়ে অপশন মেনু খোলা যায়। কিন্তু বাস্তবে এর ব্যবহার প্রায় শূন্য। উইন্ডোজ ১১ ডিভাইসে এটি বাদ দিয়ে এখন ‘Copilot’ বাটন দেওয়া হচ্ছে-আরও কার্যকর বিকল্প হিসেবে।
‘ক্যাপস লক’ ছোট ভুলে বড় বিরক্তি : সবচেয়ে বিতর্কিত বাটন সম্ভবত এটিই। ভুল করে চাপলে পুরো লেখা বড় হাতের হয়ে যায়, পাসওয়ার্ড ভুল হয়, বার্তা রূঢ় মনে হয়। টাইপরাইটারের যুগে দরকারি হলেও এখন এটি কেবল অভ্যাসের জড়তা। গুগল তাদের ক্রোমবুক কিবোর্ডে এর জায়গায় সার্চ বাটন যুক্ত করেছে, যা সময়োপযোগী পদক্ষেপ।