দুই শতাব্দীরও বেশি সময় বেঁচে থাকে বোহেড তিমি- পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘজীবী স্তন্যপায়ী প্রাণী। এবার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এ তিমির শরীরের এক বিশেষ জৈব প্রক্রিয়া মানুষের বার্ধক্য কমাতে সহায়তা করতে পারে।
গার্ডিয়ান জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব রচেস্টারের গবেষক ভেরা গর্বুনোভার নেতৃত্বে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, বোহেড তিমির কোষ ডিএনএ ক্ষতি সারাতে অত্যন্ত দক্ষ। বিশেষ করে ডিএনএ-এর দুটি সূত্র একসঙ্গে ভেঙে গেলে সেটি মেরামতে এদের অসাধারণ সক্ষমতা রয়েছে, যার ফলে ক্যানসারসহ বয়সজনিত রোগের ঝুঁকি অনেক কমে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, তিমির শরীরে ‘সিআইআরবিপি’ (CIRBP) নামের এক প্রোটিন ডিএনএ সারানোর ক্ষমতা বাড়ায়। এই প্রোটিন ঠান্ডার সংস্পর্শে সক্রিয় হয়, আর তিমিরা ঠান্ডা আর্কটিক জলে বাস করার কারণে মানুষের তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ বেশি সিআইআরবিপি তৈরি করে।
মানুষের কোষে এ প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ালে ডিএনএ সারানোর সক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ হয় বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। মাছির ওপর পরীক্ষাতেও দেখা গেছে, অতিরিক্ত সিআইআরবিপি আয়ু বৃদ্ধি ও বিকিরণজনিত ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।
বিজ্ঞানীরা এখন ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালাচ্ছেন এবং পরীক্ষা করছেন, ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কাটা বা ঠান্ডা শাওয়ার নেওয়া মানুষের শরীরে এই প্রোটিনের মাত্রা বাড়াতে পারে কি না।
তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান