শোনা যাচ্ছে, একেবারে হারিয়ে যাবে না ভলিউম বা পাওয়ার সুইচ। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে আসছে আইফোন ১৫-এর প্রো এবং প্রো ম্যাক্স সংস্করণে যান্ত্রিক ভলিউম ও পাওয়ার বাটনের বদলে আসতে পারে ‘সলিড-স্টেট’ টগল, আর এতে থাকবে ‘হ্যাপটিক ফিডব্যাক’ প্রযুক্তি।
অ্যাপল বিশ্লেষক মিং-চি কুও’র তথ্য অনুযায়ী, ‘আইফোন ৭’-এ সর্বপ্রথম আসা ‘সলিড-স্টেট হোম’ বাটনের মতো কাজ করতে পারে এসব টগল, যেগুলো শারীরিকভাবে চাপ দিয়ে নিচে নামানো না গেলেও ব্যবহারকারীর স্পর্শে কেঁপে ওঠে। কেজিআই সিকিউরিটিজের এই বিশ্লেষকের খ্যাতি রয়েছে অ্যাপলের আসন্ন পণ্য প্রযুক্তি নিয়ে প্রায় নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করার। ‘আইফোন ৮’-এর পাশাপাশি দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বাজেট-বান্ধব ‘আইফোন এসই’-তেও আছে এই বাটন। অ্যাপলের ‘ট্যাপ্টিক ইঞ্জিনের’ মাধ্যমে চলে এগুলো। একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘আইওএস ১৬’তে হ্যাপটিক কিবোর্ড সুবিধা চালু করেছে অ্যাপল। ম্যাকবুকের ‘ফোর্স টাচ’ ট্র্যাকপ্যাডেও এটি ব্যবহৃত হয়েছে। এক টুইটে কুও বলেছেন, ‘ফোর্স ফিডব্যাকের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে হাতে স্পর্শ করা বাটন চাপের অনুভূতি’ দিতে আইফোনের আসন্ন মডেল দুটির ডান ও বামপাশে দুটি ট্যাপটিক ইঞ্জিন যোগ করতে হবে অ্যাপলকে। এর ফলে, আইফোন ১৫-তে ট্যাপটিক ইঞ্জিনের সংখ্যা এক থেকে তিনে বেড়ে দাঁড়াবে। বিশ্লেষণে অবশ্য মূল আইফোন ১৫ ও এর প্লাস মডেলের কথা উল্লেখ করেননি কুও। এর ফলে ইঙ্গিত মিলছে, সম্ভবত আগের মতোই ‘ক্লিকযোগ্য’ পাওয়ার ও ভলিউম বাটন থাকবে এই দুই মডেলে। ২০১৮ সালে অ্যাপল ওয়াচেও এই সলিড-স্টেট বাটন চালুর ইঙ্গিত মিলেছিল। তবে, এখন পর্যন্ত সেটির বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি, ৭৯৯ ডলারের নতুন ‘ওয়াচ আল্ট্রা’-তেও এখনো বাটন রেখেছে অ্যাপল। আইফোন ১৫ আসতে এখনো এক বছরের মতো বাকি। এরই মধ্যে আসন্ন ডিভাইসটি নিয়ে বেশ কিছু খবর রটেছে। এর মধ্যে আছে, ব্র্যান্ডিংয়ে নাম ‘প্রো ম্যাক্স’ থেকে বদলে ‘আল্ট্রা’ করা। পাশাপাশি, কেবল প্রো সংস্করণ নয়, সব মডেলে ‘ডাইনামিক আইল্যান্ড’ সুবিধা আনার কথাও চাউর হয়েছে। পাশাপাশি আইফোন ১৫-এর হাত ধরেই হয়তো অ্যাপলের ফোনে চালু হতে পারে ইউএসবি-সি যুগ।