‘থ্রিডি প্রিন্ট’ প্রযুক্তিতে তৈরি বিশ্বের প্রথম রকেট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। থ্রিডি প্রযুক্তি রকেট নির্মাণের সময় ও ব্যয় উভয় অনেক সাশ্রয়ী করে তুলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ‘টেরান-১’ নামের রকেটটি গত বুধবার উৎক্ষেপণের কথা ছিল। জ্বালানির তাপমাত্রাজনিত সমস্যার কারণে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়। এটি নির্মাণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার উদ্ভাবনী উদ্যোক্তা (স্টার্টআপ) প্রতিষ্ঠান ‘রিলেটিভিটি স্পেস’। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, উৎক্ষেপণের ধাক্কা সামাল দিয়ে মহাকাশযাত্রার জন্য রকেটটি কতটা সক্ষম তার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহই এ পরীক্ষার লক্ষ্য। টেরান-১ রকেটকে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত কক্ষপথে স্থাপন করা সম্ভব হলে এটি হবে মিথেন জ্বালানি ব্যবহার করে প্রথম চেষ্টায়ই কাজটি করতে পারা প্রথম বেসরকারি অর্থায়নে নির্মিত রকেট। টেরান-১ রকেটের উচ্চতা ১১০ ফুট। ব্যাস সাড়ে সাত ফুট। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ইঞ্জিনসহ এর ৮৫ শতাংশ অংশই থ্রিডি প্রযুক্তিতে সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি হয়েছে। ‘রিলেটিভিটি স্পেস’ বলেছে, এটি এ পর্যন্ত বিশ্বে থ্রিডি প্রযুক্তিতে তৈরি বৃহত্তম বস্তু। প্রতিষ্ঠানটি এখন ৯৫ শতাংশ থ্রিডি প্রযুক্তির রকেট তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচে অবস্থিত কোম্পানি রিলেটিভিটি স্পেস বলছে, প্রথাগত রকেটের তুলনায় ১০০ ভাগের এক ভাগ যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয় থ্রিডি প্রযুক্তির রকেটে। কাঁচামাল থেকে ৬০ দিনের মধ্যেই এ রকেট নির্মাণ করা যায়। সুতরাং এ প্রযুক্তি বেশ সাশ্রয়ী ও সহজসাধ্য।