মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

নান্দনিক রঙে রাজশাহীর পদ্মাপাড়

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

নান্দনিক রঙে রাজশাহীর পদ্মাপাড়

পরিচ্ছন্ন নগরী রাজশাহী শহরকে আরও সৌন্দর্যময় করতে পদ্মার পাড়ে ঝুলন্ত সেতুসহ নানা স্থাপনা নান্দনিক রঙে রাঙানো হচ্ছে। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত, শরৎ সব ঋতুতেই অগণিত মানুষের আনাগোনা পদ্মাকে ঘিরে। গ্রীষ্মে পানি শুকালেই পাওয়া যায় ধু-ধুময় পদ্মা। সৃষ্টি হয় ছোট সবুজ গাছ আর কাশবন। বর্ষায় জলে টইটুম্বুর পদ্মা জনগণকে আতঙ্কিত করলেও সবসময় মানুষকে কাছে টানে। এ সময় পদ্মার পাড় বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উৎসবে জমজমাট থাকে। এ ছাড়াও সকাল ও বিকাল অসীম আকাশ ও নির্মল বাতাস অনুভবে পদ্মাতীরে ভিড় যেন চিরচেনা। যা বিনোদন পিয়াসীদের কাছে টানে। তাই ঘোরাঘুরির স্পট হিসেবে প্রথম পছন্দ এই পদ্মা নদী।

সকাল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে খানিক রাত অবধি পদ্মার কূলে মানুষের আনাগোনা। তারুণ্যের ঢেউ রাজশাহীর পদ্মা নদীর অন্তত ১০ কিলোমিটার জুড়ে। জলরাশির পাশে খানিকটা আনন্দের ঢেউ। শান্তির সুবাতাস। আর ভরা পদ্মার নৈসর্গিক রূপে মানুষের টান থাকে সর্বক্ষণ। সারা দিন হইচই, আনন্দে মাতামাতি, ছোট ছোট নৌকায় পাড়ি দেওয়া এসব নিয়ে মুখর থাকে পদ্মার পাড়।

নগরীর বুলনপুর থেকে বড়কুঠি ও পঞ্চবটী হয়ে সাতবাড়িয়া। দীর্ঘ প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মার পাড় এখন রাজশাহীবাসীর জন্য বিনোদনের সেরা ঠিকানা। সকাল, দুপুর সবসময় পদ্মাকে ঘিরে নতুন প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর এখন পদ্মার পাড়। পাড়ে নির্মিত হয়েছে ওয়াকওয়ে ও দৃষ্টিনন্দন আলপনা আঁকা ঝুলন্ত সেতু। কারুকাজ, সবুজের নান্দনিকতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার এক শৈল্পিক রূপসহ বহুমাত্রিক নাগরিক সুবিধায় অত্যাধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে উঠছে মহানগরী।

নদী ভ্রমণে আগ্রহীদের জন্য সবসময় প্রস্তুত আছে ছোট নৌকা। রাতের আঁধারে রঙিন আলোয় আরও ফুটে ওঠে এ জায়গার অন্য চেহারা। ‘বহির্নোঙর’ আর ‘সীমান্ত নোঙর’ পেরিয়ে সামান্য হাঁটাপথ পেরোলেই চোখে পড়ে সুদৃশ্য গ্যালারি সমৃদ্ধ মুক্তমঞ্চ। এটি লালন শাহ পার্ক। আঁকাবাঁকা সিঁড়ির মতো সাজানো-গোছানো গ্যালারিতে বসে অনায়াসে দেখা যায় পদ্মার রূপ।

সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, নগরীর বিনোদনপ্রেমীদের প্রিয় জায়গা পদ্মার পাড়। এ কারণে পদ্মার পাড় ঘিরে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে সৌন্দর্য বাড়াতে নেওয়া হয়েছে নানা প্রকল্প। এই কাজ শেষ হলে মানুষকে আরও বেশি আকর্ষণ করবে পদ্মার তীর।

সর্বশেষ খবর