বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সঠিক সেরাম নির্বাচন

সঠিক সেরাম নির্বাচন

রূপচর্চায় সেরামের ব্যবহার নতুন নয়। একটি ভালো মানের সেরাম মুখত্বকে দিন ও রাতের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। সেরাম সাধারণত ঘনীভূত ও সক্রিয় অবস্থায় থাকে। এতে রয়েছে সূক্ষ্ম, সিল্কি টেক্সার; যা ত্বককে করে কোমল। সেরামের প্রয়োগ বেশ সহজ এবং এটি ত্বকের যত্নে দ্রুত কাজ করে। তাই ত্বকের নিয়মিত পরিচর্যায় অনায়াসে রাখতে পারেন সেরাম।

সেরাম ত্বকের বার্ধক্য বা অন্যান্য ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের মলিনতা, পিগমেন্টেশন, ব্রণের জেদি দাগ, ব্ল্যাক হেডস, উন্মুক্ত লোমকূপ এবং অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। সেরাম সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে, যদি এটি সরাসরি এক্সফোলিয়েন্টের পর ব্যবহার করেন। তবে ত্বকের উপকারী এই উপাদানটি ব্যবহারের আগে সঠিক পণ্যটি বাছাই অত্যন্ত জরুরি। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ভালো ফলাফলের জন্য নিজের প্রয়োজন বুঝে সেরাম ব্যবহার করা উচিত। অর্থাৎ ত্বকের ধরন এবং এর সাধারণ অবস্থার ওপর নির্ভর করে সেরাম নির্বাচন করা উচিত। কেননা, আমাদের প্রত্যেকের ত্বক আলাদা। আর যে পণ্য শুষ্ক ত্বকে মানানসই তা তৈলাক্ত ত্বকের সঙ্গে মানানসই নয়। চেন্নাইয়ের আর্বান কোম্পানির ত্বক বিশেষজ্ঞ বনশ্রী দেবদা ত্বকের জন্য মানানসই সেরাম বাছাই করার উপায় সম্পর্কে যেসব তথ্য দিয়েছেন তা নিম্নরূপ...   

ত্বকের ধরন বোঝা : প্রত্যেকের ত্বক আলাদা। শুষ্ক ত্বকের তেলযুক্ত হায়ালুরনিক অ্যাসিড খুব ভালো কাজ করে। এটি নিবিড়ভাবে ত্বকের পৃষ্ঠকে পুষ্ট করে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে ও সতেজভাব আনে। তৈলাক্ত ও ব্রণ প্রবণ ত্বক হলে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, রেটিনল বা নিয়াসিনামাইড সেরাম ভালো কাজ করে। সাধারণ ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ভিটামিন সি বা হায়ালুরনিক অ্যাসিড বেছে নেওয়া ভালো।

বয়স অনুযায়ী সেরাম : সেরাম শক্তিশালী ও সক্রিয় উপকরণে তৈরি। তাই প্রথম ব্যবহারের সময় কম মাত্রার উপকরণ বেছে নিন এবং ধীরে ধীরে এর মাত্রা বাড়াতে হয়। কৈশোরে ত্বক পরিচর্যায়- ক্লিঞ্জিং, ময়েশ্চারাইজিং ও সানস্ক্রিনই যথেষ্ট। বয়স বিশের শুরুতে নিয়াসিনামাইড বা হায়ালুরনিক অ্যাসিড ব্যবহার করা ভালো। বয়স ত্রিশের কাছাকাছি হলে রেটিনল ব্যবহার করা উপকারী। 

ত্বকের সমস্যা খুঁজে বের করা : ত্বকে বর্ণের সামঞ্জস্যহীনতা, কালো দাগ, ব্রণের দাগ ইত্যাদি সমস্যা থাকলে আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড যেমন- গ্লাইকোলিক অ্যাসিড/ল্যাক্টিক অ্যাসিড, অ্যাজেলেইক অ্যাসিড, ভিটামিন সি এবং কজিক অ্যাসিড খুব ভালো কাজ করে। বয়সের ছাপ কমাতে রেটিনল সমৃদ্ধ সেরাম বেছে নেওয়া উপকারী। তবে সব সক্রিয় উপকরণ একসঙ্গে ব্যবহার শুরু করা ঠিক নয়। এতে ত্বকের ভালোর চেয়ে খারাপ বেশি হয়। একবারে যে কোনো একটি সক্রিয় উপাদান ব্যবহার শুরু করতে হবে। আর বয়স, ত্বকের ধরন ও সমস্যা বুঝে ত্বকের স্বাস্থ্য, উজ্জ্বলতা ও কোমলতা ফুটিয়ে তুলতে কার্যকর সেরাম বেছে নিতে হবে। ত্বকে কোনো শক্তিশালী উপাদান ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

তথ্যসূত্র : বি বিউটিফুল

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর