ঘন ‘ভ্রু’ আর লম্বা ‘পলক’ আজকালের ট্রেন্ডি লুক। আর ২০২৫ সালের বিউটি ট্রেন্ডে চোখে পড়ছে ল্যাশ ও ব্রো সেরামের জনপ্রিয়তা। যারা মেকআপে খুবই সাদামাটা (মিনিমাল) থাকতে চান, তাদের জন্য এটি দারুণ সমাধান। তবে সত্যিই কি এটি কাজ করে?
এই সেরামে কী আছে
স্কিন ও হেয়ার এক্সপার্ট ডা. শেফালী ট্রাসি নেরুরকার বলেন, বেশির ভাগ ভ্রু সেরামে থাকে মিনোক্সিডিল, পেপটাইড, বায়োটিন এবং ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘ই’। এগুলো চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়, ভ্রু ঘন করে। সঙ্গে থাকে ল্যানথেনল, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড আর কেরাটিন, যা ভ্রুর ত্বক হাইড্রেট করে ও ময়েশ্চারাইজ রাখে। কিছু সেরামে আবার প্রাকৃতিক উপাদান যেমন উদ্ভিদ নির্যাস, ফ্যাটি এসিড ও গ্রোথ ফ্যাক্টর (যেমন-প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন) থাকে। যা চুল গজাতে সহায়তা করে। ল্যাশ সেরামেও একই রকম উপাদান থাকে, প্রোস্টা গ্ল্যান্ডিন, বায়োটিন, প্যানথেনল, ক্যাস্টর ও জোজোবা অয়েল। যা পলকের গোড়া শক্ত করে তোলে, নতুন চুল গজায় ও পলক মজবুত রাখে।
এটি সত্যিই কার্যকরী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ল্যাশ ও ব্রো সেরাম আসলে চুলের নিচের ত্বকে কাজ করে। এতে ভ্রু ও পলক ঘন হয়। এই সেরামগুলো চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দেয়। সেই সঙ্গে চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করে। এমনকি কিছু সেরাম ত্বক হাইড্রেশন, ইউভি সুরক্ষা ও বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
প্রয়োজনীয় সতর্কতা
বেশির ভাগ সেরাম যদিও নিরাপদ, তবে উপাদান ভালোভাবে দেখে ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে প্রোস্টা গ্ল্যান্ডিন জাতীয় উপাদান থেকে চোখ লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া, চুলকানি, পানি পড়া। এমনকি চোখের চারপাশে দাগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। মিনোক্সিডিল ব্যবহারে ত্বকে শুষ্কতা বা ফাটার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই সেরাম ব্যবহারের আগে এক্সপার্টের পরামর্শ নেওয়া ভালো। সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহারও জরুরি।
তথ্যসূত্র : হার্পার্স বাজার ডটকম