মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মিলনের জন্য চাঁদপুরে হতাশার ছায়া

নেয়ামত হোসেন, চাঁদপুর

মিলনের জন্য চাঁদপুরে হতাশার ছায়া

চাঁদপুরের কচুয়ায় বিএনপির কাণ্ডারি ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে মনোনয়ন না দেওয়ায় নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে দীর্ঘদিন কারা নির্যাতিত নেতা ড. মিলন সংগত কারণেই মনোনয়ন পাওয়ার কথা। বিগত ১২ বছরে কচুয়ায় ৩ শতাধিক মামলায় হাজার হাজার কর্মী কারাবরণ করেছেন দল ও মিলনকে ভালোবেসে। তাই দলীয় এ সিদ্ধান্তে কচুয়ার নেতা-কর্মী তথা জেলাবাসীকে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়। মিলন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে নকলমুক্ত পরিবেশ ও ইলিশ (জাটকা) রক্ষা কার্যক্রমে সফলতা দেখিয়েছেন। উপজেলা বিএনপি সেক্রেটারি খায়রুল আবেদীন স্বপন বলেন, ‘পরীক্ষিত ও কাক্সিক্ষত নেতা সাবেক সংসদ সদস্য ও সফল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় আমরা প্রচণ্ড দুঃখ পেয়েছি। এমনকি কেউ কেউ আবেগতাড়িত হয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ে এবং চেয়ারপারসনের দফতরের সামনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের এ ক্ষোভ-দুঃখ ও অভিমান কেবলই বুঝতেন ড. মিলন। যেহেতু মিলন এখন কারাগারে বন্দী, তাই নেতা-কর্মীদের বোঝাবেন কে?’ জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুন্নবী সুমন বলেন, ‘এই দুঃখ, ক্ষোভ ও হতাশা আমাদের দুর্দিনের পরীক্ষিত নেতা মিলনের চেয়ে কেউ ভালো বোঝেন না। তাই দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে, দুঃসময়ে যখন আমাদের নেত্রী ও গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দী এবং আমার নেতা ড. মিলন কারাবন্দী তখনই দলের এমন কঠিন সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে নিতে বুকের পাঁজর ভেঙে যাচ্ছে।’ মিলনের ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনে শহীদ জিয়ার হাত ধরেই বিএনপিতে মিলনের আগমন। দল যাকে ভালো মনে করেছে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আমরা সবাই বিএনপি ও দলকে ভালোবাসি এবং ভালোবাসব। দলে ছিলাম, আগামীতেও থাকব।’ কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাবেক সহসভানেত্রী নাজমুন্নাহার বেবী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আমরা দেখাতে পারি না যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করে। আপনারা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারেন বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগতভাবে আমার মানসিক অবস্থা কেমন! একদিকে অনেক প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে আমার স্বামী (ড. মিলন) কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে এক অনিশ্চিত দিন কাটাচ্ছেন; অন্যদিকে আমাদের একমাত্র সন্তান তার পরীক্ষার কারণে একাকী পড়ে আছে সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারে। পিতার সামগ্রিক পরিণতিতে প্রচণ্ডভাবে ভেঙে পড়া মেয়েটি নাওয়া-খাওয়া ভুলে করুণ কান্নায় দিনাতিপাত করলেও তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার কোনো ভাষা আমার জানা নেই। এ সিদ্ধান্ত মাথা পেতে মেনে নেওয়াটাই আমার সামনে একমাত্র পথ।’  তিনি বলেন, ‘আশা করি সামগ্রিক পরিস্থিতি আমার নেতা-কর্মীরা ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন।’

 

সর্বশেষ খবর