আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে গাইবান্ধায় কলেজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ‘যুক্তির সৌন্দর্যে বাঁধি সৌহার্দ্যর সেতু’ স্লোগানকে উপজীব্য করে সুরবাণী সংসদ মিলনায়তনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. খলিলুর রহমান।
দিনব্যাপী উৎসবমুখর এই প্রতিযোগিতায় গাইবান্ধা সরকারি কলেজের চারটি দলে তিনজন করে ১২ জন বিতার্কিক অংশ নেন। ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে লিগ পদ্ধতি এবং পরবর্তীতে নক আউট পদ্ধতিতে সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে শহীদ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় ‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে দুর্নীতিই প্রধান অন্তরায়’ বিষয়ে অংশ নেন দ্বিতীয় বর্ষের রাকিবা সুলতানা এবং তার দলের সুবাহ ও অর্ক এবং প্রথম বর্ষের শামসুন্নাহার নাহার ও তার দলের হাদি ও গালিব। এতে রাকিবার দল বিচারকদের কাছে ৩৯ নম্বর পেয়ে চ্যাম্পিয়ন এবং নাহারের দল ৩৭ পেয়ে রানার্স আপ হয়। রাকিবা হন শ্রেষ্ঠ বক্তা। পক্ষ-বিপক্ষের সমর্থক হয়ে প্রতিযোগিতা মাতিয়ে তোলেন শিক্ষার্থী ও বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা। চ্যাম্পিয়ন, রানার্স আপ ও অংশগ্রহণকারীদের হাতে ক্রেস্ট, বই ও সনদপত্র তুলে দেন প্রধান অতিথি।
পুরস্কার বিতরণের সমাপনী অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ বিপ্লবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছাড়াও বক্তব্য দেন প্রতিযোগিতার বিচারক লেখক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রিপন চৌধুরী, দৈনিক সময়ের আলোর জেলা প্রতিনিধি লেখক কাওসার রহমান রোমেল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি সাইফুল মিলন, প্রতিযোগিতা উপপরিষদের আহ্বায়ক তানহা তাসফিয়া পূর্ণতা ও প্রতিযোগিতার মডারেটর কালের কণ্ঠ’র জেলা প্রতিনিধি অমিতাভ দাশ হিমুন।
বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতিযোগিতা উপপরিষদের আহ্বায়ক তানহা তাসফিয়া পূর্ণতা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে স্বৈরাচার পতনের জন্য ছাত্র-জনতার আত্মদানকে অর্থবহ করে তুলতে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বাড়াতে বিতর্কের বিষয় নির্ধারণ করা হয়। রিপন চৌধুরী বলেন, প্রতিটি বিষয়ে তরুণরা এত বেশি তথ্যসমৃদ্ধ যুক্তি দিয়েছে যে বিচার করতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
কাওসার রহমান রোমেল বলেন, যুক্তিহীন কথামালা শুধু বিদ্বেষ তৈরি করে। বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশ ও জাতি গঠনে বিতর্কের এই আয়োজন নিয়মিত করলে তা সবার মধ্যে সৌহার্দ্যের বন্ধন দৃঢ় করবে।
খলিলুর রহমান বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতিটি আয়োজনে রয়েছে ব্যতিক্রমের ছোঁয়া। সমাজের অন্ধকার দূর করতে আরো বেশি করে সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও মানবিক কর্মকাণ্ডে তরুণদের যুক্ত করতে হবে। বসুন্ধরা শুভসংঘ সেটি পারবে বলেই তার বিশ্বাস।
অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধু আহসান আজিম প্রধান নাইম, আহসানিয়া তাসনিম স্নিগ্ধা, আলাদিন আলিফ, রেশাদ আহমেদ, মেধা, লিজা আকতার ও রক্সি।
বিডি-প্রতিদিন/শআ