বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট আয়োজিত ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে জাতির প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেছেন, রাষ্ট্র মেরামতের কাজে সরকারকে সময় দেয়া প্রয়োজন। তারা বলেন, সুখী, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে হলে সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও সময় প্রদান করতে হবে।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিনের সভাপতিত্বে লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ।
এম এ মতিন বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী একদলীয় সরকারের পতন হয়। এ আন্দোলনকে কয়েকটি রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় অর্জন বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এ বিজয় অর্জিত হয়েছে, যা কারো একক অর্জন নয়।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি, বিগত একদলীয় সরকারের আমলে বিদেশে পাচারকৃত দেশের সব অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। এতে রিজার্ভ সংকট দূর হবে। স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ, বিদেশে বেগমপাড়া গড়া অর্থপাচারকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করতে হবে। এতে ভবিষ্যতে কেউ দুর্নীতি করতে সাহস করবে না। একটি বিশেষ দলীয় লোকজনকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি/প্রো-ভিসিসহ জনবল নিয়োগ করায় দেশের জনগণ হতাশ হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সৃষ্ট সরকার কর্তৃক এসব নিয়োগে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ ব্যক্তিবর্গকে অগ্রাধিকার প্রদান করবে বলে আমরা মনে করি। সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে দেশের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও কার্যকর সংস্কার করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান বর্তমান সরকারকে যে ১৮ মাস সময় দেওয়ার কথা বলেছেন, আমরা তা সমর্থন করছি। দেশে সংস্কারে পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন।
বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব, কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য খাজা হাসান আলী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট নেতা পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, এডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, মুহাম্মদ সোলায়মান ফরিদ, সৈয়দ মোজাফফর আহমদ মোজাদ্দেদী, শাহজালাল আহমদ আখঞ্জী, পীর কাজী শাহেদুর রহমান হাশেমী, এডভোকেট মুহাম্মদ ইকবাল হাসান, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ আকতার হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও শাহেদুল আলম প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত