গাজীপুরে ২০১৪ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভায় গুলি ও পণ্ড করার অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনসহ প্রায় দুইশ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
বাসন থানা বিএনপির সভাপতি মো. তানভীর সিরাজ বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানায় অভিযোগটি দাখিল করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে বিএনপি এক জনসভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়ার।
কিন্তু সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ডিবি প্রধান (গাজীপুরের তৎকালীন এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় দুইশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীকে জনসমাবেশে অংশ নিতে বাধা দেয়।
এসময় তারা জনসভায় আগত হাজার হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে ধাওয়া দেয় এবং এলোপাতাড়ি ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। হামলা চালিয়ে জনসভার জন্য নির্মিত সভামঞ্চ, চেয়ার, টেবিল, মাইক ভাংচুর করে। হামলাকারীরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যাচার করে কটুক্তিমূলক স্লোগান দেয় ও জনসভা পণ্ড করে দেয়।
অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, তৎকালীন জয়দেবপুর থানায় এ সংক্রান্তে এজাহার দায়ের করতে গেলে অফিসার ইনচার্জ উদ্দেশ্যেমূলকভাবে তা গ্রহণ করেনি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার ওসি রাহেদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম