রাজশাহীতে লুট করা মালামাল উদ্ধারে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। এ ছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জ ও দাউদকান্দি থানা থেকে লুট হওয়া বেশ কিছু অস্ত্র ও মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
রাজশাহী : রাজশাহীতে লুট করা মালামাল উদ্ধারে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। শনিবার সকালে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় রাজশাহীর হাইটেক পার্কে হামলা চালিয়ে লুট করা বিভিন্ন মালামাল। সকাল ১১টার দিক থেকে এ অভিযান শুরু হয়। এ সময় নগরীর শ্রীরামপুর, ভেড়িপাড়া এলাকা থেকে বেশকিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়। ৫ আগস্ট সারা দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরে মেতে ওঠে দুর্বৃত্তরা। রাজশাহীতেও ব্যাপক হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। নগর ভবন, হাইটেক পার্ক, আরএমপি কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘরবাড়িতে লুটপাট করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে লুট হওয়া বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করছে র্যাব-১১। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র?্যাব-১১ এর এএসপি সনদ বড়ুয়া। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ১টি চায়না রাইফেল (বাট ভাঙা), ১টি সিজেট পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড সিজেট পিস্তলের গুলি, ১টি গ্যাস গান, ৫টি গ্যাস সেল, ২১টি রাবার বুলেট, ২১টি লেড বল, ১টি একনলা বন্দুক, ১টি রিভলবার, ১০ রাউন্ড রিভলবারের গুলি, ৪টি সাউন্ড গ্রেনেড, ৩টি হ্যান্ডকাফ, ২টি মোটর সাইকেল ও ১টি ডিভিআরসহ বিভিন্ন সরকারি জিনিসপত্র।
র্যাব জানায়, দুর্বৃত্তরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। তারা থানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সরকারি সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত র্যাব ১১-এর একটি গোয়েন্দা টিম থানা থেকে লুট হওয়া সরকারি সম্পদ উদ্ধারের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বেশ কিছু অস্ত্র ও জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) : কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানা থেকে লুট হওয়া বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি চায়না রাইফেল ও দুটি শটগান। এ ছাড়া ৩৭ রাউন্ড কার্তুজ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রদের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা আসমা আক্তার। তিনি বলেন, উদ্ধার করা অস্ত্র বৃহস্পতিবার রাতে আনসার ও ভিডিপি কুমিল্লা রেঞ্জ কমান্ডার আশীষ কুমার ভট্টাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, মাত্র থানার কার্যক্রম শুরু করেছি, থানায় কী পরিমাণে অস্ত্র গোলাবারুদ, জরুরি কাগজপত্রসহ অন্যান্য জিনিস লুট হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান দেখে বলতে সময় লাগবে। ৫ আগস্ট বিকালে দাউদকান্দি মডেল থানায় অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র গোলাবারুদ লুটের ঘটনা ঘটে।