ঝিনাইদহের সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের মূল্যবান মালামাল লুটের ঘটনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটলেও পরিষদের সচিব রোকশানা বুলবুলি রহস্যজনকভাবে নীরব ছিলেন।
বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও প্রকাশ্য আসে আজ বুধবার। ইউনিয়নে কর্মরত সকলের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিশ্বাস এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে ইউনিয়নে ফিরতে পারছেন না। সরকার পরিবর্তনের আগে ও পরে তার বিরুদ্ধে প্রায় ৭/৮টি মামলা চলমান রয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ট্রাক নিয়ে তালা না ভেঙে পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিশ্বাস ইউনিয়নে থাকা সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজ, এসি, খাট, গ্যাসের চুলাসহ বিভিন্ন অফিসিয়াল কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে এ কাজের সহযোগিতা করেন ইউনিয়নের সচিব রোকশানা বুলবুলি ও গ্রাম পুলিশ শরিফুল ইসলাম শরিফ।
এঘটনায় ইউপি সদস্য শামসুল ইসলাম অভিযোগ করেন, পরিষদের তিন সেট চাবি রয়েছে। সেই চাবি একটি চেয়ারম্যান সাঈদ তার নিজের কাছে রাখেন। আরেক সেট চাবি গ্রাম পুলিশ শরিফুলের কাছে থাকে এবং অপরটি ইউপি সচিবের কাছে ছিল। তালা না ভেঙ্গে পরিষদের মালামাল লুট হওয়ার বিষয়টি খুবই ষড়যন্ত্রমূলক। তাই বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন মনে করছি।
এ ব্যাপারে ইউপি সচিব রোকশানা বুলবুলি জানান, অফিসের মালামাল চেয়ারম্যান আবু সাঈদ তার লোকজনের মাধ্যমে নিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার ব্যাক্তিগত কাজ থাকায় দুপুরে চলে গিয়েছিলাম। পরে শনিবার সকালে এসে বিষয়ে অবগত হই এবং সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহীকে অবগত করি।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী জানান, চুরির বিষয়ে অবগত হওয়ার পর সচিবকে দিয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে চেযারম্যান আবু সাঈদ বিশ্বাসের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল