বগুড়ার বাজারে কমছে না ডিমের দাম। বৃষ্টির কারণে কাঁচা সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা দরে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। এতে করে স্বস্তি নেই ক্রেতাদের মাঝে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাপ আর গরমে ডিমের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। সেই সাথে বৃষ্টির কারণে বেড়েছে সবজির দামও।
শুক্রবার বগুড়া শহরের রাজাবাজার, ফতেহ আলী, কলোনী, খান্দার, গোদারপাড়া ও বকশি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যালে মুরগির লাল ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা। হাঁসের ডিম ৭০টাকা ও কোয়েল পাখির ডিম ১২টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার মুগরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে আলু মান ভেদে আগের দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০, আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। কাঁচামরিচ ১৮০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, বেগুনের কেজিতে দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ও কচুমুখির কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল, চিচিংগা ও ঢেড়সের কেজি ৪০ টাকা, শশার কেজিতে দাম বেড়ে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। মিষ্টিলাউয়ের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, পেঁপেঁর কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা। আদার কেজি মানভেদে ২৮০ এবং রসুন মানভেদে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়।
অপরদিকে বগুড়ার বাজারগুলোতে মোটা ও মাঝারি মানের চালও বাড়তি দাম বেচাকেনা হতে লক্ষ্য করা গেছে। মোটা মানের স্বর্ণা-৫, রঞ্জিত ও হাইব্রিড চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিআর-২৮ চাল ৫৮ থেকে ৬০ এবং বিআর-২৯ চাল ৫৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়।
ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ১৮০ এবং সোনালী মুরগির কেজি ২৪০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংস এক হাজার টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। শহরের এই বাজারে আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, চার কেজি ওজনের কাতল মাছ ৩৫০ টাকা এবং তিন কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ ২৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। এদিকে বাজারে ইলিশের সরবরাহ আগের চেয়ে কিছুটা বাড়লেও দামও বেশ চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ এক হাজার ৬৫০ থেকে ১৭শ’ টাকা কেজি, আর আড়াইশ’ গ্রাম ওজনের ইলিশগুলো ৬৫০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়া শহরের রাজাবাজার এলাকার ২নং রেলগেটের পার্শ্বে ডিম ব্যবসায়ী নূর আলম জানান, গত কয়েক দিনের তাপ আর গরমের কারণে বাজারে ডিমের আমদানি কমেছে। যার ফলে পাইকারী বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বগুড়া জেলায় চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানীগুলো ডিম সরবরাহ করছে না। আমাদের বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজার করতে আসা শহরের চেলোপাড়া এলাকার আব্দুস সালাম জানান, বাজারে ডিমসহ কাঁচা সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী।
বিডি প্রতিদিন/এএম