পাহাড়ে সহিংসতার ঘটনার দোষীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেছি। সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মামলাগুলো গ্রহণ করে সঠিকভাবে তদারকি করতে। পাহাড়ি কিংবা বাঙালি, যে সম্প্রদায়ের হোক না কেনো, দোষীদের সঠিক বিচার যেন হয়। একই সাথে যাতে বিনা দোষে কেউ হয়রানি না হয়।
বুধবার দুপুর আড়াইটায় রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বাঙালিদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পাহাড়ে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপাতত তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য।
তিনি বলেন, সহিংসতার ঘটনা দেখে গেলাম। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত তালিকা প্রণয়ন করছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা দেখে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে, গত ২০ সেপ্টম্বর রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বাঙালিদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে। একই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার সাথে বৈঠক করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টার যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, রাঙামাটি এ এস ইউ পদাতিক শাখার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল মামুন সুমন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা চাকমা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই