নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী গ্রামের আমেনা বেগম (৫৭) হতাকাণ্ডে জড়িতরা এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার। খুনের রহস্য উদঘাটন এবং হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও জড়িতদের গ্রেফতারে তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ এনে এ মামলার তদন্তভার ডিবি পুলিশ, পিবিআই অথবা সিআইডি পুলিশে হস্তান্তরের জন্য মামলার বাদী নড়াইল পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, গত ৪ আগষ্ট রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন আমেনা বেগম। শ্বাসরোধ করে ও পিটিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। মরদেহের গলায় শাড়ি পেচিয়ে ফাঁস লাগানো এবং নাক ও কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল বলে ঘটনা পরবর্তী একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১২ আগষ্ট অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের হয়। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্ত্রী আমেনার কাছে থাকা মোটা অংকের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিতে তাকে হত্যা করা হতে পারে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে পুলিশ বিছালী গ্রামের বাবর আলীর ছেলে আসিফ মোল্লাকে (২১) গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। হত্যাকাণ্ডে আসিফ জড়িত বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকব্যক্তি জানান, আমেনা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আসিফ ছাড়াও একজন মূল পরিকল্পনাকারীসহ আরো ২-৩ জন জড়িত থাকতে পারেন। গ্রেফতার আসিফকে রিমান্ডে আনলে খুনের প্রকৃত রহস্য এবং জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসতো বলে বাদী দাবি করেছেন। চাঞ্চল্যকর আমেনা হত্যাকান্ডে আসিফকে রিমান্ডে না আনায় বিষয়টিকে সন্দেহজনক হিসেবে দেখছেন মামলার বাদী মনির হোসেন ও স্থানীয় লোকজন।
এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সাজেদুল ইসলাম জানান, আমেনা হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাকে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল