সাগর ও নদীতে শুরু হচ্ছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা। ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য আগামী ২২ দিন মাছ ধরার উপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। এ আইন অমান্যকারী ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এদিকে সরকারের ঘোষণার পরপরই শনিবার বিকাল থেকেই মৎস্যবন্দর মহিপুর ও আলীপুর আড়ৎ ঘাটে ট্রলার নিয়ে ফিরেছেন জেলেরা। অবরোধ শতভাগ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
স্থানীয় জেলে সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ুর পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে ঘন ঘন আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে নিয়মিত সাগরে যেতে পারেনি জেলেরা। এছাড়া এ বছর জালে ধরা পারেনি কাঙ্খিত ইলিশ। তার উপর ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য আজ মধ্যরাত থেকে সাগর ও নদীতে শুরু হচ্ছে সব ধরনের মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এতে অনেকটা হতাশা প্রকাশ করেছেন গভীর সমুদ্র থেকে তীরে ফিরে আশা জেলেরা।
এ নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা আড়তদারের দাদন ও এনজিওর ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার সময় সরকার জেলেদের জন্য ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিলেও সব জেলে এ চাল পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পার্শ্ববর্তী ভারতীয় জেলেরা জলসীমানায় অবাধে প্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। তাই সাগরে প্রশাসনের টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, অবরোধ শতভাগ সফল করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। উপজেলার নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩০৫ জন জেলেকে দেয়া হবে ২৫ কেজি করে চাল। আশা করি এই অবরোধের মধ্যেই এসব জেলেরা সরকারি বরাদ্দকৃত চাল পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল