গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী (দিদার) হত্যা মামলার আসামি মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলিমুজ্জামান চৌধুরী (৫০) মারা গেছেন।
রবিবার রাত সাড়ে ৭টায় ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার তানিয়া জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার রাত সাড়ে ৭টায় ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ওই দিন সকালে কারাগারের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন আলিমুজ্জামান। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রথমে গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে পাঠানো হয়। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আলিমুজ্জামানের শ্যালক (স্ত্রীর ভাই) নাদিম চৌধুরী বলেন, গতকাল সকালে কারা কর্তৃপক্ষ আলিমুজ্জামনের অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানায়। এরপর তাকে ফরিদপুর থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায়।
গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার তানিয়া জামান ও কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. দেবব্রত বিশ্বাস বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর আলিমুজ্জামান চৌধুরীকে কারাগারে আনা হয়। তার উচ্চ রক্তচাপ ছিলো। গতকাল কারাগারে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্টোক) করে। তাকে প্রথমে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বেদগ্রামে অনুষ্ঠিত এক পথসভা শেষে নিজ গ্রাম টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সদর উপজেলা ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকেরা মাইকিং করে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গাড়িবহরে হামলা করে। এতে জিলানীসহ সংগঠনের অর্ধশত নেতা–কর্মী আহত হন। ভাঙচুর করা হয় ১০টি গাড়ি। ঘটনাস্থলের অদূরে পাথালিয়া বাংলালিংক টাওয়ারের পাশ থেকে শওকত আলী দিদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর নিহত শওকত আলী দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন। ১১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ১ হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ মামলায় আলিমুজ্জামান চৌধুরী ১০৪ নাম্বার আসামি ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন