ছোট্ট মুনিয়ার দাঁতে মাঝে মাঝে ব্যথা হতো। মুনিয়া দাঁত ব্রাশ করতে ভালোবাসত না, তাই প্রতিদিন মা তাকে দাঁত মাজার জন্য বকাঝকা করতেন। মুনিয়া ভাবত, ‘এত কষ্ট করে দাঁত মাজতে হবে কেন? আমার দাঁত তো ঠিকই আছে!’
একদিন রাতে মুনিয়া ঘুমিয়ে পড়লো। স্বপ্নে সে দেখলো, তার দাঁতে ছোট ছোট পোকার দল বাসা বেঁধেছে। পোকাগুলো হেসে হেসে বলছে, ‘মুনিয়া আমাদের খুব ভালো বন্ধু! ও আমাদের দাঁতে থাকতে দেয়, আর মিষ্টি খাইয়ে খাইয়ে আমাদের খুশি রাখে।’
মুনিয়া ঘাবড়ে গেল। সে জিজ্ঞাসা করল, ‘তোমরা আমার দাঁতে কেন বাস করছো?’
পোকারা উত্তর দিল, ‘তুমি যখন দাঁত মাজার সময় বাদ দাও, তখন আমাদের এখানে আসতে সহজ হয়। আমরা তোমার দাঁতে গর্ত করে খেয়ে ফেলি। এতে তোমার দাঁতে ব্যথা হয়, ধীরে ধীরে দাঁত নষ্ট হয়ে যায়।’
মুনিয়া ভীষণ ভয় পেল। সে পোকাদের তাড়ানোর জন্য চিৎকার করে ডাকল, ‘তোমরা এখান থেকে চলে যাও! আমি এখন থেকে প্রতিদিন দাঁত মাজব!’
তৎক্ষণাৎ সে ঘুম থেকে জেগে উঠল। ঘামছে আর কাঁপছে। পরদিন সকালেই মুনিয়া মায়ের সাহায্যে ভালোভাবে দাঁত মাজার অভ্যাস শুরু করল। এখন মুনিয়া নিয়মিত দাঁত মাজে, আর তার দাঁতের পোকাদের আর কখনো দেখা যায় না।
এই ঘটনার পর থেকে মুনিয়া বুঝতে পারল, দাঁত মাজার গুরুত্ব কতটা। আর তখন থেকেই সে আর কোনোদিনও ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার কথা ভুলে যায় না।