শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৭ আপডেট:

ম্যাডাম, বিএনপির বন্ধু-সমালোচকদের বলতে দিন

কাজী সিরাজ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ম্যাডাম, বিএনপির বন্ধু-সমালোচকদের বলতে দিন

শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা দুনিয়াতেই সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে, এমন কী জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণে সুশীল সমাজ একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে, দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, মৌলিক অধিকার হরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজ নির্ভীক যোদ্ধাশ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। অনেক দেশে অনেক সময় রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দিয়েছেন সুশীল সমাজের সাহসী প্রতিনিধিরা। আমাদের দেশেও অতীতে যেমন, তেমন স্মরণকালেও এমন কাহিনী আছে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় রাজনীতিবিদরা যখন প্রায় ব্যর্থ, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কলহে লিপ্ত, তখন ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমদ, অ্যাডভোকেট শামসুল হক, অ্যাডভোকেট গাজিউল হক, সাংবাদিক ফয়েজ আহমদদের অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা জাতি এখনো শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তারা দলান্ধ ছিলেন না, দলদাস তো ননই। তারা ছিলেন জাতির বিবেক। এখন সুশীল সমাজের সেই বলিষ্ঠ ও সার্বজনীন চরিত্র নেই বললেই চলে। সেখানে এখন দলবাজি। কেউ আওয়ামী বুদ্ধিজীবী, কেউ বিএনপি বুদ্ধিজীবী! এর মধ্যেও দল সমর্থক বা দলানুরাগী অথবা স্বাধীনচেতা কিছু মানুষ আছেন যারা কখনো কখনো কিছু সত্য কথা বলেন; এমন কি কোনো দলের প্রতি অনুরাগ থাকলেও তার প্রয়োজনীয় গঠনমূলক সমালোচনা করেন, ভুল ধরিয়ে দেন। দল চায় দাসত্ব, ষোলো আনার ওপর বত্রিশ আনা আনুগত্য। কিন্তু সবাই কি বন্ধন-শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে চান? যারা চান না, দল তাদের না পারে গিলতে, না পারে ওগলাতে।

বিএনপিপন্থি বলে পরিচিত বুদ্ধিজীবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদসহ সুধী সমাজের পাঁচজন প্রতিনিধি গত ১২ মার্চ রবিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। কী কী পরামর্শ দিয়েছেন তার কিছু মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিক কালের কণ্ঠে তা ছাপা হয়েছে ১৪ মার্চ মঙ্গলবার। দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে। তা হচ্ছে, ‘রাজপথে নামুন, নির্বাচনে অংশ নিন। বেগম জিয়ার আমন্ত্রণে আলোচনায় অংশ নেওয়া বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বিএনপিপন্থি বলে পরিচিত হলেও দুজন কখনো কখনো এমন কিছু সত্যবাণী উচ্চারণ করেন, বিএনপি তা হজম করতে পারে না। তাদের কোনো কোনো বক্তব্য নিয়ে দলটিতে অসহিষ্ণু ভাবও পরিলক্ষিত হয়। এই দুজন হচ্ছেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. চৌধুরী বরাবরই স্বাধীনচেতা। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণযোগ্য। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না রাখা নিয়ে এরা দুজন প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ একজন দিয়েছিলেন কৌশলে আরেকজন দিয়েছিলেন সরাসরি। তারা বলেছিলেন, এতে বিএনপির ভালো হবে। দলের কর্মকাণ্ড, দল পুনর্গঠন নিয়েও এরা দুজন খোলামেলা পরামর্শ দিয়েছেন। অতিসম্প্রতি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্বাচন কমিশন মানা না মানা নিয়ে দেওয়া বক্তব্য সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা পেলেও বিএনপির উঁচুমহল তাতে বিরক্ত হয়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা নিয়েও তাদের অবস্থান বরাবরই ছিল পরিষ্কার। গত রবিবার তা তারা একেবারে পাবলিক করে দিলেন। সরকারি মহল কখনো কখনো তাদের বক্তব্য সরকার ও সরকারি দলের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। কোনো দল সম্পর্কে কোনো বাস্তব ও সত্য ভাষণ যদি অন্যরা বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজে লাগিয়ে ফেলে তো লাগাবে, তাই বলে সত্য বলা থেকে কি বিরত থাকতে হবে? বন্ধুর বন্ধুসুলভ গঠনমূলক সমালোচনা ও যৌক্তিক পরামর্শ নিজেদের ভ্রান্তি-বিলাসের কারণে যদি বিসদৃশ মনে করে উপেক্ষা করা হয় এবং প্রকৃত বন্ধুকে শত্রু বলে বিবেচনা করা হয় কিছু করার নেই। এ ব্যাপারে বিএনপির রেকর্ড ভালো নয়। অনেকের ধারণা বিএনপির কর্ণধাররা আপনপর চিনতে ভুল করেন। কখনো কখনো মিত্রকে শত্রু শিবিরে পাঠিয়ে দেন তেমন প্রমাণও আছে। যে পাঁচজন বুদ্ধিজীবী বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছেন তাদের মধ্যে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জীবনে যা পেয়েছেন, তারচেয়ে বিএনপি থেকে আর বেশি কিছু পাওয়ার নেই। এ ধরনের ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করার ক্ষেত্রেও বিএনপি নেতৃত্বের যে হীনম্মন্যতা তাও পীড়াদায়ক। বেগম জিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কালে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের মতো একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানীকে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। যদিও তিনি সে পদ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বিএনপির নেতারা তারপরও উপলব্ধি করেননি যে, এমন একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করে অসম্মান করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান মিঞাকে বানানো হয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক। এটি তার যোগ্য পুরস্কার হয়েছিল বলে মনে করেননি দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষিত মানুষ। ডা. জাফরুল্লাহ তো এসবের থোরাই কেয়ার করেন। রবিবারের বৈঠকের পর যে খবর পত্রিকায় ছাপা হয়েছে তার কোনো প্রতিবাদ বিএনপি বা অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে কেউ করেননি। কাজেই পাঁচ বুদ্ধিজীবীর এবং বেগম খালেদা জিয়ার বরাত দিয়ে যে বক্তব্য ছাপা হয়েছে তা সর্বাংশে সত্য বলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে। বিএনপির অনেক শুভানুধ্যায়ী হতাশ এই কারণে যে, বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে বেগম খালেদা জিয়া যে পরামর্শ দিয়েছেন যদি তা পালিত হয় তা হলে বিএনপির ভালোর জন্য সাহস করে সত্য কথা বলার কি আর খ্যাতিমান কোনো লোক থাকবেন না? অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বশালীরাও মুখে কুলুপ এঁটে দেবেন? তাদের মুখে কৌশলে কুলুপ এঁটে দেওয়ার জন্যই কি তবে বৈঠকটির আয়োজন করা হয়েছিল?

আলোচনাকালে বেগম খালেদা জিয়া ‘বিএনপি’র বিরুদ্ধে যায় বা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এমন বক্তব্য সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে সতর্কতার সঙ্গে দেওয়ার অনুরোধ করেন (কালের কণ্ঠ, ১৪ মার্চ, ২০১৭)। সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্ত বিএনপি সমর্থকরা অথবা দলটির প্রতি যাদের কিছুটা দুর্বলতা আছে তারা দলীয় ডিসিপ্লিনের অন্তর্ভুক্ত নন। তারা যা ভাবেন তা দলীয় ফোরামে আলোচনা করার কোনো সুযোগ তাদের নেই। এই ধরনের গুণীজনদের সঙ্গে মাঝে মাঝে আলোচনা ও পরামর্শ গ্রহণের কালচার বর্তমান বিএনপিতে নেই। অথচ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ভিন্নমতাবলম্বীদের সঙ্গেও আলোচনা করতেন, পরামর্শও নিতেন। প্রয়াত প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসার লেখায় এর উল্লেখ আছে। বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী আবরণধারী নানা পদের ‘দোকান’ আয়োজিত সেমিনার-সিম্পোজিয়ামেই উল্লিখিত ব্যক্তিরা অতিথি হয়ে যান। ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীর ব্যাপারটা অবশ্য ভিন্ন। বিএনপি ঘরানার বাইরের লোকজনও তাকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানায়। এসব জায়গায়ই তারা উদ্যোক্তাদের দলের ভুল-ভ্রান্তির সমালোচনা করেন সংশোধনের জন্য। আরও বড় ভুল করে সর্বনাশের ষোলোকলা পূর্ণ করার জন্য নয়। তারা নিশ্চয়ই এমন ধারণা থেকেই ওই সব সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে বক্তব্য রাখেন যে, তাদের সমালোচনা বা পরামর্শের বার্তাটা দলের শীর্ষ ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছবে। যারা পত্র-পত্রিকায় লেখেন তাদের উদ্দেশ্যও এই থাকে যে, লেখাটা বা লেখাগুলো ঠিক জায়গায় পৌঁছবে এবং তিনি বা তারা তা পড়ে চিন্তা-ভাবনা করবেন, ভালো পরামর্শ গ্রহণ করে দলের জন্য ক্ষতিকর দিকগুলো বর্জন করবেন। কিন্তু যদি তাদের মুখ বন্ধ করার এবং কলম থামিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং সে পরামর্শ মেনে নেওয়া হয় তাহলে কি বিএনপি লাভবান হবে? গোপন কোনো পরামর্শ যদি আমলে নেওয়া না হয় তাহলে মানুষ কী করে বুঝবে যে, একটা ভালো পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যা শুনলে দলের লাভ হতো! দল সমর্থক সংগঠন বা অঙ্গদল-সহযোগী দলের আয়োজিত সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে প্রদত্ত বক্তব্য মতামত গঠনেও সহায়ক হয়। যেহেতু বক্তব্যটি পাবলিক হয়ে যায় সেহেতু এ ব্যাপারে নেতৃত্বের ওপর একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। কিন্তু বক্তব্য বা পরামর্শ যদি পছন্দানুযায়ী নাও হয় তার প্রকাশ্য বিরোধিতা করা মুশকিল হয়। তখন রাজনৈতিক ও আদর্শিক সিদ্ধান্তহীনতা বা দোদুল্যমানতার কারণে নানা সমীকরণ মিলাতে গিয়ে পরামর্শ বা সমালোচনা ইগনোর করা হয়, কখনো বা নানামুখী চাপের মুখে তা বর্জনও করা হয়। যেমন— ডাক্তার জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী সাবেক সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মোফাজ্জল করিমকে সসম্মানে দলে ফেরত আনার প্রস্তাব করেছেন বৈঠকে। তিনি সংস্কারপন্থি বলে পরিচিত। পরামর্শটি যদি গোপন থাকত তাহলে বিষয়টি ইগনোর করলে কারও কিছু বলার থাকত না না জানার কারণে। এখন যখন জানা গেল এরপর মোফাজ্জল করিমের মতো একজন সাবেক ঝানু আমলা-কূটনীতিকের ব্যাপারে দল যদি নীরব থাকে অথবা ‘কান ধরে উঠবোস করে আসতে বলা হয়’ তখন দলকর্তাদের মনোভাবটা স্পষ্ট হবে এবং বিষয়টি সাধারণ মানুষ, কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের কাছে একটি নিন্দিত বিষয় হবে। প্রতিপক্ষও এসবে মজা নিতে পারে। কিছুদিন আগে মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিক ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরীর কথা লিখেছিলাম। এই ধরনের ব্যক্তিরা যে কোনো দলের জন্য অলঙ্কারই শুধু নন, অহংকারও বটে। দল উপকৃত হয় এমন সব ব্যক্তির দ্বারা। দেশেরও কাজে লাগেন তারা। দলের ভিতর এদের কথা বলেন না কেউ। একপক্ষ বলেন না নিজস্ব স্বার্থে। শিক্ষিত, মেধাবী ও যোগ্য ব্যক্তিরা প্রাধান্য পেলে মেধাহীন, যোগ্যতাহীন ‘রাজনৈতিক মূর্খ’রা দলে শান-শওকতে থাকতে পারেন না, বড় বড় পদ-পদবি দখল করে ‘পদগুণে বুদ্ধিমান, পতাকাগুণে ক্ষমতাবান’ থাকতে পারেন না। আরেক পক্ষ বলে না ভয়ে। দলে যারা রাজনীতি-আদর্শের কোনো গুরুত্ব দেন না, ভালো কাজ, ভালো মানুষের বিরোধিতা করেন বা পথ রোধ করেন তারা এতটাই শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান যে, তাদের বদনজরে পড়লে ছোটখাটো দলীয় পদ-পদবি যা আছে তাও যাবে। এমন পরিস্থিতিতে দলের ভালোর কথা চিন্তা করে ভালো কথা, হক কথা তো যাদের কোনো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই তেমন স্বাধীন ও সৎ ব্যক্তিরাই বলবেন। দেশের পক্ষে জনগণের পক্ষে এবং কখনো কখনো প্রিয় দলের পক্ষে অনুরাগী বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের লোকরা কথা বলেছেন অতীতেও। দেশে, এমন কি বিদেশেও।

অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, ডাক্তার জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ্, অধ্যাপক আ. ক. ম. ইউসুফ হায়দার ও প্রবীণ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ আমাদের দেশের অতি পরিচিত উজ্জ্বল মুখ। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও দেশের প্রয়োজন যথার্থভাবে উপলব্ধি করেই তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজপথে নামার ও নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ‘স্নান করবেন, চুল ভেজাবেন না’, তা কি হয়? রাজনীতি করবেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলেন, আবার ক্ষমতায় যেতে চান, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর সমর্থনও এনজয় করেন, কিন্তু জেল-জুলুমের কথা বলে রাজপথে নামবেন না, তা হয় না। জনগণের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে জীবন দেওয়া, কারা নির্যাতন, মামলা-মোকদ্দমার যন্ত্রণা ভোগ করা রাজনীতিবিদদের জন্য নতুন নয়। বলাই হয়ে থাকে রাজনীতিবিদের জন্য ‘ফুলের মালা আর বন্দীশালা’ যে কোনো সময় যে কোনোটাই জুটতে পারে। বুদ্ধিজীবীরা যথার্থই বলেছেন, জেল-জুলুমসহ সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে রাজপথে নামার সাহস দেখাতে না পারলে জনগণ অনন্তকাল বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবেন না। তারা মাঠে নামার কৌশল উদ্ভাবনের কথা বলেছেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগ্যতা, বিচক্ষণতার প্রমাণ মেলে শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে গণতান্ত্রিক পন্থায় কাবু করে দেওয়ার মাধ্যমে। জনগণ ভয়ে রাজপথে নামে না কথাটা ঠিক নয়, ভয়ে রাজপথে নামেন না বিএনপির ‘নেতারা’। একসময় নেমেছেন ‘হালকা-পাতলা’ ছিলেন, এখন এতই ‘মোটাতাজা’ যে, রাজপথকে ভয় পান, আগে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় নেমেছেন, এখন ‘হারানোর ভয়ে’ নামেন না। এমপি, মন্ত্রী-মিনিস্টার হবেন ‘নেতারা’; তারা না নামলে ‘জনগণের কী ঠেকা মাঠে নামার? সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধিবৃত্তিক, মতাদর্শগত লড়াইয়ে সহযোগিতা করতে পারেন, কিন্তু মূল কাজটা করতে হবে বিএনপিকেই। বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের কাছ থেকে দলীয় ক্যাডারের সার্ভিস চাওয়ার কোনো মানে নেই। দলবাজ বুদ্ধিজীবীরা শেষে দলদাসে পরিণত হতে দেখা যায়। এই ধরনের দলদাস আলটিমেটলি দলের কোনো উপকারই করতে পারে না।

বিএনপিতে সংকটটা তীব্র। সমালোচনা সহ্যই করা হয় না সেখানে। দলীয় ফোরামে দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের কোনো গঠনমূলক সমালোচনাও সহ্য করা হয় না বলে শোনা যায়। নেতৃত্ব সম্পর্কে অভিযোগ, তারা বন্দনাপ্রিয়। আওয়ামী লীগে তোষামোদকারী-স্তুতিকারের ছড়াছড়ি থাকলেও কঠোর সমালোচকও আছেন। তাদের দল সহ্য করে, সমীহও করে। ড. মইনুল ইসলাম দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ; আওয়ামী অনুরাগী। কিন্তু কঠোর সমালোচকও। আবুল মোমেন। প্রয়োজনীয় সমালোচনায় ছাড়েন না দলকে, সরকারকে। এবার একুশে পদক পেলেন। বিএনপি হলে সুযোগ থাকলে ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী কোনো পদকপ্রাপ্ত হলে তা কেড়ে নিত। সাবেক কেবিনেট সচিব মহিউদ্দিন আহমদের বঙ্গবন্ধুপ্রীতি সর্বজনবিদিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও সরকারের প্রয়োজনীয় সমালোচনায় সর্বদা তাকে সরব দেখা যায়। কোনো ধুরন্ধর স্বার্থবাজ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে দিয়ে এদের কৌশলে প্রচ্ছন্নভাবে মাথায় হাত বুলিয়ে ‘কোমল ধমকেরও’ ব্যবস্থা করেছেন এমন নজির নেই। বিএনপি নেতৃত্বের উচিত যেহেতু দলে ন্যূনতমও গণতন্ত্রের চর্চা ও অনুশীলন নেই, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যারা গঠনমূলক কিছু সমালোচনা করেন, তাদের বাধা না দেওয়া। অনুরোধ করব, ম্যাডাম, তাদের বলতে দিন।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তান–আফগানিস্তান উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতায় আগ্রহী রাশিয়া
পাকিস্তান–আফগানিস্তান উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতায় আগ্রহী রাশিয়া

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

মোহাম্মদপুরে বিদেশি রিভলভারসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরে বিদেশি রিভলভারসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

হাসিনার রায় ঘিরে কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী
হাসিনার রায় ঘিরে কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৩ কর্মকর্তা বদলি
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৩ কর্মকর্তা বদলি

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

১৭ নভেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি
১৭ নভেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি

১৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

নভেম্বরের প্রধমার্ধে প্রবাসী আয় ২৩.১ শতাংশ বেড়েছে
নভেম্বরের প্রধমার্ধে প্রবাসী আয় ২৩.১ শতাংশ বেড়েছে

২৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

২৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজ ঢাকার বাতাসে কতটা দূষণ?
আজ ঢাকার বাতাসে কতটা দূষণ?

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

গ্রিস থেকে গ্যাস আমদানি করবে ইউক্রেন: জেলেনস্কি
গ্রিস থেকে গ্যাস আমদানি করবে ইউক্রেন: জেলেনস্কি

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিতুমীর কলেজের সামনে ও আমতলীতে ককটেল বিস্ফোরণ
তিতুমীর কলেজের সামনে ও আমতলীতে ককটেল বিস্ফোরণ

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

মানিকগঞ্জে বেগুন চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে
মানিকগঞ্জে বেগুন চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

৪৪ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

রাজধানীতে অপরিবর্তিত থাকবে তাপমাত্রা
রাজধানীতে অপরিবর্তিত থাকবে তাপমাত্রা

৪৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

মহানবী (সা.)-এর নির্মোহ জীবন ও আত্মত্যাগ
মহানবী (সা.)-এর নির্মোহ জীবন ও আত্মত্যাগ

৫১ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

রায়ের আগে ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তা জোরদার
রায়ের আগে ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তা জোরদার

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

কঙ্গোয় তামা–কোবাল্ট খনিতে সেতু ধসে নিহত ৩২ শ্রমিক
কঙ্গোয় তামা–কোবাল্ট খনিতে সেতু ধসে নিহত ৩২ শ্রমিক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন
ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ভারতকে লজ্জায় ফেলে পাকিস্তানের সহজ জয়
ভারতকে লজ্জায় ফেলে পাকিস্তানের সহজ জয়

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লেবাননে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা : নিহত ১
লেবাননে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা : নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে ফের পার্কিং করা বাসে আগুন
সাভারে ফের পার্কিং করা বাসে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অধীনদের নামাজের আদেশ দেওয়ার গুরুত্ব
অধীনদের নামাজের আদেশ দেওয়ার গুরুত্ব

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপের আশা টিকিয়ে রাখল আয়ারল্যান্ড
বিশ্বকাপের আশা টিকিয়ে রাখল আয়ারল্যান্ড

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনের আরও দুটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার
ইউক্রেনের আরও দুটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে বনে এলিয়েন নামে!
যে বনে এলিয়েন নামে!

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!
শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!

৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের নাগরিকরা গ্রিন কার্ডও পাবে না?
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের নাগরিকরা গ্রিন কার্ডও পাবে না?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি
গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার
১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের
চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

২০২৬ সালে ব্যাংকের ছুটির তালিকা প্রকাশ
২০২৬ সালে ব্যাংকের ছুটির তালিকা প্রকাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুক্তরাজ্যে শরণার্থীরা স্থায়ী নাগরিকত্ব পাবেন ২০ বছর পর
যুক্তরাজ্যে শরণার্থীরা স্থায়ী নাগরিকত্ব পাবেন ২০ বছর পর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেখা মিলল বকফুলের
দেখা মিলল বকফুলের

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত
ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত

মাঠে ময়দানে

লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ
লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার নতুন শাকিব খান
এবার নতুন শাকিব খান

শোবিজ

রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি
রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি

শোবিজ

ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের
ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!
হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!

মাঠে ময়দানে

৯৩ রানে অলআউট ভারত
৯৩ রানে অলআউট ভারত

মাঠে ময়দানে

কার অপেক্ষায় মাহি?
কার অপেক্ষায় মাহি?

শোবিজ

এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার
এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার

মাঠে ময়দানে

দর্শক মাতালেন কনা
দর্শক মাতালেন কনা

শোবিজ

১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট
১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট

মাঠে ময়দানে

সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল
সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল

মাঠে ময়দানে

শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা
শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

শোবিজ

বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন
বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে

সরকারকে নিরপেক্ষতার আহ্বান আট দলের
সরকারকে নিরপেক্ষতার আহ্বান আট দলের

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর

প্রথম পৃষ্ঠা

দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার
দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম