শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৭ আপডেট:

ম্যাডাম, বিএনপির বন্ধু-সমালোচকদের বলতে দিন

কাজী সিরাজ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ম্যাডাম, বিএনপির বন্ধু-সমালোচকদের বলতে দিন

শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা দুনিয়াতেই সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে, এমন কী জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণে সুশীল সমাজ একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে, দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, মৌলিক অধিকার হরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজ নির্ভীক যোদ্ধাশ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। অনেক দেশে অনেক সময় রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দিয়েছেন সুশীল সমাজের সাহসী প্রতিনিধিরা। আমাদের দেশেও অতীতে যেমন, তেমন স্মরণকালেও এমন কাহিনী আছে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় রাজনীতিবিদরা যখন প্রায় ব্যর্থ, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কলহে লিপ্ত, তখন ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমদ, অ্যাডভোকেট শামসুল হক, অ্যাডভোকেট গাজিউল হক, সাংবাদিক ফয়েজ আহমদদের অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা জাতি এখনো শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তারা দলান্ধ ছিলেন না, দলদাস তো ননই। তারা ছিলেন জাতির বিবেক। এখন সুশীল সমাজের সেই বলিষ্ঠ ও সার্বজনীন চরিত্র নেই বললেই চলে। সেখানে এখন দলবাজি। কেউ আওয়ামী বুদ্ধিজীবী, কেউ বিএনপি বুদ্ধিজীবী! এর মধ্যেও দল সমর্থক বা দলানুরাগী অথবা স্বাধীনচেতা কিছু মানুষ আছেন যারা কখনো কখনো কিছু সত্য কথা বলেন; এমন কি কোনো দলের প্রতি অনুরাগ থাকলেও তার প্রয়োজনীয় গঠনমূলক সমালোচনা করেন, ভুল ধরিয়ে দেন। দল চায় দাসত্ব, ষোলো আনার ওপর বত্রিশ আনা আনুগত্য। কিন্তু সবাই কি বন্ধন-শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে চান? যারা চান না, দল তাদের না পারে গিলতে, না পারে ওগলাতে।

বিএনপিপন্থি বলে পরিচিত বুদ্ধিজীবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদসহ সুধী সমাজের পাঁচজন প্রতিনিধি গত ১২ মার্চ রবিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। কী কী পরামর্শ দিয়েছেন তার কিছু মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিক কালের কণ্ঠে তা ছাপা হয়েছে ১৪ মার্চ মঙ্গলবার। দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে। তা হচ্ছে, ‘রাজপথে নামুন, নির্বাচনে অংশ নিন। বেগম জিয়ার আমন্ত্রণে আলোচনায় অংশ নেওয়া বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বিএনপিপন্থি বলে পরিচিত হলেও দুজন কখনো কখনো এমন কিছু সত্যবাণী উচ্চারণ করেন, বিএনপি তা হজম করতে পারে না। তাদের কোনো কোনো বক্তব্য নিয়ে দলটিতে অসহিষ্ণু ভাবও পরিলক্ষিত হয়। এই দুজন হচ্ছেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. চৌধুরী বরাবরই স্বাধীনচেতা। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণযোগ্য। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না রাখা নিয়ে এরা দুজন প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ একজন দিয়েছিলেন কৌশলে আরেকজন দিয়েছিলেন সরাসরি। তারা বলেছিলেন, এতে বিএনপির ভালো হবে। দলের কর্মকাণ্ড, দল পুনর্গঠন নিয়েও এরা দুজন খোলামেলা পরামর্শ দিয়েছেন। অতিসম্প্রতি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্বাচন কমিশন মানা না মানা নিয়ে দেওয়া বক্তব্য সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা পেলেও বিএনপির উঁচুমহল তাতে বিরক্ত হয়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা নিয়েও তাদের অবস্থান বরাবরই ছিল পরিষ্কার। গত রবিবার তা তারা একেবারে পাবলিক করে দিলেন। সরকারি মহল কখনো কখনো তাদের বক্তব্য সরকার ও সরকারি দলের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। কোনো দল সম্পর্কে কোনো বাস্তব ও সত্য ভাষণ যদি অন্যরা বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজে লাগিয়ে ফেলে তো লাগাবে, তাই বলে সত্য বলা থেকে কি বিরত থাকতে হবে? বন্ধুর বন্ধুসুলভ গঠনমূলক সমালোচনা ও যৌক্তিক পরামর্শ নিজেদের ভ্রান্তি-বিলাসের কারণে যদি বিসদৃশ মনে করে উপেক্ষা করা হয় এবং প্রকৃত বন্ধুকে শত্রু বলে বিবেচনা করা হয় কিছু করার নেই। এ ব্যাপারে বিএনপির রেকর্ড ভালো নয়। অনেকের ধারণা বিএনপির কর্ণধাররা আপনপর চিনতে ভুল করেন। কখনো কখনো মিত্রকে শত্রু শিবিরে পাঠিয়ে দেন তেমন প্রমাণও আছে। যে পাঁচজন বুদ্ধিজীবী বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছেন তাদের মধ্যে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জীবনে যা পেয়েছেন, তারচেয়ে বিএনপি থেকে আর বেশি কিছু পাওয়ার নেই। এ ধরনের ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করার ক্ষেত্রেও বিএনপি নেতৃত্বের যে হীনম্মন্যতা তাও পীড়াদায়ক। বেগম জিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কালে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের মতো একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানীকে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। যদিও তিনি সে পদ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বিএনপির নেতারা তারপরও উপলব্ধি করেননি যে, এমন একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করে অসম্মান করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান মিঞাকে বানানো হয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক। এটি তার যোগ্য পুরস্কার হয়েছিল বলে মনে করেননি দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষিত মানুষ। ডা. জাফরুল্লাহ তো এসবের থোরাই কেয়ার করেন। রবিবারের বৈঠকের পর যে খবর পত্রিকায় ছাপা হয়েছে তার কোনো প্রতিবাদ বিএনপি বা অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে কেউ করেননি। কাজেই পাঁচ বুদ্ধিজীবীর এবং বেগম খালেদা জিয়ার বরাত দিয়ে যে বক্তব্য ছাপা হয়েছে তা সর্বাংশে সত্য বলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে। বিএনপির অনেক শুভানুধ্যায়ী হতাশ এই কারণে যে, বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে বেগম খালেদা জিয়া যে পরামর্শ দিয়েছেন যদি তা পালিত হয় তা হলে বিএনপির ভালোর জন্য সাহস করে সত্য কথা বলার কি আর খ্যাতিমান কোনো লোক থাকবেন না? অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বশালীরাও মুখে কুলুপ এঁটে দেবেন? তাদের মুখে কৌশলে কুলুপ এঁটে দেওয়ার জন্যই কি তবে বৈঠকটির আয়োজন করা হয়েছিল?

আলোচনাকালে বেগম খালেদা জিয়া ‘বিএনপি’র বিরুদ্ধে যায় বা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এমন বক্তব্য সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে সতর্কতার সঙ্গে দেওয়ার অনুরোধ করেন (কালের কণ্ঠ, ১৪ মার্চ, ২০১৭)। সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্ত বিএনপি সমর্থকরা অথবা দলটির প্রতি যাদের কিছুটা দুর্বলতা আছে তারা দলীয় ডিসিপ্লিনের অন্তর্ভুক্ত নন। তারা যা ভাবেন তা দলীয় ফোরামে আলোচনা করার কোনো সুযোগ তাদের নেই। এই ধরনের গুণীজনদের সঙ্গে মাঝে মাঝে আলোচনা ও পরামর্শ গ্রহণের কালচার বর্তমান বিএনপিতে নেই। অথচ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ভিন্নমতাবলম্বীদের সঙ্গেও আলোচনা করতেন, পরামর্শও নিতেন। প্রয়াত প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসার লেখায় এর উল্লেখ আছে। বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী আবরণধারী নানা পদের ‘দোকান’ আয়োজিত সেমিনার-সিম্পোজিয়ামেই উল্লিখিত ব্যক্তিরা অতিথি হয়ে যান। ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীর ব্যাপারটা অবশ্য ভিন্ন। বিএনপি ঘরানার বাইরের লোকজনও তাকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানায়। এসব জায়গায়ই তারা উদ্যোক্তাদের দলের ভুল-ভ্রান্তির সমালোচনা করেন সংশোধনের জন্য। আরও বড় ভুল করে সর্বনাশের ষোলোকলা পূর্ণ করার জন্য নয়। তারা নিশ্চয়ই এমন ধারণা থেকেই ওই সব সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে বক্তব্য রাখেন যে, তাদের সমালোচনা বা পরামর্শের বার্তাটা দলের শীর্ষ ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছবে। যারা পত্র-পত্রিকায় লেখেন তাদের উদ্দেশ্যও এই থাকে যে, লেখাটা বা লেখাগুলো ঠিক জায়গায় পৌঁছবে এবং তিনি বা তারা তা পড়ে চিন্তা-ভাবনা করবেন, ভালো পরামর্শ গ্রহণ করে দলের জন্য ক্ষতিকর দিকগুলো বর্জন করবেন। কিন্তু যদি তাদের মুখ বন্ধ করার এবং কলম থামিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং সে পরামর্শ মেনে নেওয়া হয় তাহলে কি বিএনপি লাভবান হবে? গোপন কোনো পরামর্শ যদি আমলে নেওয়া না হয় তাহলে মানুষ কী করে বুঝবে যে, একটা ভালো পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যা শুনলে দলের লাভ হতো! দল সমর্থক সংগঠন বা অঙ্গদল-সহযোগী দলের আয়োজিত সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে প্রদত্ত বক্তব্য মতামত গঠনেও সহায়ক হয়। যেহেতু বক্তব্যটি পাবলিক হয়ে যায় সেহেতু এ ব্যাপারে নেতৃত্বের ওপর একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। কিন্তু বক্তব্য বা পরামর্শ যদি পছন্দানুযায়ী নাও হয় তার প্রকাশ্য বিরোধিতা করা মুশকিল হয়। তখন রাজনৈতিক ও আদর্শিক সিদ্ধান্তহীনতা বা দোদুল্যমানতার কারণে নানা সমীকরণ মিলাতে গিয়ে পরামর্শ বা সমালোচনা ইগনোর করা হয়, কখনো বা নানামুখী চাপের মুখে তা বর্জনও করা হয়। যেমন— ডাক্তার জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী সাবেক সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মোফাজ্জল করিমকে সসম্মানে দলে ফেরত আনার প্রস্তাব করেছেন বৈঠকে। তিনি সংস্কারপন্থি বলে পরিচিত। পরামর্শটি যদি গোপন থাকত তাহলে বিষয়টি ইগনোর করলে কারও কিছু বলার থাকত না না জানার কারণে। এখন যখন জানা গেল এরপর মোফাজ্জল করিমের মতো একজন সাবেক ঝানু আমলা-কূটনীতিকের ব্যাপারে দল যদি নীরব থাকে অথবা ‘কান ধরে উঠবোস করে আসতে বলা হয়’ তখন দলকর্তাদের মনোভাবটা স্পষ্ট হবে এবং বিষয়টি সাধারণ মানুষ, কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের কাছে একটি নিন্দিত বিষয় হবে। প্রতিপক্ষও এসবে মজা নিতে পারে। কিছুদিন আগে মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিক ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরীর কথা লিখেছিলাম। এই ধরনের ব্যক্তিরা যে কোনো দলের জন্য অলঙ্কারই শুধু নন, অহংকারও বটে। দল উপকৃত হয় এমন সব ব্যক্তির দ্বারা। দেশেরও কাজে লাগেন তারা। দলের ভিতর এদের কথা বলেন না কেউ। একপক্ষ বলেন না নিজস্ব স্বার্থে। শিক্ষিত, মেধাবী ও যোগ্য ব্যক্তিরা প্রাধান্য পেলে মেধাহীন, যোগ্যতাহীন ‘রাজনৈতিক মূর্খ’রা দলে শান-শওকতে থাকতে পারেন না, বড় বড় পদ-পদবি দখল করে ‘পদগুণে বুদ্ধিমান, পতাকাগুণে ক্ষমতাবান’ থাকতে পারেন না। আরেক পক্ষ বলে না ভয়ে। দলে যারা রাজনীতি-আদর্শের কোনো গুরুত্ব দেন না, ভালো কাজ, ভালো মানুষের বিরোধিতা করেন বা পথ রোধ করেন তারা এতটাই শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান যে, তাদের বদনজরে পড়লে ছোটখাটো দলীয় পদ-পদবি যা আছে তাও যাবে। এমন পরিস্থিতিতে দলের ভালোর কথা চিন্তা করে ভালো কথা, হক কথা তো যাদের কোনো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই তেমন স্বাধীন ও সৎ ব্যক্তিরাই বলবেন। দেশের পক্ষে জনগণের পক্ষে এবং কখনো কখনো প্রিয় দলের পক্ষে অনুরাগী বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের লোকরা কথা বলেছেন অতীতেও। দেশে, এমন কি বিদেশেও।

অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, ডাক্তার জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ্, অধ্যাপক আ. ক. ম. ইউসুফ হায়দার ও প্রবীণ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ আমাদের দেশের অতি পরিচিত উজ্জ্বল মুখ। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও দেশের প্রয়োজন যথার্থভাবে উপলব্ধি করেই তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজপথে নামার ও নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ‘স্নান করবেন, চুল ভেজাবেন না’, তা কি হয়? রাজনীতি করবেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলেন, আবার ক্ষমতায় যেতে চান, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর সমর্থনও এনজয় করেন, কিন্তু জেল-জুলুমের কথা বলে রাজপথে নামবেন না, তা হয় না। জনগণের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে জীবন দেওয়া, কারা নির্যাতন, মামলা-মোকদ্দমার যন্ত্রণা ভোগ করা রাজনীতিবিদদের জন্য নতুন নয়। বলাই হয়ে থাকে রাজনীতিবিদের জন্য ‘ফুলের মালা আর বন্দীশালা’ যে কোনো সময় যে কোনোটাই জুটতে পারে। বুদ্ধিজীবীরা যথার্থই বলেছেন, জেল-জুলুমসহ সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে রাজপথে নামার সাহস দেখাতে না পারলে জনগণ অনন্তকাল বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবেন না। তারা মাঠে নামার কৌশল উদ্ভাবনের কথা বলেছেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগ্যতা, বিচক্ষণতার প্রমাণ মেলে শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে গণতান্ত্রিক পন্থায় কাবু করে দেওয়ার মাধ্যমে। জনগণ ভয়ে রাজপথে নামে না কথাটা ঠিক নয়, ভয়ে রাজপথে নামেন না বিএনপির ‘নেতারা’। একসময় নেমেছেন ‘হালকা-পাতলা’ ছিলেন, এখন এতই ‘মোটাতাজা’ যে, রাজপথকে ভয় পান, আগে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় নেমেছেন, এখন ‘হারানোর ভয়ে’ নামেন না। এমপি, মন্ত্রী-মিনিস্টার হবেন ‘নেতারা’; তারা না নামলে ‘জনগণের কী ঠেকা মাঠে নামার? সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধিবৃত্তিক, মতাদর্শগত লড়াইয়ে সহযোগিতা করতে পারেন, কিন্তু মূল কাজটা করতে হবে বিএনপিকেই। বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের কাছ থেকে দলীয় ক্যাডারের সার্ভিস চাওয়ার কোনো মানে নেই। দলবাজ বুদ্ধিজীবীরা শেষে দলদাসে পরিণত হতে দেখা যায়। এই ধরনের দলদাস আলটিমেটলি দলের কোনো উপকারই করতে পারে না।

বিএনপিতে সংকটটা তীব্র। সমালোচনা সহ্যই করা হয় না সেখানে। দলীয় ফোরামে দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের কোনো গঠনমূলক সমালোচনাও সহ্য করা হয় না বলে শোনা যায়। নেতৃত্ব সম্পর্কে অভিযোগ, তারা বন্দনাপ্রিয়। আওয়ামী লীগে তোষামোদকারী-স্তুতিকারের ছড়াছড়ি থাকলেও কঠোর সমালোচকও আছেন। তাদের দল সহ্য করে, সমীহও করে। ড. মইনুল ইসলাম দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ; আওয়ামী অনুরাগী। কিন্তু কঠোর সমালোচকও। আবুল মোমেন। প্রয়োজনীয় সমালোচনায় ছাড়েন না দলকে, সরকারকে। এবার একুশে পদক পেলেন। বিএনপি হলে সুযোগ থাকলে ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী কোনো পদকপ্রাপ্ত হলে তা কেড়ে নিত। সাবেক কেবিনেট সচিব মহিউদ্দিন আহমদের বঙ্গবন্ধুপ্রীতি সর্বজনবিদিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও সরকারের প্রয়োজনীয় সমালোচনায় সর্বদা তাকে সরব দেখা যায়। কোনো ধুরন্ধর স্বার্থবাজ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে দিয়ে এদের কৌশলে প্রচ্ছন্নভাবে মাথায় হাত বুলিয়ে ‘কোমল ধমকেরও’ ব্যবস্থা করেছেন এমন নজির নেই। বিএনপি নেতৃত্বের উচিত যেহেতু দলে ন্যূনতমও গণতন্ত্রের চর্চা ও অনুশীলন নেই, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যারা গঠনমূলক কিছু সমালোচনা করেন, তাদের বাধা না দেওয়া। অনুরোধ করব, ম্যাডাম, তাদের বলতে দিন।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
সর্বশেষ খবর
বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক কেপা এবার আর্সেনালে
বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক কেপা এবার আর্সেনালে

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানো : ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানো : ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজধানীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের
রাজধানীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের

১৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

২২ মিনিট আগে | রাজনীতি

আবারও রিমান্ডে সাবেক এমপি জাফর আলম
আবারও রিমান্ডে সাবেক এমপি জাফর আলম

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বাসায় ঝুলছিল যুবকের মরদেহ
রাজধানীতে বাসায় ঝুলছিল যুবকের মরদেহ

৩৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের ১৫ ফজিলত
মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের ১৫ ফজিলত

৪১ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

গুইরাসির জোড়া গোলে শেষ আটে ডর্টমুন্ড
গুইরাসির জোড়া গোলে শেষ আটে ডর্টমুন্ড

৫৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হজ পালন শেষে ফিরেছেন ৬৩ হাজার ১৮৮ হাজি
হজ পালন শেষে ফিরেছেন ৬৩ হাজার ১৮৮ হাজি

৫৬ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

জুলাই আন্দোলনে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু, ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জুলাই আন্দোলনে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু, ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

৫৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

টেসলায় সোনালি দিন, কিন্তু ইলন মাস্কের কারণে তিক্ত বিদায় কর্মীর!
টেসলায় সোনালি দিন, কিন্তু ইলন মাস্কের কারণে তিক্ত বিদায় কর্মীর!

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‘অ্যালকালাইন ওয়াটার’ সাধারণ পানির তুলনায় কতটা ভিন্ন?
‘অ্যালকালাইন ওয়াটার’ সাধারণ পানির তুলনায় কতটা ভিন্ন?

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বৃহস্পতিবার যেসব এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
বৃহস্পতিবার যেসব এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ১০৯
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ১০৯

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি: ২২ ঘণ্টা পর দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি: ২২ ঘণ্টা পর দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান
তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আকাশে দেখা মিলবে ৮টি দুর্লভ মহাজাগতিক দৃশ্য
আকাশে দেখা মিলবে ৮টি দুর্লভ মহাজাগতিক দৃশ্য

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!
পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢামেকের সামনের ফুটপাতে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ
ঢামেকের সামনের ফুটপাতে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, স্ক্যান করে পাঠানো যাবে নথিপত্র
হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, স্ক্যান করে পাঠানো যাবে নথিপত্র

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যাত্রাবাড়ী থেকে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার
যাত্রাবাড়ী থেকে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২ ঘণ্টা পর টিকাটুলির ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
২ ঘণ্টা পর টিকাটুলির ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দূর মহাকাশ থেকে পৃথিবী-চাঁদের অপূর্ব ছবি পাঠাল চীনের মহাকাশযান
দূর মহাকাশ থেকে পৃথিবী-চাঁদের অপূর্ব ছবি পাঠাল চীনের মহাকাশযান

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি
দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ
শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া
জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার
আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!
পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ

৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত
ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬
উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি
ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ
টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি
দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩
যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের
যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প
আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই
৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির
আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ
৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাবাকে জড়িয়ে ধরতে সন্তানের আকুতি শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান
বাবাকে জড়িয়ে ধরতে সন্তানের আকুতি শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি

প্রথম পৃষ্ঠা

এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল
এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল

মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে
নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের
নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের

পেছনের পৃষ্ঠা

জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা
জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমানের সেই মুন্নি এখন
সালমানের সেই মুন্নি এখন

শোবিজ

মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা
মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা

পেছনের পৃষ্ঠা

ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে
ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

যেমন আছেন সিনিয়র তারকারা
যেমন আছেন সিনিয়র তারকারা

শোবিজ

মান্নাকে কেন চাননি ডিপজল
মান্নাকে কেন চাননি ডিপজল

শোবিজ

প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল
প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে
প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা
মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে
স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

‘বুলবুলের ১৪৫ রানের ইনিংসটি মেসেজ দিয়েছিল’
‘বুলবুলের ১৪৫ রানের ইনিংসটি মেসেজ দিয়েছিল’

মাঠে ময়দানে

আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি
আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়
জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল

পেছনের পৃষ্ঠা

যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু
যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমীনের ‘প্রাণের বাংলাদেশ’
সাবিনা ইয়াসমীনের ‘প্রাণের বাংলাদেশ’

শোবিজ

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

নগর জীবন

সংস্কারবিহীন নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না
সংস্কারবিহীন নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল
এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল

নগর জীবন

নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না
নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই

নগর জীবন