শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৭ আপডেট:

ম্যাডাম, বিএনপির বন্ধু-সমালোচকদের বলতে দিন

কাজী সিরাজ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ম্যাডাম, বিএনপির বন্ধু-সমালোচকদের বলতে দিন

শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা দুনিয়াতেই সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে, এমন কী জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণে সুশীল সমাজ একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে, দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, মৌলিক অধিকার হরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজ নির্ভীক যোদ্ধাশ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। অনেক দেশে অনেক সময় রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দিয়েছেন সুশীল সমাজের সাহসী প্রতিনিধিরা। আমাদের দেশেও অতীতে যেমন, তেমন স্মরণকালেও এমন কাহিনী আছে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় রাজনীতিবিদরা যখন প্রায় ব্যর্থ, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কলহে লিপ্ত, তখন ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমদ, অ্যাডভোকেট শামসুল হক, অ্যাডভোকেট গাজিউল হক, সাংবাদিক ফয়েজ আহমদদের অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা জাতি এখনো শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তারা দলান্ধ ছিলেন না, দলদাস তো ননই। তারা ছিলেন জাতির বিবেক। এখন সুশীল সমাজের সেই বলিষ্ঠ ও সার্বজনীন চরিত্র নেই বললেই চলে। সেখানে এখন দলবাজি। কেউ আওয়ামী বুদ্ধিজীবী, কেউ বিএনপি বুদ্ধিজীবী! এর মধ্যেও দল সমর্থক বা দলানুরাগী অথবা স্বাধীনচেতা কিছু মানুষ আছেন যারা কখনো কখনো কিছু সত্য কথা বলেন; এমন কি কোনো দলের প্রতি অনুরাগ থাকলেও তার প্রয়োজনীয় গঠনমূলক সমালোচনা করেন, ভুল ধরিয়ে দেন। দল চায় দাসত্ব, ষোলো আনার ওপর বত্রিশ আনা আনুগত্য। কিন্তু সবাই কি বন্ধন-শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে চান? যারা চান না, দল তাদের না পারে গিলতে, না পারে ওগলাতে।

বিএনপিপন্থি বলে পরিচিত বুদ্ধিজীবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদসহ সুধী সমাজের পাঁচজন প্রতিনিধি গত ১২ মার্চ রবিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। কী কী পরামর্শ দিয়েছেন তার কিছু মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিক কালের কণ্ঠে তা ছাপা হয়েছে ১৪ মার্চ মঙ্গলবার। দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে। তা হচ্ছে, ‘রাজপথে নামুন, নির্বাচনে অংশ নিন। বেগম জিয়ার আমন্ত্রণে আলোচনায় অংশ নেওয়া বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বিএনপিপন্থি বলে পরিচিত হলেও দুজন কখনো কখনো এমন কিছু সত্যবাণী উচ্চারণ করেন, বিএনপি তা হজম করতে পারে না। তাদের কোনো কোনো বক্তব্য নিয়ে দলটিতে অসহিষ্ণু ভাবও পরিলক্ষিত হয়। এই দুজন হচ্ছেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. চৌধুরী বরাবরই স্বাধীনচেতা। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণযোগ্য। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না রাখা নিয়ে এরা দুজন প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ একজন দিয়েছিলেন কৌশলে আরেকজন দিয়েছিলেন সরাসরি। তারা বলেছিলেন, এতে বিএনপির ভালো হবে। দলের কর্মকাণ্ড, দল পুনর্গঠন নিয়েও এরা দুজন খোলামেলা পরামর্শ দিয়েছেন। অতিসম্প্রতি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্বাচন কমিশন মানা না মানা নিয়ে দেওয়া বক্তব্য সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা পেলেও বিএনপির উঁচুমহল তাতে বিরক্ত হয়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা নিয়েও তাদের অবস্থান বরাবরই ছিল পরিষ্কার। গত রবিবার তা তারা একেবারে পাবলিক করে দিলেন। সরকারি মহল কখনো কখনো তাদের বক্তব্য সরকার ও সরকারি দলের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। কোনো দল সম্পর্কে কোনো বাস্তব ও সত্য ভাষণ যদি অন্যরা বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজে লাগিয়ে ফেলে তো লাগাবে, তাই বলে সত্য বলা থেকে কি বিরত থাকতে হবে? বন্ধুর বন্ধুসুলভ গঠনমূলক সমালোচনা ও যৌক্তিক পরামর্শ নিজেদের ভ্রান্তি-বিলাসের কারণে যদি বিসদৃশ মনে করে উপেক্ষা করা হয় এবং প্রকৃত বন্ধুকে শত্রু বলে বিবেচনা করা হয় কিছু করার নেই। এ ব্যাপারে বিএনপির রেকর্ড ভালো নয়। অনেকের ধারণা বিএনপির কর্ণধাররা আপনপর চিনতে ভুল করেন। কখনো কখনো মিত্রকে শত্রু শিবিরে পাঠিয়ে দেন তেমন প্রমাণও আছে। যে পাঁচজন বুদ্ধিজীবী বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছেন তাদের মধ্যে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জীবনে যা পেয়েছেন, তারচেয়ে বিএনপি থেকে আর বেশি কিছু পাওয়ার নেই। এ ধরনের ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করার ক্ষেত্রেও বিএনপি নেতৃত্বের যে হীনম্মন্যতা তাও পীড়াদায়ক। বেগম জিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কালে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের মতো একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানীকে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। যদিও তিনি সে পদ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বিএনপির নেতারা তারপরও উপলব্ধি করেননি যে, এমন একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করে অসম্মান করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান মিঞাকে বানানো হয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক। এটি তার যোগ্য পুরস্কার হয়েছিল বলে মনে করেননি দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষিত মানুষ। ডা. জাফরুল্লাহ তো এসবের থোরাই কেয়ার করেন। রবিবারের বৈঠকের পর যে খবর পত্রিকায় ছাপা হয়েছে তার কোনো প্রতিবাদ বিএনপি বা অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে কেউ করেননি। কাজেই পাঁচ বুদ্ধিজীবীর এবং বেগম খালেদা জিয়ার বরাত দিয়ে যে বক্তব্য ছাপা হয়েছে তা সর্বাংশে সত্য বলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে। বিএনপির অনেক শুভানুধ্যায়ী হতাশ এই কারণে যে, বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে বেগম খালেদা জিয়া যে পরামর্শ দিয়েছেন যদি তা পালিত হয় তা হলে বিএনপির ভালোর জন্য সাহস করে সত্য কথা বলার কি আর খ্যাতিমান কোনো লোক থাকবেন না? অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বশালীরাও মুখে কুলুপ এঁটে দেবেন? তাদের মুখে কৌশলে কুলুপ এঁটে দেওয়ার জন্যই কি তবে বৈঠকটির আয়োজন করা হয়েছিল?

আলোচনাকালে বেগম খালেদা জিয়া ‘বিএনপি’র বিরুদ্ধে যায় বা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এমন বক্তব্য সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে সতর্কতার সঙ্গে দেওয়ার অনুরোধ করেন (কালের কণ্ঠ, ১৪ মার্চ, ২০১৭)। সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্ত বিএনপি সমর্থকরা অথবা দলটির প্রতি যাদের কিছুটা দুর্বলতা আছে তারা দলীয় ডিসিপ্লিনের অন্তর্ভুক্ত নন। তারা যা ভাবেন তা দলীয় ফোরামে আলোচনা করার কোনো সুযোগ তাদের নেই। এই ধরনের গুণীজনদের সঙ্গে মাঝে মাঝে আলোচনা ও পরামর্শ গ্রহণের কালচার বর্তমান বিএনপিতে নেই। অথচ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ভিন্নমতাবলম্বীদের সঙ্গেও আলোচনা করতেন, পরামর্শও নিতেন। প্রয়াত প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসার লেখায় এর উল্লেখ আছে। বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী আবরণধারী নানা পদের ‘দোকান’ আয়োজিত সেমিনার-সিম্পোজিয়ামেই উল্লিখিত ব্যক্তিরা অতিথি হয়ে যান। ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীর ব্যাপারটা অবশ্য ভিন্ন। বিএনপি ঘরানার বাইরের লোকজনও তাকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানায়। এসব জায়গায়ই তারা উদ্যোক্তাদের দলের ভুল-ভ্রান্তির সমালোচনা করেন সংশোধনের জন্য। আরও বড় ভুল করে সর্বনাশের ষোলোকলা পূর্ণ করার জন্য নয়। তারা নিশ্চয়ই এমন ধারণা থেকেই ওই সব সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে বক্তব্য রাখেন যে, তাদের সমালোচনা বা পরামর্শের বার্তাটা দলের শীর্ষ ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছবে। যারা পত্র-পত্রিকায় লেখেন তাদের উদ্দেশ্যও এই থাকে যে, লেখাটা বা লেখাগুলো ঠিক জায়গায় পৌঁছবে এবং তিনি বা তারা তা পড়ে চিন্তা-ভাবনা করবেন, ভালো পরামর্শ গ্রহণ করে দলের জন্য ক্ষতিকর দিকগুলো বর্জন করবেন। কিন্তু যদি তাদের মুখ বন্ধ করার এবং কলম থামিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং সে পরামর্শ মেনে নেওয়া হয় তাহলে কি বিএনপি লাভবান হবে? গোপন কোনো পরামর্শ যদি আমলে নেওয়া না হয় তাহলে মানুষ কী করে বুঝবে যে, একটা ভালো পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যা শুনলে দলের লাভ হতো! দল সমর্থক সংগঠন বা অঙ্গদল-সহযোগী দলের আয়োজিত সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে প্রদত্ত বক্তব্য মতামত গঠনেও সহায়ক হয়। যেহেতু বক্তব্যটি পাবলিক হয়ে যায় সেহেতু এ ব্যাপারে নেতৃত্বের ওপর একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। কিন্তু বক্তব্য বা পরামর্শ যদি পছন্দানুযায়ী নাও হয় তার প্রকাশ্য বিরোধিতা করা মুশকিল হয়। তখন রাজনৈতিক ও আদর্শিক সিদ্ধান্তহীনতা বা দোদুল্যমানতার কারণে নানা সমীকরণ মিলাতে গিয়ে পরামর্শ বা সমালোচনা ইগনোর করা হয়, কখনো বা নানামুখী চাপের মুখে তা বর্জনও করা হয়। যেমন— ডাক্তার জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী সাবেক সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মোফাজ্জল করিমকে সসম্মানে দলে ফেরত আনার প্রস্তাব করেছেন বৈঠকে। তিনি সংস্কারপন্থি বলে পরিচিত। পরামর্শটি যদি গোপন থাকত তাহলে বিষয়টি ইগনোর করলে কারও কিছু বলার থাকত না না জানার কারণে। এখন যখন জানা গেল এরপর মোফাজ্জল করিমের মতো একজন সাবেক ঝানু আমলা-কূটনীতিকের ব্যাপারে দল যদি নীরব থাকে অথবা ‘কান ধরে উঠবোস করে আসতে বলা হয়’ তখন দলকর্তাদের মনোভাবটা স্পষ্ট হবে এবং বিষয়টি সাধারণ মানুষ, কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের কাছে একটি নিন্দিত বিষয় হবে। প্রতিপক্ষও এসবে মজা নিতে পারে। কিছুদিন আগে মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিক ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরীর কথা লিখেছিলাম। এই ধরনের ব্যক্তিরা যে কোনো দলের জন্য অলঙ্কারই শুধু নন, অহংকারও বটে। দল উপকৃত হয় এমন সব ব্যক্তির দ্বারা। দেশেরও কাজে লাগেন তারা। দলের ভিতর এদের কথা বলেন না কেউ। একপক্ষ বলেন না নিজস্ব স্বার্থে। শিক্ষিত, মেধাবী ও যোগ্য ব্যক্তিরা প্রাধান্য পেলে মেধাহীন, যোগ্যতাহীন ‘রাজনৈতিক মূর্খ’রা দলে শান-শওকতে থাকতে পারেন না, বড় বড় পদ-পদবি দখল করে ‘পদগুণে বুদ্ধিমান, পতাকাগুণে ক্ষমতাবান’ থাকতে পারেন না। আরেক পক্ষ বলে না ভয়ে। দলে যারা রাজনীতি-আদর্শের কোনো গুরুত্ব দেন না, ভালো কাজ, ভালো মানুষের বিরোধিতা করেন বা পথ রোধ করেন তারা এতটাই শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান যে, তাদের বদনজরে পড়লে ছোটখাটো দলীয় পদ-পদবি যা আছে তাও যাবে। এমন পরিস্থিতিতে দলের ভালোর কথা চিন্তা করে ভালো কথা, হক কথা তো যাদের কোনো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই তেমন স্বাধীন ও সৎ ব্যক্তিরাই বলবেন। দেশের পক্ষে জনগণের পক্ষে এবং কখনো কখনো প্রিয় দলের পক্ষে অনুরাগী বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের লোকরা কথা বলেছেন অতীতেও। দেশে, এমন কি বিদেশেও।

অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, ডাক্তার জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ্, অধ্যাপক আ. ক. ম. ইউসুফ হায়দার ও প্রবীণ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ আমাদের দেশের অতি পরিচিত উজ্জ্বল মুখ। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও দেশের প্রয়োজন যথার্থভাবে উপলব্ধি করেই তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজপথে নামার ও নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ‘স্নান করবেন, চুল ভেজাবেন না’, তা কি হয়? রাজনীতি করবেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলেন, আবার ক্ষমতায় যেতে চান, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর সমর্থনও এনজয় করেন, কিন্তু জেল-জুলুমের কথা বলে রাজপথে নামবেন না, তা হয় না। জনগণের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে জীবন দেওয়া, কারা নির্যাতন, মামলা-মোকদ্দমার যন্ত্রণা ভোগ করা রাজনীতিবিদদের জন্য নতুন নয়। বলাই হয়ে থাকে রাজনীতিবিদের জন্য ‘ফুলের মালা আর বন্দীশালা’ যে কোনো সময় যে কোনোটাই জুটতে পারে। বুদ্ধিজীবীরা যথার্থই বলেছেন, জেল-জুলুমসহ সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে রাজপথে নামার সাহস দেখাতে না পারলে জনগণ অনন্তকাল বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবেন না। তারা মাঠে নামার কৌশল উদ্ভাবনের কথা বলেছেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগ্যতা, বিচক্ষণতার প্রমাণ মেলে শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে গণতান্ত্রিক পন্থায় কাবু করে দেওয়ার মাধ্যমে। জনগণ ভয়ে রাজপথে নামে না কথাটা ঠিক নয়, ভয়ে রাজপথে নামেন না বিএনপির ‘নেতারা’। একসময় নেমেছেন ‘হালকা-পাতলা’ ছিলেন, এখন এতই ‘মোটাতাজা’ যে, রাজপথকে ভয় পান, আগে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় নেমেছেন, এখন ‘হারানোর ভয়ে’ নামেন না। এমপি, মন্ত্রী-মিনিস্টার হবেন ‘নেতারা’; তারা না নামলে ‘জনগণের কী ঠেকা মাঠে নামার? সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধিবৃত্তিক, মতাদর্শগত লড়াইয়ে সহযোগিতা করতে পারেন, কিন্তু মূল কাজটা করতে হবে বিএনপিকেই। বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের কাছ থেকে দলীয় ক্যাডারের সার্ভিস চাওয়ার কোনো মানে নেই। দলবাজ বুদ্ধিজীবীরা শেষে দলদাসে পরিণত হতে দেখা যায়। এই ধরনের দলদাস আলটিমেটলি দলের কোনো উপকারই করতে পারে না।

বিএনপিতে সংকটটা তীব্র। সমালোচনা সহ্যই করা হয় না সেখানে। দলীয় ফোরামে দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের কোনো গঠনমূলক সমালোচনাও সহ্য করা হয় না বলে শোনা যায়। নেতৃত্ব সম্পর্কে অভিযোগ, তারা বন্দনাপ্রিয়। আওয়ামী লীগে তোষামোদকারী-স্তুতিকারের ছড়াছড়ি থাকলেও কঠোর সমালোচকও আছেন। তাদের দল সহ্য করে, সমীহও করে। ড. মইনুল ইসলাম দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ; আওয়ামী অনুরাগী। কিন্তু কঠোর সমালোচকও। আবুল মোমেন। প্রয়োজনীয় সমালোচনায় ছাড়েন না দলকে, সরকারকে। এবার একুশে পদক পেলেন। বিএনপি হলে সুযোগ থাকলে ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী কোনো পদকপ্রাপ্ত হলে তা কেড়ে নিত। সাবেক কেবিনেট সচিব মহিউদ্দিন আহমদের বঙ্গবন্ধুপ্রীতি সর্বজনবিদিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও সরকারের প্রয়োজনীয় সমালোচনায় সর্বদা তাকে সরব দেখা যায়। কোনো ধুরন্ধর স্বার্থবাজ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে দিয়ে এদের কৌশলে প্রচ্ছন্নভাবে মাথায় হাত বুলিয়ে ‘কোমল ধমকেরও’ ব্যবস্থা করেছেন এমন নজির নেই। বিএনপি নেতৃত্বের উচিত যেহেতু দলে ন্যূনতমও গণতন্ত্রের চর্চা ও অনুশীলন নেই, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যারা গঠনমূলক কিছু সমালোচনা করেন, তাদের বাধা না দেওয়া। অনুরোধ করব, ম্যাডাম, তাদের বলতে দিন।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

২ সেকেন্ড আগে | বিজ্ঞান

সংসদ নির্বাচন: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর
সংসদ নির্বাচন: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর

৪৪ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁদপুরে হাতুড়ির আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু
চাঁদপুরে হাতুড়ির আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যশোরে কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
যশোরে কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টরেন্টোতে ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু
টরেন্টোতে ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু

১৮ মিনিট আগে | পরবাস

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৩১৩ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৩১৩ মামলা

১৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

শাবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প
শাবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী ফ্রি স্টুডেন্ট হেলথ ক্যাম্প

২২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

৫ দিনের রিমান্ডে স্বাস্থ্যের ঠিকাদার মিঠু
৫ দিনের রিমান্ডে স্বাস্থ্যের ঠিকাদার মিঠু

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বাজারে এলো সাশ্রয়ী মূল্যের ‘আকিজ ড্রিংকিং ওয়াটার’
বাজারে এলো সাশ্রয়ী মূল্যের ‘আকিজ ড্রিংকিং ওয়াটার’

৩২ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

৪ বিভাগে ভারি বৃষ্টির শঙ্কা
৪ বিভাগে ভারি বৃষ্টির শঙ্কা

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের মানবাধিকার চর্চার প্রচেষ্টায় ইইউয়ের প্রতিনিধি দলের প্রশংসা
বাংলাদেশের মানবাধিকার চর্চার প্রচেষ্টায় ইইউয়ের প্রতিনিধি দলের প্রশংসা

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

বৈশ্বিক অনিশ্চয়তায় সুদের হার অপরিবর্তিত ব্রাজিলের
বৈশ্বিক অনিশ্চয়তায় সুদের হার অপরিবর্তিত ব্রাজিলের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়া হালাল শোকেসের ২১তম আসরে বাংলাদেশ
মালয়েশিয়া হালাল শোকেসের ২১তম আসরে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

উখিয়ায় বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু
উখিয়ায় বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিপাইনে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা
ফিলিপাইনে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুবাইয়ে আবাসিক এলাকায় সাপ আতঙ্ক
দুবাইয়ে আবাসিক এলাকায় সাপ আতঙ্ক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা রিজেন্সি –তে ট্যুরিজম ফেস্ট ২০২৫ এর উদ্বোধন
ঢাকা রিজেন্সি –তে ট্যুরিজম ফেস্ট ২০২৫ এর উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক
মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল গ্রাম, নিখোঁজ অন্তত ১০
উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল গ্রাম, নিখোঁজ অন্তত ১০

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেফতার ১১
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেফতার ১১

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশি সমর্থকরা শ্রীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে : শানাকা
বাংলাদেশি সমর্থকরা শ্রীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে : শানাকা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল
রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাতরাস্তা মোড়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু
সাতরাস্তা মোড়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভ্লগার সিরাজের আয়ে পাকিস্তানের দুর্গম গ্রামে আধুনিক স্কুল
ভ্লগার সিরাজের আয়ে পাকিস্তানের দুর্গম গ্রামে আধুনিক স্কুল

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন