শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৭ আপডেট:

ম্যাডাম, বিএনপির বন্ধু-সমালোচকদের বলতে দিন

কাজী সিরাজ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ম্যাডাম, বিএনপির বন্ধু-সমালোচকদের বলতে দিন

শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা দুনিয়াতেই সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে, এমন কী জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণে সুশীল সমাজ একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে, দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, মৌলিক অধিকার হরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজ নির্ভীক যোদ্ধাশ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। অনেক দেশে অনেক সময় রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দিয়েছেন সুশীল সমাজের সাহসী প্রতিনিধিরা। আমাদের দেশেও অতীতে যেমন, তেমন স্মরণকালেও এমন কাহিনী আছে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় রাজনীতিবিদরা যখন প্রায় ব্যর্থ, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কলহে লিপ্ত, তখন ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমদ, অ্যাডভোকেট শামসুল হক, অ্যাডভোকেট গাজিউল হক, সাংবাদিক ফয়েজ আহমদদের অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা জাতি এখনো শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তারা দলান্ধ ছিলেন না, দলদাস তো ননই। তারা ছিলেন জাতির বিবেক। এখন সুশীল সমাজের সেই বলিষ্ঠ ও সার্বজনীন চরিত্র নেই বললেই চলে। সেখানে এখন দলবাজি। কেউ আওয়ামী বুদ্ধিজীবী, কেউ বিএনপি বুদ্ধিজীবী! এর মধ্যেও দল সমর্থক বা দলানুরাগী অথবা স্বাধীনচেতা কিছু মানুষ আছেন যারা কখনো কখনো কিছু সত্য কথা বলেন; এমন কি কোনো দলের প্রতি অনুরাগ থাকলেও তার প্রয়োজনীয় গঠনমূলক সমালোচনা করেন, ভুল ধরিয়ে দেন। দল চায় দাসত্ব, ষোলো আনার ওপর বত্রিশ আনা আনুগত্য। কিন্তু সবাই কি বন্ধন-শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে চান? যারা চান না, দল তাদের না পারে গিলতে, না পারে ওগলাতে।

বিএনপিপন্থি বলে পরিচিত বুদ্ধিজীবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদসহ সুধী সমাজের পাঁচজন প্রতিনিধি গত ১২ মার্চ রবিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। কী কী পরামর্শ দিয়েছেন তার কিছু মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিক কালের কণ্ঠে তা ছাপা হয়েছে ১৪ মার্চ মঙ্গলবার। দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে। তা হচ্ছে, ‘রাজপথে নামুন, নির্বাচনে অংশ নিন। বেগম জিয়ার আমন্ত্রণে আলোচনায় অংশ নেওয়া বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বিএনপিপন্থি বলে পরিচিত হলেও দুজন কখনো কখনো এমন কিছু সত্যবাণী উচ্চারণ করেন, বিএনপি তা হজম করতে পারে না। তাদের কোনো কোনো বক্তব্য নিয়ে দলটিতে অসহিষ্ণু ভাবও পরিলক্ষিত হয়। এই দুজন হচ্ছেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. চৌধুরী বরাবরই স্বাধীনচেতা। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণযোগ্য। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না রাখা নিয়ে এরা দুজন প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ একজন দিয়েছিলেন কৌশলে আরেকজন দিয়েছিলেন সরাসরি। তারা বলেছিলেন, এতে বিএনপির ভালো হবে। দলের কর্মকাণ্ড, দল পুনর্গঠন নিয়েও এরা দুজন খোলামেলা পরামর্শ দিয়েছেন। অতিসম্প্রতি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্বাচন কমিশন মানা না মানা নিয়ে দেওয়া বক্তব্য সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা পেলেও বিএনপির উঁচুমহল তাতে বিরক্ত হয়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা নিয়েও তাদের অবস্থান বরাবরই ছিল পরিষ্কার। গত রবিবার তা তারা একেবারে পাবলিক করে দিলেন। সরকারি মহল কখনো কখনো তাদের বক্তব্য সরকার ও সরকারি দলের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। কোনো দল সম্পর্কে কোনো বাস্তব ও সত্য ভাষণ যদি অন্যরা বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজে লাগিয়ে ফেলে তো লাগাবে, তাই বলে সত্য বলা থেকে কি বিরত থাকতে হবে? বন্ধুর বন্ধুসুলভ গঠনমূলক সমালোচনা ও যৌক্তিক পরামর্শ নিজেদের ভ্রান্তি-বিলাসের কারণে যদি বিসদৃশ মনে করে উপেক্ষা করা হয় এবং প্রকৃত বন্ধুকে শত্রু বলে বিবেচনা করা হয় কিছু করার নেই। এ ব্যাপারে বিএনপির রেকর্ড ভালো নয়। অনেকের ধারণা বিএনপির কর্ণধাররা আপনপর চিনতে ভুল করেন। কখনো কখনো মিত্রকে শত্রু শিবিরে পাঠিয়ে দেন তেমন প্রমাণও আছে। যে পাঁচজন বুদ্ধিজীবী বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছেন তাদের মধ্যে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জীবনে যা পেয়েছেন, তারচেয়ে বিএনপি থেকে আর বেশি কিছু পাওয়ার নেই। এ ধরনের ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করার ক্ষেত্রেও বিএনপি নেতৃত্বের যে হীনম্মন্যতা তাও পীড়াদায়ক। বেগম জিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কালে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের মতো একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানীকে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। যদিও তিনি সে পদ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বিএনপির নেতারা তারপরও উপলব্ধি করেননি যে, এমন একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করে অসম্মান করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান মিঞাকে বানানো হয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক। এটি তার যোগ্য পুরস্কার হয়েছিল বলে মনে করেননি দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষিত মানুষ। ডা. জাফরুল্লাহ তো এসবের থোরাই কেয়ার করেন। রবিবারের বৈঠকের পর যে খবর পত্রিকায় ছাপা হয়েছে তার কোনো প্রতিবাদ বিএনপি বা অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে কেউ করেননি। কাজেই পাঁচ বুদ্ধিজীবীর এবং বেগম খালেদা জিয়ার বরাত দিয়ে যে বক্তব্য ছাপা হয়েছে তা সর্বাংশে সত্য বলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে। বিএনপির অনেক শুভানুধ্যায়ী হতাশ এই কারণে যে, বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে বেগম খালেদা জিয়া যে পরামর্শ দিয়েছেন যদি তা পালিত হয় তা হলে বিএনপির ভালোর জন্য সাহস করে সত্য কথা বলার কি আর খ্যাতিমান কোনো লোক থাকবেন না? অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বশালীরাও মুখে কুলুপ এঁটে দেবেন? তাদের মুখে কৌশলে কুলুপ এঁটে দেওয়ার জন্যই কি তবে বৈঠকটির আয়োজন করা হয়েছিল?

আলোচনাকালে বেগম খালেদা জিয়া ‘বিএনপি’র বিরুদ্ধে যায় বা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এমন বক্তব্য সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে সতর্কতার সঙ্গে দেওয়ার অনুরোধ করেন (কালের কণ্ঠ, ১৪ মার্চ, ২০১৭)। সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্ত বিএনপি সমর্থকরা অথবা দলটির প্রতি যাদের কিছুটা দুর্বলতা আছে তারা দলীয় ডিসিপ্লিনের অন্তর্ভুক্ত নন। তারা যা ভাবেন তা দলীয় ফোরামে আলোচনা করার কোনো সুযোগ তাদের নেই। এই ধরনের গুণীজনদের সঙ্গে মাঝে মাঝে আলোচনা ও পরামর্শ গ্রহণের কালচার বর্তমান বিএনপিতে নেই। অথচ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ভিন্নমতাবলম্বীদের সঙ্গেও আলোচনা করতেন, পরামর্শও নিতেন। প্রয়াত প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসার লেখায় এর উল্লেখ আছে। বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী আবরণধারী নানা পদের ‘দোকান’ আয়োজিত সেমিনার-সিম্পোজিয়ামেই উল্লিখিত ব্যক্তিরা অতিথি হয়ে যান। ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীর ব্যাপারটা অবশ্য ভিন্ন। বিএনপি ঘরানার বাইরের লোকজনও তাকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানায়। এসব জায়গায়ই তারা উদ্যোক্তাদের দলের ভুল-ভ্রান্তির সমালোচনা করেন সংশোধনের জন্য। আরও বড় ভুল করে সর্বনাশের ষোলোকলা পূর্ণ করার জন্য নয়। তারা নিশ্চয়ই এমন ধারণা থেকেই ওই সব সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে বক্তব্য রাখেন যে, তাদের সমালোচনা বা পরামর্শের বার্তাটা দলের শীর্ষ ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছবে। যারা পত্র-পত্রিকায় লেখেন তাদের উদ্দেশ্যও এই থাকে যে, লেখাটা বা লেখাগুলো ঠিক জায়গায় পৌঁছবে এবং তিনি বা তারা তা পড়ে চিন্তা-ভাবনা করবেন, ভালো পরামর্শ গ্রহণ করে দলের জন্য ক্ষতিকর দিকগুলো বর্জন করবেন। কিন্তু যদি তাদের মুখ বন্ধ করার এবং কলম থামিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং সে পরামর্শ মেনে নেওয়া হয় তাহলে কি বিএনপি লাভবান হবে? গোপন কোনো পরামর্শ যদি আমলে নেওয়া না হয় তাহলে মানুষ কী করে বুঝবে যে, একটা ভালো পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যা শুনলে দলের লাভ হতো! দল সমর্থক সংগঠন বা অঙ্গদল-সহযোগী দলের আয়োজিত সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে প্রদত্ত বক্তব্য মতামত গঠনেও সহায়ক হয়। যেহেতু বক্তব্যটি পাবলিক হয়ে যায় সেহেতু এ ব্যাপারে নেতৃত্বের ওপর একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। কিন্তু বক্তব্য বা পরামর্শ যদি পছন্দানুযায়ী নাও হয় তার প্রকাশ্য বিরোধিতা করা মুশকিল হয়। তখন রাজনৈতিক ও আদর্শিক সিদ্ধান্তহীনতা বা দোদুল্যমানতার কারণে নানা সমীকরণ মিলাতে গিয়ে পরামর্শ বা সমালোচনা ইগনোর করা হয়, কখনো বা নানামুখী চাপের মুখে তা বর্জনও করা হয়। যেমন— ডাক্তার জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী সাবেক সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মোফাজ্জল করিমকে সসম্মানে দলে ফেরত আনার প্রস্তাব করেছেন বৈঠকে। তিনি সংস্কারপন্থি বলে পরিচিত। পরামর্শটি যদি গোপন থাকত তাহলে বিষয়টি ইগনোর করলে কারও কিছু বলার থাকত না না জানার কারণে। এখন যখন জানা গেল এরপর মোফাজ্জল করিমের মতো একজন সাবেক ঝানু আমলা-কূটনীতিকের ব্যাপারে দল যদি নীরব থাকে অথবা ‘কান ধরে উঠবোস করে আসতে বলা হয়’ তখন দলকর্তাদের মনোভাবটা স্পষ্ট হবে এবং বিষয়টি সাধারণ মানুষ, কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের কাছে একটি নিন্দিত বিষয় হবে। প্রতিপক্ষও এসবে মজা নিতে পারে। কিছুদিন আগে মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিক ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরীর কথা লিখেছিলাম। এই ধরনের ব্যক্তিরা যে কোনো দলের জন্য অলঙ্কারই শুধু নন, অহংকারও বটে। দল উপকৃত হয় এমন সব ব্যক্তির দ্বারা। দেশেরও কাজে লাগেন তারা। দলের ভিতর এদের কথা বলেন না কেউ। একপক্ষ বলেন না নিজস্ব স্বার্থে। শিক্ষিত, মেধাবী ও যোগ্য ব্যক্তিরা প্রাধান্য পেলে মেধাহীন, যোগ্যতাহীন ‘রাজনৈতিক মূর্খ’রা দলে শান-শওকতে থাকতে পারেন না, বড় বড় পদ-পদবি দখল করে ‘পদগুণে বুদ্ধিমান, পতাকাগুণে ক্ষমতাবান’ থাকতে পারেন না। আরেক পক্ষ বলে না ভয়ে। দলে যারা রাজনীতি-আদর্শের কোনো গুরুত্ব দেন না, ভালো কাজ, ভালো মানুষের বিরোধিতা করেন বা পথ রোধ করেন তারা এতটাই শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান যে, তাদের বদনজরে পড়লে ছোটখাটো দলীয় পদ-পদবি যা আছে তাও যাবে। এমন পরিস্থিতিতে দলের ভালোর কথা চিন্তা করে ভালো কথা, হক কথা তো যাদের কোনো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই তেমন স্বাধীন ও সৎ ব্যক্তিরাই বলবেন। দেশের পক্ষে জনগণের পক্ষে এবং কখনো কখনো প্রিয় দলের পক্ষে অনুরাগী বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের লোকরা কথা বলেছেন অতীতেও। দেশে, এমন কি বিদেশেও।

অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, ডাক্তার জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ্, অধ্যাপক আ. ক. ম. ইউসুফ হায়দার ও প্রবীণ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ আমাদের দেশের অতি পরিচিত উজ্জ্বল মুখ। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও দেশের প্রয়োজন যথার্থভাবে উপলব্ধি করেই তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজপথে নামার ও নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ‘স্নান করবেন, চুল ভেজাবেন না’, তা কি হয়? রাজনীতি করবেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলেন, আবার ক্ষমতায় যেতে চান, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর সমর্থনও এনজয় করেন, কিন্তু জেল-জুলুমের কথা বলে রাজপথে নামবেন না, তা হয় না। জনগণের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে জীবন দেওয়া, কারা নির্যাতন, মামলা-মোকদ্দমার যন্ত্রণা ভোগ করা রাজনীতিবিদদের জন্য নতুন নয়। বলাই হয়ে থাকে রাজনীতিবিদের জন্য ‘ফুলের মালা আর বন্দীশালা’ যে কোনো সময় যে কোনোটাই জুটতে পারে। বুদ্ধিজীবীরা যথার্থই বলেছেন, জেল-জুলুমসহ সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে রাজপথে নামার সাহস দেখাতে না পারলে জনগণ অনন্তকাল বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবেন না। তারা মাঠে নামার কৌশল উদ্ভাবনের কথা বলেছেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগ্যতা, বিচক্ষণতার প্রমাণ মেলে শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে গণতান্ত্রিক পন্থায় কাবু করে দেওয়ার মাধ্যমে। জনগণ ভয়ে রাজপথে নামে না কথাটা ঠিক নয়, ভয়ে রাজপথে নামেন না বিএনপির ‘নেতারা’। একসময় নেমেছেন ‘হালকা-পাতলা’ ছিলেন, এখন এতই ‘মোটাতাজা’ যে, রাজপথকে ভয় পান, আগে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় নেমেছেন, এখন ‘হারানোর ভয়ে’ নামেন না। এমপি, মন্ত্রী-মিনিস্টার হবেন ‘নেতারা’; তারা না নামলে ‘জনগণের কী ঠেকা মাঠে নামার? সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধিবৃত্তিক, মতাদর্শগত লড়াইয়ে সহযোগিতা করতে পারেন, কিন্তু মূল কাজটা করতে হবে বিএনপিকেই। বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের কাছ থেকে দলীয় ক্যাডারের সার্ভিস চাওয়ার কোনো মানে নেই। দলবাজ বুদ্ধিজীবীরা শেষে দলদাসে পরিণত হতে দেখা যায়। এই ধরনের দলদাস আলটিমেটলি দলের কোনো উপকারই করতে পারে না।

বিএনপিতে সংকটটা তীব্র। সমালোচনা সহ্যই করা হয় না সেখানে। দলীয় ফোরামে দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের কোনো গঠনমূলক সমালোচনাও সহ্য করা হয় না বলে শোনা যায়। নেতৃত্ব সম্পর্কে অভিযোগ, তারা বন্দনাপ্রিয়। আওয়ামী লীগে তোষামোদকারী-স্তুতিকারের ছড়াছড়ি থাকলেও কঠোর সমালোচকও আছেন। তাদের দল সহ্য করে, সমীহও করে। ড. মইনুল ইসলাম দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ; আওয়ামী অনুরাগী। কিন্তু কঠোর সমালোচকও। আবুল মোমেন। প্রয়োজনীয় সমালোচনায় ছাড়েন না দলকে, সরকারকে। এবার একুশে পদক পেলেন। বিএনপি হলে সুযোগ থাকলে ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী কোনো পদকপ্রাপ্ত হলে তা কেড়ে নিত। সাবেক কেবিনেট সচিব মহিউদ্দিন আহমদের বঙ্গবন্ধুপ্রীতি সর্বজনবিদিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও সরকারের প্রয়োজনীয় সমালোচনায় সর্বদা তাকে সরব দেখা যায়। কোনো ধুরন্ধর স্বার্থবাজ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে দিয়ে এদের কৌশলে প্রচ্ছন্নভাবে মাথায় হাত বুলিয়ে ‘কোমল ধমকেরও’ ব্যবস্থা করেছেন এমন নজির নেই। বিএনপি নেতৃত্বের উচিত যেহেতু দলে ন্যূনতমও গণতন্ত্রের চর্চা ও অনুশীলন নেই, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যারা গঠনমূলক কিছু সমালোচনা করেন, তাদের বাধা না দেওয়া। অনুরোধ করব, ম্যাডাম, তাদের বলতে দিন।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ব্যবসায় দুর্দিন
ব্যবসায় দুর্দিন
দেশবাসী কী চায়
দেশবাসী কী চায়
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
সর্বশেষ খবর
পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে
পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

আফগানিস্তানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
আফগানিস্তানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
রাজধানীতে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

১৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

আবাসিক এলাকায় ফুড ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ করল সৌদি
আবাসিক এলাকায় ফুড ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ করল সৌদি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাহাবিদের জন্য নবীজি (সা.)-এর দোয়া
সাহাবিদের জন্য নবীজি (সা.)-এর দোয়া

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কোরআনের আলোকে ইস্তিগফারের ১০ ফজিলত
কোরআনের আলোকে ইস্তিগফারের ১০ ফজিলত

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ক্রীতদাস থেকে দিল্লির বাদশাহ
ক্রীতদাস থেকে দিল্লির বাদশাহ

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

এলচেকে হারিয়ে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান কমাল বার্সেলোনা
এলচেকে হারিয়ে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান কমাল বার্সেলোনা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জোড়া গোলের কীর্তি হলান্ডের, দুইয়ে ম্যানসিটি
জোড়া গোলের কীর্তি হলান্ডের, দুইয়ে ম্যানসিটি

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পরীক্ষায় কোডিং সিস্টেম চালু ও ৯ দাবিতে শাবিতে স্মারকলিপি
পরীক্ষায় কোডিং সিস্টেম চালু ও ৯ দাবিতে শাবিতে স্মারকলিপি

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার
চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নৌকা-ধান-লাঙল না, হাতপাখা সবাই বুকের ওপর রাখে: ফয়জুল করীম
নৌকা-ধান-লাঙল না, হাতপাখা সবাই বুকের ওপর রাখে: ফয়জুল করীম

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বালাশী–বাহাদুরাবাদ সড়ক ও রেলসেতুর দাবিতে গাইবান্ধায় মশাল মিছিল
বালাশী–বাহাদুরাবাদ সড়ক ও রেলসেতুর দাবিতে গাইবান্ধায় মশাল মিছিল

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগে ক্যাপাসিটি বিল্ড আপ, তারপর এলডিসি থেকে উত্তরণ: আমীর খসরু
আগে ক্যাপাসিটি বিল্ড আপ, তারপর এলডিসি থেকে উত্তরণ: আমীর খসরু

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হালাল উপার্জন জিহাদের সমতুল্য
হালাল উপার্জন জিহাদের সমতুল্য

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা
বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বরিশালের হাত-পা বাঁধা যুবকের মরদেহ উদ্ধার
বরিশালের হাত-পা বাঁধা যুবকের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১ দেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন চলছে: ইসি সচিব
১১ দেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন চলছে: ইসি সচিব

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফগানদের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় জিম্বাবুয়ে
আফগানদের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় জিম্বাবুয়ে

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১৫
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১৫

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সূর্যের রহস্য উন্মোচন : খুঁজে পাওয়া গেল অদৃশ্য চৌম্বক তরঙ্গ
সূর্যের রহস্য উন্মোচন : খুঁজে পাওয়া গেল অদৃশ্য চৌম্বক তরঙ্গ

৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অবশেষে সবুজ মমির রহস্যের জট খুলল
অবশেষে সবুজ মমির রহস্যের জট খুলল

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান
বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবনিযুক্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে ডুয়েট উপাচার্যের মতবিনিময়
নবনিযুক্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে ডুয়েট উপাচার্যের মতবিনিময়

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট হওয়ার পরই বইমেলার সময় জানা যাবে
নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট হওয়ার পরই বইমেলার সময় জানা যাবে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদত্যাগ করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম
পদত্যাগ করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রঙিন সবজিতে ভরে ওঠবে গৃহিণীর আঙিনা
রঙিন সবজিতে ভরে ওঠবে গৃহিণীর আঙিনা

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শাপলা কলি দেওয়া হলে নেবে এনসিপি
শাপলা কলি দেওয়া হলে নেবে এনসিপি

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দোষী বা নির্দোষের বাইরে ইনুর বক্তব্য আমলে নেয়ার সুযোগ নেই: চিফ প্রসিকিউটর
দোষী বা নির্দোষের বাইরে ইনুর বক্তব্য আমলে নেয়ার সুযোগ নেই: চিফ প্রসিকিউটর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর ফাঁকিতেও চ্যাম্পিয়ন সেই ডাক্তাররা
কর ফাঁকিতেও চ্যাম্পিয়ন সেই ডাক্তাররা

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায় দিয়েই রাজনৈতিক সংকটের শুরু : আপিল বিভাগকে বিএনপি
তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায় দিয়েই রাজনৈতিক সংকটের শুরু : আপিল বিভাগকে বিএনপি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও’র বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের জালিয়াতির অভিযোগ
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও’র বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের জালিয়াতির অভিযোগ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলামি আলেমের সম্ভাব্য সফর প্রসঙ্গে ভারতের মন্তব্য ঢাকার নজরে এসেছে
ইসলামি আলেমের সম্ভাব্য সফর প্রসঙ্গে ভারতের মন্তব্য ঢাকার নজরে এসেছে

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদানির সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা
আদানির সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসবেন: ধর্ম উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসবেন: ধর্ম উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও জামায়াতের আমির নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান
আবারও জামায়াতের আমির নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পদ্মার এক পাঙাশ বিক্রি হলো ৬৭ হাজার টাকায়
পদ্মার এক পাঙাশ বিক্রি হলো ৬৭ হাজার টাকায়

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বেপরোয়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ওবামার
বেপরোয়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ওবামার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নীল রঙের কুকুর! বিজ্ঞানীরাও হতবাক
নীল রঙের কুকুর! বিজ্ঞানীরাও হতবাক

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই বছরে দেড় লাখ মৃত্যু, কেন রক্তে ভাসছে সুদান
দুই বছরে দেড় লাখ মৃত্যু, কেন রক্তে ভাসছে সুদান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাড্ডায় মিললো নারী-পুরুষের গলিত মরদেহ
বাড্ডায় মিললো নারী-পুরুষের গলিত মরদেহ

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এবারের ইজতেমা জাতীয় নির্বাচনের পর: ধর্ম উপদেষ্টা
এবারের ইজতেমা জাতীয় নির্বাচনের পর: ধর্ম উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনের চমক, মানুষের সঙ্গে মহাকাশে চার ইঁদুর!
চীনের চমক, মানুষের সঙ্গে মহাকাশে চার ইঁদুর!

২২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা বিকেলে
এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা বিকেলে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নাসার তৈরি সুপারসনিক বিমানের সফল উড্ডয়ন
নাসার তৈরি সুপারসনিক বিমানের সফল উড্ডয়ন

১৮ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নাইজেরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি ট্রাম্পের
নাইজেরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি ট্রাম্পের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে দাম কমল ২৬ টাকা
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে দাম কমল ২৬ টাকা

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুর্নীতি রুখতে সংস্কার হচ্ছে জমির লিজ প্রথা
দুর্নীতি রুখতে সংস্কার হচ্ছে জমির লিজ প্রথা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার
প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিদেশে নেওয়ার কথা বলে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেফতার
বিদেশে নেওয়ার কথা বলে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশে ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন
দেশে ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহজালালে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিলল ৬৩৭৮ ইয়াবা
শাহজালালে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিলল ৬৩৭৮ ইয়াবা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এনবিআর
কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এনবিআর

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির পাশে শক্ত অবস্থানে মিত্ররা
বিএনপির পাশে শক্ত অবস্থানে মিত্ররা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপুল অর্থে ঝকঝকে স্টেশন, থামে না ট্রেন
বিপুল অর্থে ঝকঝকে স্টেশন, থামে না ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি

সম্পাদকীয়

অন্য দেশে সরকার বদলের মার্কিন নীতি সমাপ্তি
অন্য দেশে সরকার বদলের মার্কিন নীতি সমাপ্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

৩০০ আসনে লড়বে এনসিপি, প্রতীক শাপলা কলি
৩০০ আসনে লড়বে এনসিপি, প্রতীক শাপলা কলি

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণে  সালামের দুঃখ প্রকাশ
সাংবাদিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণে সালামের দুঃখ প্রকাশ

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান
বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় বিএনপির মনোনয়ন চান সাতজন
রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় বিএনপির মনোনয়ন চান সাতজন

নগর জীবন

প্রতারকদের প্রযুক্তিমুক্ত নেটওয়ার্ক
প্রতারকদের প্রযুক্তিমুক্ত নেটওয়ার্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট যেন গণপ্রতারণা না হয়
গণভোট যেন গণপ্রতারণা না হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আবারও জামায়াত আমির ডা. শফিকুর
আবারও জামায়াত আমির ডা. শফিকুর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএসএফের অনুপ্রবেশ, প্রতিরোধ স্থানীয়দের
বিএসএফের অনুপ্রবেশ, প্রতিরোধ স্থানীয়দের

খবর

রোনালদো পরিবারে অন্যরকম রাত
রোনালদো পরিবারে অন্যরকম রাত

মাঠে ময়দানে

প্রেমের টানে চীন থেকে নাসিরনগরে
প্রেমের টানে চীন থেকে নাসিরনগরে

পেছনের পৃষ্ঠা

মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বাংলাদেশের শত্রুরা
মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বাংলাদেশের শত্রুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

যোগাযোগে শৃঙ্খলা না এলে অর্থনীতির গলায় ফাঁস
যোগাযোগে শৃঙ্খলা না এলে অর্থনীতির গলায় ফাঁস

প্রথম পৃষ্ঠা

পাহাড়ি জনপদে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা
পাহাড়ি জনপদে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা

নগর জীবন

গভীর রাতে আওয়ামী লীগের মিছিল
গভীর রাতে আওয়ামী লীগের মিছিল

দেশগ্রাম

পুলিশে এখনো বঞ্চনার সুর
পুলিশে এখনো বঞ্চনার সুর

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা
নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির নাম বদলে ইন্দ্রপ্রস্থ করার দাবি বিজেপির
দিল্লির নাম বদলে ইন্দ্রপ্রস্থ করার দাবি বিজেপির

পেছনের পৃষ্ঠা

আদানিসহ অধিকাংশ বিদ্যুৎ চুক্তিতে ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি
আদানিসহ অধিকাংশ বিদ্যুৎ চুক্তিতে ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

যুুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা পেছাল এক ঘণ্টা
যুুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা পেছাল এক ঘণ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

বারে ব্যবসায়ী খুনে স্বীকারোক্তি দুজনের
বারে ব্যবসায়ী খুনে স্বীকারোক্তি দুজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

১২ কেজি এলপিজি  সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৫ টাকা
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৫ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

বাসায় ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ
বাসায় ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ

দেশগ্রাম

দরপতনে শুরু সপ্তাহ
দরপতনে শুরু সপ্তাহ

নগর জীবন

ইবতেদায়ি শিক্ষকদের রাস্তায় অবস্থানে যানজট-ভোগান্তি
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের রাস্তায় অবস্থানে যানজট-ভোগান্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা