ঝিনাইদহের মহেশখালী উপজেলার জলিলগঞ্জ গ্রামের মেয়ে রোকাইয়া আখতার রাখী। ছোটবেলা থেকেই মায়ের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ওপর তার ভীষণ আগ্রহ। আর এই আগ্রহ গান শোনা বা গেমস খেলার নয়। মোবাইলের মাধ্যমে সে নিজেই শিখেছে প্রোগ্রামিং তৈরি করা। আর সে যে প্রোগ্রামিং জানে, এর প্রমাণ যশোরে আয়োজিত প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর স্থান অর্জন করা। রাখীর মতো এখন অনেকেই অজপাড়াগাঁয়ে থেকে কোনো ল্যাপটপ, ডেস্কটপ বা নোটবুক ছাড়াই তৈরি করছে কম্পিউটারের নানা রকম প্রোগ্রাম। নারীরা এখন গৃহস্থালি, গার্মেন্টেসের গণ্ডি পেরিয়ে আলো ছড়াচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে। ১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে প্রথমবার শুরু হওয়া ‘ন্যাশনাল হ্যাকাথন ফর উইমেন’ প্রতিযোগিতায় গিয়ে দেখা যায়, কনফারেন্স রুমে প্রায় ৫০টি গোলটেবিলে ১০ জন করে বসেছেন বিভিন্ন বয়সী নারী। প্রথম টেবিলে নেত্রকোনা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মাধ্যমিক এবং কলেজের নারী শিক্ষার্থীরা কাজ করছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা নিয়ে। কোন ধরনের সফটওয়্যার ডেভেলপ করলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করছেন তারা। পরের টেবিলে নারীরা কাজ করছেন দেশের পর্যটন শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে। তথ্য ও প্রযুুক্তি খাতে মেয়েদের মেধা ও ধারণার বিকাশ ঘটাতে ল্যাপটপে প্রোগ্রামিংয়ের কাজ করছেন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা বিভিন্ন বয়সী নারী। সেখানে কাজ করতে দেখা যায় ষষ্ঠ শ্রেণির শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্যান্য বিভাগের ৫০০ নারীকে। নারীদের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহের কথা বলতে গিয়ে উইমেন ইন ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান আছিয়া খালেদা নীলা বলেন, ‘আমরা দেশের ১৮টি জেলায় প্রায় চার হাজার নারীকে কোডিং, ওয়েব ডিজাইন, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস, এনিমেশন, ই-কমার্সসহ প্রাযুক্তিক বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা দিয়ে থাকি। প্রথম দিকে তেমন কেউ আসত না। কিন্তু এখন নারীদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। স্বেচ্ছাসেবী বা বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারও উদ্যোগ নিচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে। গার্মেন্টস বা গৃহস্থালির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নারীদের পদচারণ বাড়ছে প্রযুক্তিবিষয়ক কাজে। তথ্য-প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, নারীরা আগের চেয়ে এখন প্রযুক্তির দিকে বেশি ঝুঁকছে। তবে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হবে। নারীরা খুব সহজেই আউটসোর্সিং, এনিমেশন বা কল সেন্টারগুলোতে কাজ করতে পারে। এতে যেমন তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে, পাশাপাশি ক্ষমতায়িত হবে নারী।
শিরোনাম
- নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
- 'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
- মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
- বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
- ‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
- বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
- ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
- বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই
- পুলিশের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
- আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
- সিরাজগঞ্জে ডিবি হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু
- ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার
- গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- ক্যান্সার আক্রান্তদের পাশে রোটারী
আজ বিশ্ব নারী দিবস
অংশগ্রহণ বাড়ছে তথ্য প্রযুক্তিতে
জয়শ্রী ভাদুড়ী
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর