স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, সে জন্য অসহযোগিতা আন্দোলনের কর্মসূচি তুলে নেওয়া উচিত।’ গতকাল রাতে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আন্দোলনে কোনো শিশু মারা যায়নি। শিশু হিসেবে যাদেরকে দাবি করা হয়েছে তারা সবাই কিশোর। হয়তো দুই-একজন কিশোর মারা গেছে। তবে এই আন্দোলনে শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ ভোর ছয়টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে।’ আন্দোলনের সময় পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনাকে যদি মারে, আপনি মার দেবেন না? আপনি বসে থাকবেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জীবন রক্ষা করার অধিকার তাকে দেওয়া হয়েছে। আপনাকে যদি কেউ অ্যাটাক করে, আপনি সেলফ ডিফেন্সে যেতে পারেন। এটা আইনগত অধিকার। চরম ধৈর্যসহকারে এই আন্দোলনের শুরু থেকেই পুলিশ মোকাবিলা করে আসছে।’ ‘তাহলে কাদের গুলিতে এত সংখ্যক ছাত্র-জনতা মারা গেছে?’ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনার জানা উচিত, গুলির যে খোসা পাওয়া গেছে, এর অনেকগুলো পুলিশের রাইফেলের গুলির নয়। পুলিশ এগুলো ইউজ করে না। যুবলীগের নেতা দেখেছেন, তারা বাধা দিতে গেছে, গুলি করতে যায়নি। ছাত্রলীগের নেতা কয়জন মারা গেছেন, আওয়ামী লীগের কয়জন নেতা মারা গেছেন, সেটা জিজ্ঞেস না করে উল্টোটা জিজ্ঞেস করলেন!
আসাদুজ্জামান খান বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। ছাত্রদের দাবি যেহেতু অবশিষ্ট নেই, তাই আমরা আশা করি তারা লেখাপড়ার জন্য ফিরে যাবেন। আন্দোলনকারীরা যে মন্ত্রীদের পদত্যাগ চেয়েছে- সে বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজন হলে এবং প্রধানমন্ত্রী মনে করলে তিনি পদত্যাগ করবেন। এর পরেও কোনো দাবি থাকলে প্রধানমন্ত্রীর দরজা খোলা আছে। তাদের কিছু বলার থাকলে বলতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থী যাদের আটক করা হয়েছিল গত দুই দিনে তাদের ১৩৪ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। যেসব ছাত্রকে আটক করা হয়েছে তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে সুনির্দিষ্ট বিষয় যেমন যাত্রাবাড়ীতে মেরে ঝুলিয়ে রাখা- এমন ঘটনাগুলোয় জড়িতরা ছাড়া বাকিদের জামিনে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।