লেবানন ও গাজায় অব্যাহতভাবে ইসরায়েলি হামলার জের ধরে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ইরানি পরমাণু ক্ষেত্রগুলোতে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল। অন্যদিকে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, একযোগে আক্রমণ করে ইসরায়েলের সব জ্বালানি স্থাপনা ধ্বংস করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইরান। সূত্র : আল জাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি, এএফপি, পার্স টুডে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে ইরানি হামলার জবাবে ইসরায়েল তেহরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছে। তবে কখন বা কবে এই হামলা হবে- সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় সময় ৪ অক্টোবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা জানান, হামলা বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তেল আবিবের সঙ্গে কথা বলেন এবং এখনই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা না চালাতে বলেছিলেন। কিন্তু তেল আবিব ‘হামলা চালানো থেকে বিরত থাকবে’ বলে কোনো আশ্বাস দেয়নি। মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেন, তেহরানের হামলার জবাবে পাল্টা হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু হবে না- এমন আশ্বাস বাইডেন প্রশাসনকে দিতে চায়নি ইসরায়েল। ফলে ইসরায়েল প্রতিশোধ নিতে হামাসের হামলার এক বছর পূর্তির দিনটিকে (৭ অক্টোবর) ব্যবহার করবে কি না- তা বলা কঠিন। ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল কখন ইরানে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেবে, বা হামলা চালাবে- সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই তাদের কাছে। তবে যে কোনো মুহূর্তে এটা ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রে ইরানও পাল্টা জবাব দিতে পারে। অন্যদিকে ইরানে নতুন করে যে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করলে ইসরায়েলের সব জ্বালানি স্থাপনা একসঙ্গে ধ্বংস করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। শুক্রবার লেবাননের আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দেন আইআরজিসির ডেপুটি কমান্ডার মেজর জেনারেল আলী ফাদাভি।
লেবাননে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত : লেবাননের দক্ষিণ বৈরুতের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার রাত থেকে অন্তত ১২ বার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গতকাল সকালেও হামলা হয়েছে। এ নিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে ২৬১ জন নারী ও ১২৭টি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।