রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় ফ্ল্যাট নিয়ে বিরোধের জেরে দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিমকে (৩২) পিটিয়ে ও গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় মহানগর প্রজেক্টের ৪ নম্বর রোডের ডি-ব্লকের ৭৯, ৮০, ৮১ নম্বর ৮ম তলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে এক প্রকৌশলীসহ তিনজনকে আটক করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। নিহত তামিম দীপ্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জানা গেছে, নিজেদের জমিতে নির্মিত অ্যাপার্টমেন্টে ফ্ল্যাট পাওয়া নিয়ে ডেভেলপার কোম্পানি ও তামিমদের বিরোধ চলছিল। তামিমের বাড়িতে ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী ঢুকে। বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়। তামিমের বাবা সুলতান আহমেদ অভিযোগ করেন, প্লেসান্ট প্রোপার্টিস নামে ওই কোম্পানির কর্ণধার শেখ রবিউল আলম রবির নির্দেশে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে। তিনি হাতিরঝিল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মহানগর প্রজেক্টের ওই বাড়িটির ল্যান্ড ডোনার তামিমের বাবাসহ মোট তিনজন। তাদের সঙ্গে ডেভেলপার কোম্পানির দ্বন্দ্বের জের ধরে ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন প্লেসান্ট প্রোপার্টিস নামে ডেভেলপার কোম্পানির লোকজন। তাদের সঙ্গে বহিরাগত কজন। তারা ল্যান্ড ডোনারদের সঙ্গে বাগবিতন্ডা শুরু করেন। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তারা তামিমের বুকে কিল-ঘুষি দেন। এরপর তার গলা টিপে ধরেন। তামিম অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়দের কয়েকজন তাকে মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরপরই স্থানীয়রা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে প্লেসান্ট প্রোপার্টিসের প্রকৌশলীসহ তিনজনকে আটক করে। তারা হলেন- মো. আবদুর রহিম, মো. কুরবার আলী ও মাহিন। এ ঘটনায় আরও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। তামিমের বাবা সুলতান আহমেদ জানান, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। তামিমের খালা মাহমুদা বেগম লুবনার অভিযোগ, তামিমকে হত্যার জন্য আবাসন কোম্পানিটি বহিরাগতদের ভাড়া করেছিল।