শৈশব পেরিয়ে কৈশোর। কৈশোরে প্রবেশদ্বার হচ্ছে বয়ঃসন্ধিক্ষণ। স্বতঃস্ফূর্ত ধারায় বেড়ে ওঠার মসৃণ পথে আচমকা একটি বাঁক হচ্ছে এই বয়ঃসন্ধিক্ষণ। এ সময় বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটতে থাকে দেহ ও মনে। দৈহিক পরিবর্তনের দিকেই নজর সবার। দ্রুত বাড়তে থাকে শরীর। পরিবর্তনের হাওয়া লাগে পারিবারিক পরিবেশে, সামাজিক প্রেক্ষাপটে, খেলার মাঠে, সর্বোপরি বিদ্যালয়ে, পড়াশোনায়। কেউ মানিয়ে নেয় না, কোথাও নিজেকে মানানো যায় না। কেন এমনটি ঘটে?
-সুমনা আক্তার, ভৈরব থেকে
ব্রেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে হাইপোথ্যালমাস। বয়ঃসন্ধিক্ষণের আগে এটি থাকে ঘুমন্ত। হঠাৎই ঘুমন্ত বাঘ গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে, শুরু করে সক্রিয় কর্মকাণ্ড। বয়ঃসন্ধিক্ষণের শুরুতে এখান থেকে দেহে নিঃসরণ ঘটতে থাকে গোনাডোট্রপিং রিলিজিং হরমোন। এ হরমোন মস্তিষ্কের মাস্টার গ্ল্যান্ড পিটুইটারি গ্রন্থি আলোড়িত করে। দেহে তখন শুরু হয়ে যায় হুলস্থূল ঝড়- নিঃসরণ ঘটতে থাকে ফলিকিউল স্টিমুলেটিং হরমোন, লিউটিনাইজিং হরমোন। এ হরমোনগুলো যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটায়, পরিপূর্ণতা দেয়। গ্রোথ হরমোন নামক আর একটি রসও বেরোয় পিটুইটিরি গ্রন্থি থেকে, এড্রিনাল গ্রন্থি থেকে বেরিয়ে আসে আনড্রোজেন হরমোন। এগুলো দেহে পরিবর্তন কাঠামো নির্মাণ করে, হাড় ও মাংসপেশির দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়। বয়ঃসন্ধিক্ষণে কিশোরদের ভিতর পরিবর্তনগুলো অপেক্ষাকৃত ধীরে ধীরে ঘটে থাকে। কিশোরীদের পরিবর্তন হয় রাতারাতি, ধুমধাম করে।
আপনার যে কোনো সমস্যা আমাদের লিখে জানান
ঠিকানা: বিভাগীয় সম্পাদক, ফ্রাইডে [মনোবিদের মুখোমুখি], বাংলাদেশ প্রতিদিন, ব্লক: ডি, প্লট নং: ৩৭১/এ বারিধারা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা।
ইমেইল : [email protected]