ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা বর্তমানে চরমে পৌঁছেছে, যা শুরু হয়েছিল ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার পর থেকে। গত মাসের শেষের দিকে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ওই সময় হানিয়া ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে ছিলেন। তেহরান সরাসরি ইসরায়েলকে এই হত্যার জন্য দায়ী করেছে। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ স্বীকার বা অস্বীকার কোনো কিছুই করেনি।
ইরান এই ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন ইতোমধ্যেই ওই অঞ্চলে ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন মোতায়েন করেছে।
ইরানের একজন উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদি গাজা নিয়ে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তবে ইরান তার মিত্রদের সাথে নিয়ে সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে। তিনি আরও বলেন, যদি ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে আলোচনা বিলম্বিত করার চেষ্টা করে, তবুও ইরান আক্রমণের পথে হাঁটতে পারে।
অবশ্য সরাসরি হামলা চালানোর আগে আলোচনা কতক্ষণ বিলম্বিত হওয়াকে ইরান আমলে নেবে, সেটা জানায়নি সূত্রগুলো।
এদিকে, তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমিয়ে আনতে ইরানকে বোঝানোর জন্য মিত্রদের সহায়তা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামীকাল মিসর বা কাতারে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার আগে উত্তেজনা প্রশমিত করতে তেহরানের সাথে কথা বলা হয়েছে। তবে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সংযমের আহ্বানকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল