ফিলিস্তিনের গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের স্থল অভিযান অব্যাহত রেখেছে। নতুন নতুন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এতে বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা আশ্রয়ের জন্য নির্ভরযোগ্য জায়গাও খুঁজে পাচ্ছেন না। অনেকেই বাধ্য হয়ে সমুদ্রসৈকতে আশ্রয় নিয়েছেন।
কায়রোয় চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে গাজা উপত্যকার ফিলাডেলফি ও নেতজারিম করিডরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মতপার্থক্য এখনও রয়ে গেছে। এটা আলোচনার ক্ষেত্রে একটি প্রধান বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী সম্প্রতি বেশিরভাগ লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, যা প্রায় ১০ মাস ধরে চলমান যুদ্ধে সর্বাধিক বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটিয়েছে। নিরাপদ অঞ্চলের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ফিলিস্তিনিরা অত্যন্ত মানবিক সংকটে ভুগছেন। জাতিসংঘ এবং ত্রাণ সংস্থার কর্মকর্তারাও এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস ও মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহতে সবচেয়ে বেশি ফিলিস্তিনি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বর্তমানে তারা সমুদ্রসৈকতের কাছে স্থাপিত তাঁবুতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন, কারণ অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল