মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান প্রদেশে জান্তা সরকারের পৃথক বিমান হামলায় ২০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ১১ জন।
বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার ভোরে এসব হামলা হয়।
দেশটির জাতিগত তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এই তথ্য জানিয়েছে।
টিএনএলএ মুখপাত্র এলওয়ে ইয়ে উ’ বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে (শান প্রদেশের) নামকাম শহরের দুই এলাকায় বিমান থেকে গোলাবর্ষণ করেছে জান্তা বাহিনী।
তিনি আরও জানান, হামলায় স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের অফিস ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, চারজন নারী ও দুই শিশু রয়েছে।
গত বছর কয়েক সপ্তাহের ব্যাপক সংঘর্ষের পর টিএনএলএ সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে নামখাম অঞ্চলটি দখল করে নেয়। এই অঞ্চলটি চীনের ইউনান প্রদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
টিএনএলএ স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও বিমান হামলার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে লোকজন ইচ্ছা করলে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারে এবং এক্ষেত্রে তাদের বাধা দেওয়া হবে না। তবে হামলার বিষয়ে জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কথা বলতে রাজী হননি।
গত বছর থেকে শান প্রদেশের নৃগোষ্ঠীগুলোর বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ সরকারি বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক মাত্রায় সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এসব সংঘর্ষে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বেশ কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারায়। সশস্ত্র গ্রুপগুলো প্রদেশের আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডপোস্ট দখল করে নেয়। এছাড়া চীনের সঙ্গে সীমান্ত এলাকার ক্রসিংটিরও নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা।
এ সপ্তাহের শুরুতে জান্তা সরকার প্রধান মিন অং হ্লাইং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, সশস্ত্র গ্রুপগুলোর কাছ থেকে ভূখন্ড পুনরুদ্ধারে পাল্টা হামলা চালাবে সেনাবাহিনী। এছাড়া তিনটি সশস্ত্রগোষ্ঠী ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স, আরাকান আর্মি (এএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)-কে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসাবে ঘোষণা করে।
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে পর থেকে সংঘাতের কারণে মিয়ানমারের ২৭ লাখ নাগরিক তাদের বাড়িঘর হারিয়েছেন। সূত্র: ইরাবতি
বিডি প্রতিদিন/একেএ