মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। দেশটির বিমানঘাঁটি ও গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দফতর লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়।
তবে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলাই শেষ হামলা বলে জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। বুধবার তেহরান জানিয়েছে, আর কোনও উসকানি না আসলে ইসরায়েলের ওপর নতুন করে হামলা চালানো হবে না।
তবে নতুন করে উসকানি দিলে আরও কঠোর হামলা চালানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান।
এদিকে, ইরানের আকস্মিক হামলার পর বুধবার ভোরে ইসরায়েল লক্ষ্য করে সিরিজ হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
গোষ্ঠীটি জানায়, তারা বুধবার সকালে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরপর কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে একটি ছিল ইসরায়েলি সামরিক ব্যারাকে রকেট হামলা।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিট থেকে ৭টা ২০ মিনিটের মধ্যে শুৎলা ও মাসকাফ আম সেটেলমেন্টে এবং শোমেরা ব্যারাকে ইসরায়েলি সেনাদের একটি জমায়েতে তিনটি মিসাইল হামলা চালানো হয়।
হিজবুল্লাহর দাবি, তারা যত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এর বেশ কয়েকটি সরাসরি ও নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।
ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দামইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম। তবে এসব হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে হিজবুল্লাহর পাশাপাশি ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিও। তারা দাবি করেছে, তিন ডানা বিশিষ্ট কুদস-৫ রকেট দিয়ে ইসরায়েলের গভীরে সামরিক ঘাটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা।
এ হামলায় তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ইয়েমেনের এই গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সমর্থন এই দুই দেশের স্বার্থকেও ‘আগুনের নিচে’ ফেলেছে। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ