দক্ষিণ কোরিয়াকে বিদেশি, শত্রু দেশ বলে অভিহিত করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
নিজ দেশের সৈন্যদের কিম জং উন এমনটাই বলেছেন বলে শুক্রবার জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পিয়ংইয়ং পুনরেকত্রীকরণের যে কোনো পরিকল্পনা বাতিল করেছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে থাকা সত্ত্বেও, দুই কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে চূড়ান্ত পুনর্মিলনের লক্ষ্যে সম্পর্ককে একটি ‘বিশেষ সম্পর্ক’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে, ‘রাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্র সম্পর্ক নয়।’
কিন্তু কিম জানুয়ারিতে সিউলকে তার দেশের ‘প্রধান শত্রু’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং শুক্রবার দক্ষিণের সাথে সম্পর্ককে ‘জঘণ্য সম্পর্ক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
কয়েক মাস তাজা মাইন পুঁতে রাখা এবং সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার পর পিয়ংইয়ং এই সপ্তাহে সড়ক ও রেলপথ গুড়িয়ে দিয়েছে। এই সড়ক ও রেলপথ দক্ষিণের সাথে সংযুক্ত করেছে এবং পিয়ংইয়ং বলেছে, উত্তর কোরিয়ার সংবিধান এখন দক্ষিণকে একটি ‘শত্রু’ রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করেছে।
পিয়ংইয়ংয়ের সরকারি সংবাদ মাধ্যম ‘কেসিএনএ’ জানিয়েছে, কিম কোরিয়ান পিপলস আর্মির দ্বিতীয় কর্পসকে বলেছেন ‘আমাদের সেনাবাহিনীর আবারও এই সত্যটি মনে রাখা উচিত যে দক্ষিণ কোরিয়া একটি ‘বিদেশি’ দেশ এবং একটি দৃশ্যত শত্রু দেশ’।
কিম বলেছেন, এই সপ্তাহে সড়ক ও রেলপথকে গতিশীল করার অর্থ হল ‘সিউলের সাথে খারাপ সম্পর্কের অবসান’ এবং ‘পুনর্মিলনের অযৌক্তিক ধারণার সম্পূর্ণ বাতিল।’
কেসিএনএ জানিয়েছে, তিনি আরও বলেছেন, উত্তরের সেনাবাহিনী প্রয়োজন হলে ‘শত্রু দেশের বিরুদ্ধে, যুদ্ধ করতে হবে সহদেশিদের বিরুদ্ধে নয়।
উত্তর কোরিয়া গত সপ্তাহে তার রাবার-স্ট্যাম্প সংসদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে।
কেসিএনএ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার কিম উত্তরের ‘পরিস্থিতির বিভিন্ন উন্নয়নের সাথে মোকাবেলা করার জন্য সামরিক কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দিয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও পরীক্ষা করেছেন।’
সূত্র : রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত
