চলতি বছরের ৫ জুন। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল নাসার বোয়িম সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার ক্যাপসুল। আর সেই যান চড়ে পৃথিবী ছেড়েছিলেন মার্কিন মহাকাশ সংস্থার দুই নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও তার সহকর্মী বুচ উইলমোর। আট দিনের সফরে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাড়ি দিয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী ও তার সহকর্মী। কিন্তু আচমকাই সুনীতাদের মহাকাশযানটি যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ে। আর সেই সঙ্গেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সুনীতাদের ফেরা।
গত ৬ জুন থেকে মহাকাশে আটকে আছেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। শিগগিরই তারা পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু নাসা বলছে, তাদের আরও কিছু দিন অনিশ্চয়তায় কাটাতে হতে পারে। বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযান বা স্পেসএক্সের ড্র্যাগন ক্যাপসুলে সুনীতা উইলিয়ামসকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নাসা আজই জানাবে বলে জানা গেছে।
যতদিন যাচ্ছে দুই নভোচারীর ফিরে আসার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ততই। কারণ আন্তর্জাতিক স্পেস সেন্টারে থাকাকালীন বহু প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় মহাকাশচারীদের।
সময়ের ব্যাপক হেরফেরে নিত্যদিনের কাজকর্ম ছাড়াও ঘুমানো বা ঘুম থেকে ওঠার ক্ষেত্রেও নানা ধরনের সমস্যার সম্মুধীন হন মহাকাশচারীরা। জানা গেছে, দীর্ঘসময় মহাকাশে থাকলে তার প্রভাব পড়তে পারে মানব শরীরেও।
সব থেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মহাকাশচারীদের পেশী। দুর্বল হতে পারে হাঁড়ও। প্রভাব পড়তে পারে দৃষ্টিশক্তিতেও। এখন যাবতীয় বাধা কাটিয়ে কবে সুনীতারা ফিরতে পারবেন? তা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আপাতত অনিশ্চয়তার মধ্যেই দিন কাটাতে হবে সুনীতাদের।