আর সপ্তাহ তিনেক বাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের। কমলা হ্যারিস নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প, কে হোয়াইট হাউসে থাকবেন তা জানা যাবে নভেম্বরের শুরুতেই। এখন পর্যন্ত সব ধরনের জরিপে ভালো অবস্থানে আছেন কমলা হ্যারিস। কিন্তু কমলা শিবিরে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভূমিকা নিয়ে। কমলার প্রচারের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যতটা ভূমিকা থাকার কথা তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অনেক ডেমোক্র্যাট সমর্থন প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে এটাকে ‘ষড়যন্ত্র’ তত্ত্ব হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন।
নির্বাচনে বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করে ডেমোক্র্যাটরা। কিন্তু ৮১ বছর বয়সী নেতা কি আগামী চার বছর ধরে আমেরিকাকে পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য শারীরিকভাবে সক্ষম? এ অবস্থায় তৃতীয়বারের জন্য কোভিড আক্রান্ত হন বাইডেন। তার পরই বর্ষীয়ান ডেমোক্র্যাট নেতা নির্বাচন থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করেন। নিজের উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা কমলা হ্যারিসের নাম। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কি আদৌ তিনি নিজে মন থেকে মানতে পেরেছিলেন? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। আর এই প্রশ্ন উঠছে তার সাম্প্রতিক আচরণ থেকেই।
কমলার প্রচারসভায় বাইডেনকে সেভাবে দেখাই যাচ্ছে না। অথচ ৯/১১ বর্ষপূর্তিতে ‘ট্রাম্প ২০২৪’ লেখা টুপি পরে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। অন্যদিকে হারিকেন ঝড় মোকাবিলায় ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছে বাইডেনকে। এর মধ্যেই আবার আলোচনা শুরু হয় কমলার ফোন না ধরা নিয়ে। কমলা বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকদিন আগে একাধিকবার ফোন দিল সেই ফোন ধরেননি বাইডেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাইডেনের এই অসহযোগিতার পেছনে রয়েছে ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’। ট্রাম্পের নাম লেখা টুপি পরে বাইডেন সম্ভবত বার্তা দিতে চাইছেন এবারের নির্বাচনে তিনি রিপাবলিকান নেতার প্রতিই সমর্থন করবেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, বিষয়টা এমনও নয়। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে তাকে প্রেসিডেন্টের প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণে কমলাকে ঠিক সেভাবে সাহায্য করছেন না বলে অনেকে মনে করছেন।