বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে এমপি এম এ লতিফের মাথায় আঘাত করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি এক মাসের সময় দিয়ে লতিফের সহযোগীদের তালিকা করারও নির্দেশ দেন। লালদীঘি ময়দানে গতকাল এক প্রতিবাদ সমাবেশে মহিউদ্দিন চৌধুরী এ কথা বলেন।
নাগরিক মঞ্চ চট্টগ্রামের ব্যানারে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি বিকৃতিকারীদের গ্রেফতার, বিচার ও শাস্তির দাবিতে’ এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘লতিফ যেন চট্টগ্রামে আসতে না পারে। তার সঙ্গে যে সহযোগী আছে, সে গাড়িতে করে তাকে নিয়ে আসে। কেন নিয়ে আসবে? কোন শক্তির বলে? তাদের আমি চিনি। কেন লতিফকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যার কাছে যাবেন? তারা কারা? তারা পাকিস্তানি মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি। অনেকে খোন্দকার মোশতাকের মতোই গোপনে-প্রকাশ্যে চক্রান্ত করছে। হুমকি প্রদর্শন করছে। হুমকি দিয়ে লাভ নেই।’ নেতা-কর্মীদের প্রতি তিনি বলেন, ‘প্রতিটি এলাকাতে লাঠি নিয়ে সংঘটিত হবেন। লতিফকে দেখলেই মাথায় আঘাত করবেন। আর লতিফের সহযোগী যারা আছেন তাদের তালিকা করবেন। এক মাস সময় দেওয়া হলো। তালিকা করে তা আমাকে দেবেন। যে যত শক্তিশালীই হোক না কেন, আমার জীবনকে বাজি রেখে হলেও অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লতিফের পক্ষাবলম্বন করছেন তারা, যারা প্রধানমন্ত্রীর আশপাশে দাঁড়িয়ে গুণকীর্তন করছেন। তারা কারা আমি জানি। তারা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী পাগল হয়ে গেছে।’ চট্টগ্রাম সিটির সাবেক এ মেয়র আরও বলেন, ‘এম এ লতিফের অপকর্মের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতি করে পাপ করেছেন। এর প্রতিবাদে কিছুদিন আগে সভা হয়েছিল। সেখানে আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।’
মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তৃতা চলাকালে মঞ্চের সামনে একদল তরুণ স্লোগান দিতে থাকে। তিনি স্লোগান বন্ধ করার জন্য কয়েকবার অনুরোধ করেন। তারপরও বন্ধ না করলে তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা কারা? তোমরা লতিফের লোক। এদের বের করে দাও।’
নাগরিক মঞ্চ চট্টগ্রামের আহ্বায়ক এ কে এম বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে ও নগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সমাবেশ সঞ্চালনা করেন। আরও বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী ও নীলু নাগ, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদসহ ১৪ দলের নেতারা। প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সমাবেশে এম এ লতিফকে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেফতার ও তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানানো হয়েছিল।