সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

আগাম হাইব্রিড আমন ধানের বাম্পার ফলন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

আগাম হাইব্রিড আমন ধানের বাম্পার ফলন

অল্প সময়ে অধিক ফলনের ইস্পাহানি-২ আগাম হাইব্রিড আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ ধানে একদিকে যেমন কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে অসময়ে বাজারে ধান ও চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় চাল এবং ধানের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে কৃষি বিভাগ জানায়। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব জগদল গ্রামে পৌরসভা ব্লকের উদ্যোক্তা কৃষক মো. মমিনুল ইসলামের জমিতে ইস্পাহানি-২ হাইব্রিড জাতের ধান কাটা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবদুল হান্নান। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বীরগঞ্জের পূর্ব জগদল গ্রামে কৃষক মো. মমিনুল ইসলামের ২ একর জমিতে ইস্পাহানি-২ হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ করা হয়। জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ এলাকায় হাইব্রিড রোপা আমনের যেসব জাত চাষ করা হচ্ছে তার জীবনকাল ১১০-১২০ দিন অর্থাৎ বীজ বপন থেকে শুরু করে কর্তন পর্যন্ত সময় লাগে সর্বোচ্চ ১২০ দিন। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে বীজ বপন করে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ নাগাদ ধান ঘরে তোলা যায়। এ হাইব্রিড জাতগুলো চাষ করে কৃষক হেক্টরে ৩.৪-৩.৯ টন চাল পাচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবদুল হান্নান জানান, এ ধরনের আগাম ধান কর্তনের ফলে বাজারে বর্তমানে চালের মূল্য বৃদ্ধির যে প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা দ্রুতই কমে আসবে। এ ধানে একদিকে যেমন কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে অসময়ে বাজারে ধান ও চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় চাল এবং ধানের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তাছাড়া কর্তনকৃত এসব জমিতে আগাম রবি ফসল চাষ করার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আগাম চাষ ও কর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং রোগ পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষাসহ এক জমিতে বছরে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর