ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে শনিবার পর্যন্ত মোট ৯২ জন মারা গেছেন। গত বছর একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬৯১ জন। গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গুতে এবার ৫৯৯ জন কম মারা গেছে। আর চলতি বছর সারা দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৮০৪ জন।
রবিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মশাবাহিত অন্যান্য রোগবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৬৩ জন। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর বাইরে সারা দেশে মারা গেছেন ২৯ জন। অন্যদিকে গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে ৪৯৭ জন মারা যান। দেশের অন্যান্য স্থানে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৯৪ জন। গত বছর মোট মারা গিয়েছিলেন ৬৯১ জন।
একইসঙ্গে চলতি বছর গতকাল (৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৮০৪ জন। এরমধ্যে ঢাকার মহানগরে ৬ হাজার ২০৯ জন ও ঢাকা মহানগরের বাইরে ৮ হাজার ৫৯৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
গতবছর ১ জানুয়ারি থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ ৪০ হাজার ৭১১ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরে ৬৪ হাজার ১৭২ জন ও ঢাকা মহানগরের বাইরে ৭৬ হাজার ৫৩৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম দিকে ডেঙ্গু নিয়ে দেশে একটা দিশেহারা ভাবছিল। তবে আমরা ক্রমান্বয়ে একটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছি। আমাদের অর্জন তখনই হবে, যখন একটি মৃত্যুও হবে না, আমরা সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। ৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) একদিনে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। কিন্তু গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মারা গিয়েছিল ২০ জন। এটা নিয়ে আমাদের আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হবে একজনেরও যাতে মৃত্যু না ঘটে।
উপদেষ্টা বলেন, এ রোগের প্রতিরোধই হচ্ছে ৯০ শতাংশ কাজ। আর ১০ শতাংশ হচ্ছে চিকিৎসা। চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা একটা ভালো পর্যায়ে আছি। তবে সচেতনতার জায়গায় আমরা ভালোভাবে পিছিয়ে আছি। গ্রামে সচেতনতা অনেক কম।
সচেতনতা বাড়াতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে হাসান আরিফ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারা বছরব্যাপী একটা কর্মসূচি সেটা নেওয়ার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। মশার প্রজননটাই যাতে না হয়, গবেষণা করে এমন কোনো ওষুধ বা কিছু বের করা যায় কি না, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ