মোবাইল ইন্টারনেটে পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর গতকালই আবার চালু হয়েছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও মেসেঞ্জার। এর আগে গতকাল দুপুর ১২টার পর মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধ হয়ে যায়। তবে সন্ধ্যা ৭টার পর ফেসবুক ও মেসেঞ্জার সচল হলেও টেলিগ্রামের বিষয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র। গতকাল কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ-সংঘাতে নিহতদের বিচার দাবিতে গণমিছিল কর্মসূচি দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচি সামনে রেখে গতকাল দুপুর ১২টার পর মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধ করা হয়। এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে ১৭ জুলাই রাত থেকে ৩১ জুলাই দুপুর পর্যন্ত মেটার প্ল্যাটফরম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল। ৩১ জুলাই দুপুর ২টার পর এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পুনরায় চালু হয়। দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১২ কোটির বেশি। বাসায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে দেশে ইন্টারনেটে গতি স্বাভাবিক হচ্ছিল মাত্র। এরই মধ্যে আবার গতি কমে গেছে। তার ওপর মোবাইল ডেটায় ফেসবুক ও মেসেঞ্জার বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আবার ভিপিএনের ব্যবহার বাড়বে। তা আবার ইন্টারনেটের গতির ওপর প্রভাব ফেলবে। দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়।
পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়েছে। কিন্তু বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফরম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ?মেদ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের ভূমিকার কথা বলেছিলেন। ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে এসব প্ল্যাটফরমের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি ৩১ জুলাই ফেসবুকের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন। ইউটিউব ইমেইলে ব্যাখ্যা দেয় এবং টিকটকের প্রতিনিধি সেদিন হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।
আন্দোলনের মধ্যে সরকার ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউবের কাছে কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করেছিল। বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৬ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত ফেসবুক সরকারের অনুরোধের বিপরীতে ১৩ শতাংশ এবং ২৫ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ৭ শতাংশের বেশি আধেয় সরিয়েছে। ইউটিউব ১৭ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সরিয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ। টিকটক সরিয়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ।