নোয়াখালীতে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনের ৫৩তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। একাত্তরের এই দিনে খুলনার রূপসা নদীতে যুদ্ধজাহাজ পলাশে শত্রুপক্ষের বিমান হামলায় শহীদ হন তিনি। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদান করা সাত বীরশ্রেষ্ঠের একজন শহীদ রুহুল আমিন অন্যতম। গতকাল সোনাইমুড়ী উপজেলার নিজ গ্রামের জাদুঘরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ উপলক্ষে এক মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনাইমুড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরিন আক্তার। এ সময় বীর শ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত জীবনী : বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ১৯৩৫ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার শহীদ রুহুল আমিননগরে (বাঘপাঁচড়া গ্রাম) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আজহার পাটোয়ারী, মাতা জুলেখা খাতুন। রুহুল আমিন বাঘপাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে আমিশাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি ১৯৫৩ সালে জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নৌবাহিনীতে যোগদান করে আরবসাগরে অবস্থিত নানোরা দ্বীপে পিএনএস বাহাদুরে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি পিএনএস কারসাজে যোগদান করেন।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর : ২০০৮ সালে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনের বাড়ির পাশে পরিবারের দান করা ২০ শতক জমিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে নোয়াখালী জেলা পরিষদ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন সময়ে তাঁর পরিবারকে দেওয়া সরকারি-বেসরকারি পদকের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধসহ নানা বিষয়ের বই, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নানা পোস্টার, সাময়িকী আর পত্রপত্রিকা।