লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টার ও বিপদগ্রস্ত এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া আরও ১৬২ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন। গতকাল সকালে বুরাক এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা। লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
দেশে ফিরে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশিরা জানান, ২০২৩ সালে দালালদের মিথ্যা প্রলোভনে সাগর ও তানজির প্রত্যেকে ৪ লাখ টাকা খরচ করে লিবিয়ায় যান।
আলমগীরও বিদেশ গিয়েছিলেন ৩ লাখ টাকা খরচ করে আড়াই বছর আগে। দালালরা তাদের ইটালিতে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে লিবিয়া পাঠিয়েছিল। সেখানে পৌঁছানোর পরে পাচারকারীরা তাদের ভয়ংকর এক মাফিয়া চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। ত্রিপোলিতে আরও ৮০ জন বাংলাদেশির সঙ্গে তাদের আটকে রেখে মাসের পর মাস চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। পরিবারের কাছ থেকে আদায় করা হয় মুক্তিপণ। এক সময় তারা মারা গেছেন এটা ভেবে পাচারকারীরা তাদের মরুভূমিতে ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে তাদের মৃতপ্রায় অবস্থায় কয়েকজন বাংলাদেশি শ্রমিক খুঁজে পান এবং আশ্রয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। লিবিয়া থেকে দেশে ফেরত আসা ১৬২ জনের মধ্যে বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারের ১৪১ জন এবং ত্রিপলির তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারের ১৬ জন ছাড়াও ত্রিপলিতে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় থাকা পাঁচজন অভিবাসী রয়েছেন।