আগামী অক্টোবর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভ্রমণনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। মূলত অত্যাধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় দুটি পদ্ধতি চালু হচ্ছে। প্রথমটি হল ইলেকট্রনিক এন্ট্রি অ্যান্ড এক্সিট সিস্টেম (ইইএস), যা ইইউ নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং নন-ইইউ নাগরিকদের জন্য ইউরোপিয়ান ট্রাভেল ইনফরমেশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সিস্টেম (ইটিআইএএস) নামে অভিহিত হবে।
আমেরিকার ইএসটিএ-এর আদলে ইটিআইএএস-এর মাধ্যমে ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের ৬০টি দেশ ভিসা ওয়েভারের সুযোগ পাবে। মাত্র ৭ ইউরো বা ৬ পাউন্ড খরচ করে কয়েক মিনিটে অনলাইনে ইটিআইএএস আবেদন সম্পূর্ণ করে ইউরোপ ভ্রমণের সুযোগ পাবে। আসছে নভেম্বর থেকে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে এবং ৬ মাসের ট্রানজেকশনাল সময় হিসেবে বিবেচিত হবে। এটির মেয়াদ হবে কমপক্ষে ৩ বছর বা পাসপোর্টের মেয়াদকালীন সময় পর্যন্ত।
ইইএস-এর ফলে ইইউ নাগরিকদের পাসপোর্ট আগমন এবং বর্হিগমনে আর স্টাম্পের প্রয়োজন হবে না। প্রথমবারের মত ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেইস রিকগনিশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে ইউভুক্ত দেশগুলো।
পর্তুগালও নতুন এই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এজন্য সরকার একটি কার্যকরী দল গঠন করবে, যা নতুন এই সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব পালন করবে। প্রকাশিত এক অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সরকারের সাতজন সদস্য এবং অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত থাকবে দলে।
আশা করা হচ্ছে, নতুন এই ইইএস আগামী ৬ অক্টোবর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের বেশিরভাগগুলোতে কার্যকর হবে এবং ইউরোপীয় ভ্রমণ তথ্য ও অনুমোদন ব্যবস্থা (ইটিআইএএস) প্রায় ছয় মাস পরে কার্যকর হবে। উভয় ব্যবস্থার লক্ষ্য ইউরোপীয় নিরাপত্তা জোরদার করা, শেনজেন এলাকায় প্রবেশ এবং প্রস্থানকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা।
ইইএস একটি নতুন ইলেকট্রনিক সিস্টেম যা আগমনের সময় পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পাস করার সময় পাসপোর্টে শারীরিক স্ট্যাম্পিং প্রতিস্থাপন করবে। সব ইইউ সদস্য রাষ্ট্র- বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, আয়ারল্যান্ড এবং রোমানিয়া ব্যতীত, যেখানে পাসপোর্ট ম্যানুয়ালি স্ট্যাম্প করা অব্যাহত থাকবে- এবং ইইউ এর চারটি অ-শেনজেন দেশ (আইসল্যান্ড, লিসটেনস্টাইন, নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ড) এই নতুন সিস্টেমের অংশ হবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ