সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে পাকিস্তানের দুর্দশার যেন শেষই হচ্ছিল না। প্রথমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হার। তারপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ইনিংস এবং ৪৭ রানে হার। পাকিস্তান শেষ টেস্ট জিতেছিল ৪৫০ দিন আগে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গত বছর জিতেছিল তারা।
আজ শুক্রবার আবার জিতল। সেটাও আবার বেন স্টোকসের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদিদের বাদ দিয়ে খেলতে নেমে ১৫২ রানে জিতল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের দীর্ঘ এই অপেক্ষা ঘুচিয়েছেন দুই স্পিনার সাজিদ খান ও নোমান আলী। দু’জনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অনেক রেকর্ড ও মাইলফলকের সাক্ষী হয়েছে মুলতান টেস্ট।
চলুন, দেখে নেওয়া যাক সেই রেকর্ড ও মাইলফলকগুলো-
প্রথম ইনিংসে ১১১ রানে ৭ উইকেট নিয়ে মুলতানে সেরা বোলিং ফিগার গড়েছিলেন সাজিদ খান। তবে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই তার সেই রেকর্ড নিজের করে নেন সতীর্থ নোমান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রানে ৮ উইকেট নিয়ে এখন সেরা বোলার বাঁহাতি স্পিনার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের হয়ে টেস্টে তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার গড়েছেন নোমান আলী। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৪৭ রানে ১১ উইকেট নিয়ে।
এখানেও শীর্ষে লেগ স্পিনার কাদির। সেই লাহোর টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০১ রানে ১৩ উইকেট নেন তিনি।
টেস্ট ইতিহাসে পাকিস্তানের হয়ে চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার গড়েছেন নোমান আলী। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রানে ৮ উইকেট নিয়ে।
একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ১৯৮৭ সালে লাহারে ৫৬ রানে ৯ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন লেগস্পিন জাদুকর আবদুল কাদির।
মুলতান টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ইংল্যান্ডের ২০ উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার সাজিদ খান (৯) ও নোমান আলী (১১)। টেস্ট ইতিহাসে যা সপ্তম ঘটনা। দুই স্পিনারের আগে এমন কীর্তির ঘটনা ঘটেছে আরও ৬টি।
একই টেস্টে পাকিস্তানের দুই বোলার সপ্তমবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন। ১৯৮৭ সালের পর প্রথমবারের মতোই এই কীর্তি গড়েছেন সাজিদ-নোমান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত