রংপুর নগরীর বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে যথাযথ অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই। ফলে ভবনগুলোর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির পাশাপাশি অসংখ্য মানুষও রয়েছেন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে। ভবনের মালিকরা আইন মেনে ভবন তৈরি না করার ফলেই এমন ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্র জানায়, ‘অগ্নিপ্রতিরোধ ও অগ্নি হতে উদ্ধার আইন’ অনুসারে এসব বহুতল ভবনে নিজস্ব স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, নিজস্ব পাম্প, রাইডার, গ্যাস মাস্কসহ কয়েক রকম ডিটেক্টর, আলাদা বহির্গমন পথ, ভবনের ওপরে ও নিচে সংরক্ষিত পানির ব্যবস্থা, ফায়ার এক্সটিংগুইশারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হয়নি। কোথাও কোথাও লোক দেখানো দু-একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার ঝোলানো থাকলেও এসবের কোনো কোনোটি মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বারবার তাগিদ দিয়ে চিঠি দিলেও ভবন মালিকরা কোনো সাড়া দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নগরীর কমপক্ষে ৩০টি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ভবনের নামও রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব ভবনের কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও মানুষের জীবন রয়েছে অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে। সিটি করপোরেশন থেকে ভবনের নকশা ফায়ার সার্ভিসের কাছে জমা দিয়ে ভবন মালিকরা অঙ্গীকার করে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রেখে ভবন কিংবা মার্কেট নির্মাণ করবেন। কিন্তু যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়। টাকা খরচের ভয়ে ভবন মালিকরা নিয়ম মানছেন না। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রংপুরের সহকারী পরিচালক কাজী নাজমুজ্জামান বলেন, বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও বহুতল ভবন মালিকরা নিয়ম মানছেন না।