বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

অরণ্য গভীরে ভয়ঙ্কর উদ্ভিদ

অরণ্য গভীরে ভয়ঙ্কর উদ্ভিদ

বনে বাদড়ে বিষাক্ত গাছ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। অরণ্য গভীরে এসব গাছ সম্পর্কে আগে থেকে জানা না থাকলে বিপদ হতে পারে। এসব উদ্ভিদের পাতা, ছাল, ফুল এবং ফলে বিষ থাকতে পারে। অনেক উদ্ভিদের ল্যাটেক্স খুব বিষাক্ত হয়ে থাকে। বনের প্রাণীরাও এসব গাছ থেকে দূরে থাকে। সব উদ্ভিদই ভক্ষণযোগ্য কিংবা স্পর্শ করার মতো নয়। বিছুটি গাছ গায়ে জ্বালা ধরায়, ইউফোবিয়া এবং পয়জন আইভি ত্বকে ফুসকুড়ির সৃষ্টি করে। অনেক সাধারণ উদ্ভিদও যেমন, বাটারকপি (হলুদ ফুলওয়ালা বুনোগাছ) খুবই বিষাক্ত। এ গাছের ফুলে রয়েছে ফিটোটক্সিনি নামে বিষ। কিছু উদ্ভিদের বিষ দিয়ে মানুষের চিকিৎসা করা হয়। রান্না করা আলু খাওয়া নিরাপদ তবে এর কাণ্ড এবং পাতায় সোলানিন নামে এক ধরনের বিষ রয়েছে। আলুর রং যখন সবুজ হয়ে যায় তখনো এ সবজিতে সোলানিন থাকতে পারে।

Ricih ক্যাস্টর অয়েল গাছের বীজ থেকে তৈরি করা হয়। এটি সায়ানাইড এবং সাপের বিষের চেয়েও ভয়ঙ্কর। Ricih-এর যৎসামান্য ডোজও মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

পপির রস শুকিয়ে তৈরি করা হয় আফিম। এতে মরফিনও রয়েছে। আফিম এবং মরফিন দুটিই বেদনানাশক ওষুধ হিসেবে তৈরি করা হয়। তবে এগুলো অবৈধভাবে মাদক হিসেবেও অনেকে ব্যবহার করে। দুটি জিনিসই ডেকে আনে মৃত্যু। ডেথ ক্যাপ অত্যন্ত বিষাক্ত একটি মাশরুম। বিষাক্ত ব্যাঙের ছাতা খেয়ে অনেকেরই মৃত্যু ঘটে। ডেথ ক্যাপ মাশরুমে যে বিষ থাকে তা পেটে গেলে ডায়রিয়া এবং বমি হয়। নির্দিষ্ট কিছু গাছের ছাল দিয়ে তৈরি করা হয়। দক্ষিণ আমেরিকান ইন্ডিয়ানরা শিকারে যাওয়ার সময় তাদের তীরের ডগায় এ বিষ মেখে নেয়। বেলাডোনা নামে একটি বুনোগাছও অত্যন্ত বিষাক্ত। এতে রয়েছে অ্যাটোপিন নামে বিষ। ১০ মিলিগ্রামেরও কম এ বিষ পেটে গেলে মারা যেতে পারে শিশু। তামাকে হলদে রঙের যে তেলতেলে তরল জিনিসটি থাকে তার নাম নিকোটিন। ৫০ মিলিগ্রাম নিকোটিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে হত্যা করার জন্য যথেষ্ট। নীল লোহিতের পাতায় থাকে digitalis এ বিষ অল্প পরিমাণে পেটে গেলেও অবস্থা হতে পারে মারাত্দক। হৃদ রোগীরে চিকিৎসার জন্য অল্প ডোজের digitalis ব্যবহার করা হয়। কুচলা নামে গাছ থেকে স্ট্রিকনিন বিটের উৎপত্তি। এ গাছ জন্মায় মিয়ানমার এবং ভারতে। এর মতো ভয়ঙ্কর বিষাক্ত গাছ খুব কমই আছে। -রকমারি ডেস্ক

 

সর্বশেষ খবর