ইউক্রেন যুদ্ধ অবসান ঘটাতে ফ্রান্সকে সঙ্গে নিয়ে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে প্রস্তুত চীন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাক্রনের সঙ্গে বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ফরাসি কূটনৈতিক একটি সূত্র দুই দেশের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের বরাতে বলেছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, সুবিধাজনক সময়ে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করতে প্রস্তুত আছেন। ওই বৈঠকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন চীনকে প্রস্তাব দিয়েছেন, বেইজিং যেন রাশিয়াকে এমন অস্ত্র না দেয় যা তারা ইউক্রেনে ব্যবহার করে।
জবাবে শি জিনপিং বলেছেন, ইউক্রেন নিয়ে চীনের নীতির সারসংক্ষেপ হলো, শান্তি এবং আলোচনা ত্বরান্বিত (প্রমোট) করা। শি জিনপিংকে উদ্ধৃত করে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, ‘চীনের অগ্রাধিকার হলো যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধ বন্ধ করা।মার্চে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে দ্রুত সংলাপের আহ্বান জানায় চীন। একইসঙ্গে দেশটি ‘রাজনৈতিক মীমাংসা’র আহ্বান জানিয়ে ১২ দফা প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাবে সব পক্ষকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন নিয়ে একইদিকে কাজ করা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনরায় সরাসরি সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানায় বেইজিং।
তবে বেইজিংয়ের প্রস্তাব পশ্চিমা শক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে।
চীনের দেওয়া ১২ দফা প্রস্তাবের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো- সকল দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখানো, স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা বন্ধ করা, যুদ্ধ-সংঘাতে কেউ লাভবান হয় না সুতরাং শত্রুতা বন্ধ করা, শান্তি আলোচনা শুরু করা, মানবিক সংকটের সমাধান করা, বেসামরিক নাগরিক এবং যুদ্ধবন্দীদের রক্ষা করা, কৌশলগত ঝুঁকি কমানো , খাদ্যশস্য রপ্তানি সহজতর করা, একপেশে নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করা, শিল্পসহ সাপ্লাই চেইন স্থিতিশীল রাখা, যুদ্ধপরবর্তী নির্মাণ ত্বরান্বিত করা।
চীনের প্রস্তাব প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘যুদ্ধ এক দফায় শেষ হতে পারে আর তাহলো, সকল দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানো।’ তিনি বলেন, ইউক্রেন রাশিয়াকে আক্রমণ করেনি, ন্যাটো আক্রমণ করেনি কিংবা যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে আক্রমণ করেনি। সূত্র: আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল