শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ আপডেট:

ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার সবক দিয়েছে কোরআন

মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
প্রিন্ট ভার্সন
ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার সবক দিয়েছে কোরআন

‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।’ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বোঝাতে চেয়েছেন, ক্ষুধার্ত মানুষের মনে খাবার ছাড়া আর কোনো ভাবনাই জাগে না। এ জন্যই রসুল (সা.) বলেছেন, নামাজের সময় খাবার এলে আগে খাবার খেয়ে তারপর নামাজে দাঁড়াও। ইসলাম এমনই বাস্তবভিত্তিক ধর্ম। গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস ২০২০ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আধপেটা খেতে পায়, ক্ষুধা পেটে রাতে ঘুমাতে যায় ২০১৯ সালে বিশ্বে এমন মানুষের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৫০ লাখ। মহামারীকবলিত পৃথিবীতে এ সংখ্যাটি আরও বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।  অথচ কোরআনের সবকই ছিল ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার। রসুলের (সা.) মিশনই ছিল, না খেয়ে থাকবে না একজন মানুষও। হজরত ওমর (রা.) অভুক্ত কুকুরের কথাও ভাবতেন।  অন্যকে খাওয়ানোর ধর্মীয় গুরুত্ব নিয়ে আজকের আয়োজন।

 

সমাজ ও সভ্যতাকে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে হবে

পবিত্র কোরআন এবং রসুল (সা.)-এর হাদিস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যে কটি কাজ করলে নিশ্চিত জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব, মানুষকে খাবার খাওয়ানো তার একটি। যে সমাজ ও সভ্যতার মানুষ ক্ষুধামুক্ত পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে না, অভুক্ত মানুষকে নিয়ে ভাবে না- কোরআন সরাসরি তাদের জাহান্নামি বলে ঘোষণা করেছে। সুফিদের দৃষ্টিতে জাহান্নাম দুই প্রকার। দুনিয়া ও আখেরাতের আজাব। দুনিয়ার আজাব হলো অশান্ত হৃদয় বা মানসিক অশান্তির জীবন। দেখা যায়, মানুষটির সবই আছে কিন্তু মনে শান্তি নেই। বিত্তশালী অথচ হৃদয়টা খালি খালি। আর আখেরাতের আজাব মানে হলো অনন্তকাল জাহান্নামের দাউ দাউ আগুন। যার শুরু আছে শেষ নেই। শেষ হলে শুরু আবার।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন, যারা মানুষকে খাবার খাওয়ায় না, তারা সরাসরি জাহান্নামি। আল্লাহ বলেন, ‘জাহান্নামিদের জিজ্ঞাসা করা হবে, সব থেকেও কেন তোমরা অশান্তির আগুনে পুড়ছ? তারা বলবে- আমরা নামাজ পড়তাম না। অভাবীদের খাদ্য দিতাম না। (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত ৪২-৪৪)।

মুফাসসিরগণ বলেন, এ আয়াতে একটি সূক্ষ্ম ব্যাপার ইঙ্গিত করেছেন আল্লাহতায়ালা। জাহান্নামি হওয়ার দুটি কারণ। একটি হলো নামাজ না পড়া। অন্যটি হলো মানুষকে খাদ্য না দেওয়া। আয়াতের বর্ণনাভঙ্গিই বলে দেয়, নামাজি মানুষের প্রথম সংগ্রাম হবে ক্ষুধামুক্ত সমাজ গড়া। সমাজে একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না। এ জন্যই হজরত ওমর (রা.) ফোরাতের তীরে হাঁটতেন আর কাঁদতে কাঁদতে বলতেন, আমার সাম্রাজ্যের একটি কুকুরও যদি না খেয়ে মারা যায়, এজন্য আল্লাহর কাঠগড়ায় আমাকেই আসামি হতে হবে।

পবিত্র কোরআনে নামাজের কথা বলার পরপরই জাকাতের কথা বলা হয়েছে। এ থেকেও বোঝা যায়, নামাজি সমাজে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের কোনো চিহ্নও দেখতে চায় না কোরআন। সুরা বাকারায় মুত্তাকির পরিচয় দিতে গিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘এই কিতাব আল্লাহ-সচেতনদের জন্য হেদায়াত বা পথপ্রদর্শক। আল্লাহ-সচেতন তথা মুত্তাকিদের পরিচয় হলো- তারা গায়েবে অর্থাৎ মানুষের সীমাবদ্ধ জ্ঞানে বোধগম্য না হওয়া সত্ত্বেও অদৃশ্য বাস্তবতায় বিশ্বাস করে, নামাজ কায়েম করে, প্রাপ্ত রিজিক থেকে অন্যের জন্য ব্যয় করে অর্থাৎ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার সংগ্রাম করে। (সুরা বাকারা, আয়াত ২-৩)।

যাদের কর্ম ও চিন্তায় ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন নেই, কোরআন সরাসরি তাদের ধর্ম অস্বীকারকারী বলে ঘোষণা করেছে। এ ক্ষেত্রে কোরআন কোনো রাখঢাক করেনি। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! তুমি কি কখনো চিন্তা করেছ, কোন ধরনের লোকেরা ধর্মকে অস্বীকার করে? এ ধরনের লোকেরা এতিমের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে, অভাবগ্রস্তকে অন্নদানে কোনো আগ্রহবোধ করে না এবং অন্যকেও উৎসাহিত করে না। সুতরাং দুর্ভোগ সেই নামাজিদের জন্য, যারা সচেতনভাবেই নামাজে অমনোযোগী, শুধু লোক দেখানোর জন্য নামাজে শামিল হয়। দুর্ভোগ তাদের জন্যও, যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় ছোটখাটো সাহায্য দানেও বিরত থাকে। (সুরা মাউন, আয়াত ১-৬)।

যারা এতিম দরিদ্র শ্রেণিকে নীচু নজরে দেখে, যারা অভাবীদের খাদ্যসংস্থান তথা কর্মসংস্থান সম্পর্কে ভাবে না, উদ্যোগও নেয় না; এমনকি দারিদ্র্য মুক্তির ব্যাপারে অন্য কাউকে উৎসাহ পর্যন্ত দেয় না- এরা যতই নামাজ পড়ুক না কেন, যতই ধর্মকর্ম করুক, তারা আসলে ধর্ম অস্বীকারকারী।

এদের নামাজ কিংবা নির্মিত জমকালো মসজিদ দেখে বিশ্বাসীরা যেন বিভ্রান্ত না হয়। সে জন্য আল্লাহ বলেছেন, এসব নামাজির জন্য দুর্ভোগপূর্ণ জাহান্নাম অপেক্ষা করছে। আসলে এরা মানুষকে দেখানোর জন্য ধর্মকর্ম করে, মসজিদ নির্মাণ করে, নামাজ পড়ে। মূলত এদের আত্মা এতই ছোট যে, নিত্য প্রয়োজনীয় ছোটখাটো সাহায্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও তারা পিছপা হয়ে পড়ে।

 

খাদ্যের বিনিময়ে জান্নাতের গ্যারান্টি দিয়েছেন নবীজি (সা.)

মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার মতো পুণ্য আর নেই। পূর্ববর্তী যুগের এক ভয়ঙ্কর পাপীর ঘটনা বলেছেন রসুল (সা.)। ইমাম বুখারি তাঁর সহি গ্রন্থে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণনা করেছেন হাদিসটি। রসুল (সা.) বলেন, হে আমার সাহাবিরা! তোমাদের এক পাপিষ্ঠ নারীর গল্প শোনাই। জীবনভর পাপে ডুবে ছিল। আল্লাহকে ডাকেনি কোনো দিনও। ধর্মেকর্মে ছিল চরম অনাগ্রহ। নারী হলেও হৃদয় ছিল পাথরের মতো শক্ত। মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে। ফেরেশতারা ধরেই নিয়েছেন, উত্তপ্ত জাহান্নামের লাকড়ি হবে এই নারী। আল্লাহর খেলা বোঝা দায়। মৃত্যুর পর ভয়ঙ্কর এই পাপীই হয়ে গেল জান্নাতের মেহমান। কীভাবে? প্রশ্ন করলেন রসুল (সা.)।

সাহাবিদের অভ্যাস ছিল, জানা সত্ত্বেও খুব একটা উত্তর দিতেন না। বলতেন, আল্লাহ ও তাঁর রসুলই ভালো জানেন। এটা আসলে বিনয়েরই প্রকাশ। শুধু বিনয় না, একজন শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্যও এমনই হওয়া উচিত। নিজের জ্ঞানের বহর না দেখিয়ে শিক্ষক থেকে জেনে নেওয়া। তখনো সাহাবিরা তাই করলেন। বললেন, হে আল্লাহর রসুল! আপনি এবং আপনার প্রভু আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন।

রসুল (সা.) বললেন, একদিন একটি বিড়াল খুব পিপাসার্ত ছিল। নারীটি কুয়ার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। হয়তো পাপ করে এসেছে, অথবা না। পিপাসায় বিড়ালের ঝুলে যাওয়া জিহ্বা দেখে নারীটির মনে দয়ার ফুল ফুটল। কুয়া থেকে পানি তুলে বিড়ালকে পান করাল। বিড়ালের জীবন বেঁচে গেল। আল্লাহর কাছে নারীটির জন্য দোয়া করল। ব্যস! কপাল খুলে গেল তার। মাত্র একটি ভালো আমলের বিনিময়ে আল্লাহ তার সব গোনাহ ক্ষমা করে জান্নাতে জায়গা করে দিলেন।

সুরা বাকারার ১৭৭ নম্বর আয়াতে পুণ্যের পরিচয় দিতে গিয়ে আল্লাহ ইমানের পরই মানুষকে সাহায্যের কথা বলেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘পূর্ব বা পশ্চিমমুখী হওয়ার মধ্যে কোনো পুণ্য নেই। পুণ্য রয়েছে আল্লাহ, আখেরাত, ফেরেশতা, সব কিতাব ও নবীদের ওপর বিশ্বাসে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে আত্মীয়স্বজন, এতিম, মিসকিন, অসহায়, মুসাফির ও সাহায্যপ্রার্থীকে সাহায্য এবং দাসমুক্তির জন্য অর্থদানে। নামাজ কায়েম ও জাকাত আদায়ের মধ্যে। ওয়াদা রক্ষায়। দুঃখকষ্ট, বালা-মুসিবত ও সত্যের পথে যে কোনো দুর্যোগে ধৈর্যধারণ করায়। যারা তা করবে, তারাই প্রকৃত সত্যানুসারী ও আল্লাহ-সচেতন।

সৃষ্টিকে খাবার খাওয়ানো স্রষ্টার কাছে কেন এত প্রিয় কখনো ভেবে দেখেছেন? মুসলিম শরিফে বর্ণিত হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ নিজেই বলেছেন, ‘সব সৃষ্টি আমার পরিবার।’ এ গ্রন্থেরই আরেক হাদিসে আল্লাহ বলেন, ‘মানুষকে খাওয়ানো মানে আমাকেই খাওয়ানো।’ কেয়ামতের দিন আল্লাহ আমাকে-আপনাকে ডেকে বলবেন, হে আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান! ক্ষুধার্ত-অভুক্ত পেটে তোমার দুয়ারে হাত বাড়িয়েছিলাম খাবার পাওয়ার আশায়। তুমি তখন বিরক্ত হয়ে ধমক দিয়ে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলে। এ কথা শুনে আমাদের চোখ কপালে উঠে যাবে। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে বলব, হে পরওয়ারদিগার! আপনি জগতের রিজিকের মালিক! রব্বুল আলামিন! আমি অধম আপনাকে কীভাবে খাওয়াব? তখন আল্লাহ বলবেন, দুনিয়ার জীবনে অভুক্ত মানুষ যখন তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, তাকে খাবার দিলেই আমাকে খাওয়ানো হতো। তখন আমরা আফসোস করে বলব, হায়! সেদিন যদি ওই অভুক্তকে জঞ্জাল ভেবে ধমক দিয়ে বিরক্ত হয়ে তাড়িয়ে না দিতাম!

 

অন্যকে খাওয়ালে নিজের লাভ

অন্যকে খাওয়ালে পরকালীন মুক্তির পাশাপাশি আছে জাগতিক তৃপ্তিও। আজকের এ আধুনিক পুঁজিবাদী বিশ্বের সেরা ধনীরা অবলীলায় স্বীকার করেছেন সে কথা। শিব খেরা নামে একজন বিখ্যাত মোটিভেশনাল লেখক বলেছেন, দুনিয়া কাঁপানো পুঁজিপতিদের সঙ্গে কথা বলে আমি একটি সত্যিই উপলব্ধি করেছি- ‘যারা নেয় তারা খায় ভালো; আর যারা দেয় তারা ঘুমায় ভালো।’ অর্থাৎ দেওয়ার অভ্যাস মানসিক প্রশান্তির চাবিকাঠি- কথাটি আজ আর কোনো থিওরি নয়, চরম বাস্তবতা। বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গের মতো বণিকরা তাদের সম্পত্তির বড় অংশ বিলিয়ে দিচ্ছেন মানবতার কল্যাণে। কেন? মানসিক তৃপ্তি ও আত্মার প্রশান্তির জন্য।

হাদিস শরিফে রসুল (সা.) বলেছেন, আসসাদাকাতু তারুদ্দুল বালা। অর্থাৎ, দান-সদকা বিপদাপদ দূর করে। ঐশী জগতের খেলা বোঝা বড় দায়। দান কীভাবে বিপদ থেকে রক্ষা করে তার একটি উদাহরণ চাক্ষুষ দেখেছেন হজরত মুসা (আ.)। সুরা কাহাফের ৭১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘খিজির (আ.) ও নবী মুসা (আ.) একসঙ্গে যাত্রা শুরু করলেন। তাঁরা পৌঁছলেন সমুদ্রতীরে। সাগর পাড়ি দিয়ে নৌকা থেকে নামার সময় দরবেশ নৌকার তলদেশে ফুটো করে দিলেন। তখন মুসা (আ.) বিস্মিত হয়ে বললেন, আপনি এ কী করলেন? আপনি কি আরোহীসমেত নৌকা ডোবানোর জন্য তলায় ফুটো করলেন? এ তো গুরুতর অন্যায়!

আসলে জ্ঞানী খিজির (আ.) ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ ইলমপ্রাপ্ত। মুফাসসিরগণ লিখেন, নৌকার মাঝি মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর কাছ থেকে কোনো পয়সা নেননি। এ দানের ফলে খিজির (আ.) তার আসন্ন বিপদ দূর করে দিয়েছেন। আর এ জন্য তার নৌকার তলা ফুটো করা জরুরি ছিল। অনেক ক্ষেত্রে ছোট্ট ক্ষতির বিনিময়ে বড় উপকার ভাগ্যে জোটে। মাঝির ক্ষেত্রেও তাই হলো। সে রহস্য খোলাসা করে মুসা (আ.)-এর উদ্দেশে খিজির (আ.) বলেন, নৌকার ব্যাপারটি খুব সহজ। নৌকাটি ছিল কয়েকজন গরিব মানুষের। এ নৌকাই ছিল তাদের জীবিকা অর্জনের উপায়। আমি ইচ্ছা করেই নৌকায় ফুটো করে দিলাম। কারণ আমি জানতাম রাজার বাহিনী পেছনে আসছে।  যারা সমস্ত ভালো নৌকা জোর করে জব্দ করে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে ওদের জীবিকা অর্জনের উপকরণটি রক্ষা পেল। (সুরা কাহাফ, আয়াত ৭৯)।

 

দীর্ঘ জীবন চাইলে দুই হাত ভরে দান করুন

অন্যকে খাওয়ালে আমার লাভ কী? বস্তুবাদী দর্শনে এ প্রশ্ন ওঠতেই পারে। এর জবাবে দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘দান রিজিক ও সম্পদ বাড়ায়।’ (তিরমিজি)। মুসা নবীর এক উম্মতের দুয়ার থেকে আজরাইল (আ.) ফিরে গেছেন দানের কারণেই। আল্লাহ বলেন, আজরাইল! ফিরে এসো। তার হায়াত আরও কয়েক বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজরাইল (আ.) অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, এর রহস্য কী! আল্লাহ বললেন, মাত্রই সে একজন মানুষকে এক মুষ্টি চাল দিয়েছে। (কিমিয়ায়ে সাআদাত)।

বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চিকিৎসকরা যখন ব্যর্থ হয়ে রোগীর বাঁচার আশা ছেড়ে দেন তখন দান-সদকা করলে অলৌকিকভাবে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। আমেরিকায় এমন অনেক মেডিটেশন সেন্টার গড়ে উঠেছে যেখানে বলা হয়, সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনের জন্য নিয়মিত মানবতার কল্যাণে অর্থ ব্যয় করতে হবে।

বাংলাদেশের মেডিটেশন সেন্টারগুলোতেও এর ব্যাপক চর্চা রয়েছে। দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধি থেকে শুরু করে বহু জটিল রোগ থেকে কেবল দানের বরকতে মুক্ত হয়েছে এমন অসংখ্য স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ছড়িয়ে রয়েছে।

 

শ্রেষ্ঠ আমল অন্যকে খাওয়ানো

ইসলামী শরিয়তে ইবাদত দুই প্রকার। আল্লাহ সম্পর্কিত ইবাদত এবং বান্দার হক বিষয়ক ইবাদত। বান্দার হক বিষয়ক ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো- মানুষকে খাওয়ানো। বুখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত হয়েছে, একবার এক সাহাবি রসুল (সা.) এর কাছ এসে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রসুল! ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ইবাদত কোনটি? রসুল (সা.) বললেন, ‘মানুষকে খাবার খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া।’ এ হাদিসের লক্ষণীয় ব্যাপার হলো- অনেকেই মনে করেন, শুধু গরিব-অভাবীকেই খাওয়াতে হবে। কিন্তু আসল ব্যাপার তা নয়। খাওয়ানো এমন এক ইবাদত, একজন সম্ভ্রান্ত ধনীকে এমনকি নিকৃষ্ট পাপীকে খাওয়ালেও তা শ্রেষ্ঠ ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে। অনেক হাদিসেই সাহায্য করার ব্যাপারে কোনো ধরনের শর্তারোপ করেননি রসুল (সা.)। যেমন- মুসলিম শরিফের এক হাদিসে হুজুর (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ ততক্ষণ বান্দার সাহায্যে থাকবে, যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্যে লেগে থাকে।’ একই গ্রন্থের আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যের জন্য ঘর থেকে বের হওয়া মানে সে আল্লাহর পথেই বের হয়েছে। এ অবস্থায় যদি সে মৃত্যুবরণ করে তাহলে সে শহীদ হিসেবে গণ্য হবে। এসব বলে মূলত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন নবীজি (সা.)।

 

অঢেল সম্পদের চাবিকাঠি

নিজের জন্যই করতে হয় দান। দানের অর্থ বহুগুণে ফিরিয়ে দেওয়ার ওয়াদা করেছেন আল্লাহতায়ালা। সুরা বাকারার ২৪৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহকে দানের মাধ্যমে উত্তম ঋণ দাও, আল্লাহ তা বহুগুণে ফিরিয়ে দেবেন। আর দান করতে ভয় পেয়ো না। মনে রেখ, তোমাদের রিজিক ও সম্পদ আল্লাহই কমান এবং বাড়ান। সহায়-সম্পদ রেখে তোমাদের একদিন আল্লাহর কাছেই ফিরে যেতে হবে।’ একই সুরার ২৬১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘যারা নিজেদের ধনসম্পত্তি আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের এ সৎদান এমন একটি শস্যবীজ, যাতে উৎপন্ন হয় সাতটি শিষ আর প্রতিটি শিষে থাকে শত শস্যদানা। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বহুগুণ প্রবৃদ্ধি দান করেন। আল্লাহ অনন্ত প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা কিছু আল্লাহর পথে খরচ কর তিনি তার বিনিময় প্রদান করেন। তিনিই উত্তম রিজিকদাতা। (সুরা সাবা, আয়াত ৩৯)। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির (রহ.) লিখেছেন, ‘যারা আল্লাহর পথে খরচ করে, আল্লাহ তাদের এর বিনিময় দুনিয়া এবং আখেরাত দুই জগতেই দান করেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রতিদিন সকালে দুজন ফেরেশতা আল্লাহর বান্দার কাছে আসে। একজন দোয়া করে, হে আল্লাহ, তোমার পথে দানকারীকে উত্তম বিনিময় দাও। আর দ্বিতীয়জন বলে, হে আল্লাহ, তোমার পথে যারা খরচ করে না তাদের ধন-সম্পদ নিঃশেষ করে দাও (সহি বুখারি)।

 

যদিও অভাবী

‘আল্লাহর পথে দান-সদকার প্রতিযোগিতায় দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ রয়েছে। অভাব-অনটন এবং সম্পদের প্রতি লোভের সময় দান-সদকায় রয়েছে বেশি সওয়াব লাভের ঘোষণা। প্রিয়নবী (সা.) তাঁর উম্মতকে আল্লাহর ক্ষমা লাভ এবং প্রশস্ত জান্নাতের দিকে এগিয়ে যেতে দান-সদকার প্রতিযোগিতা করতে বলেছেন।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, একবার এক লোক রসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রসুল! সবচেয়ে বেশি সওয়াব কোন সদকায়? তিনি বললেন, তুমি এমন অবস্থায় দান করবে যে, তুমি শারীরিকভাবে সুস্থ; ধনসম্পদের প্রতি লোভ আছে; অভাব-অনটনকে ভয় করছ এবং ধনসম্পদের আশাও পোষণ করছ। ওই অবস্থায় এ আশঙ্কায় তুমি দান করার ব্যাপারে এমন কার্পণ্য কর না যে, শেষে মৃত্যুর সময় এসে যায়। আর তখন তুমি এটা ঘোষণা কর যে, এ পরিমাণ অমুকের এবং সে পরিমাণ অমুকের। অথচ অমুকের জন্য সেই মাল আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। (বুখারি ও মুসলিম)।

এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তুমি কি জান ধর্মের দুর্গ কী? ধর্মের দুর্গ অর্থাৎ নেক আমল বা সৎকর্মের সুউচ্চ স্তর হচ্ছে- দাসমুক্তি অর্থাৎ একজন মানুষকে মনোজাগতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অর্থাৎ সব ধরনের দাসত্ব থেকে মুক্ত করা, দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান, নিকটবর্তী এতিম বা ধূলিমলিন মিসকিন-অসহায়কে লালন এবং বিশ্বাসীদের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে পরস্পরকে বিশ্বজনীন মমতা ও সবরে অর্থাৎ পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা ও আত্মসংযমে উদ্বুদ্ধ করা। এরাই সফলকাম। (সুরা বালাদ, আয়াত ১২-১৮)।

 

ভিন্ন ধর্মগ্রন্থে দান

শুধু ইসলাম তথা কোরআন ও হাদিস নয় ঋগ্বেদ, গীতা, বাইবেলেও দানের ব্যাপারে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে। ঋগ্বেদে বলা হয়েছে, ‘নিঃশর্ত দানের জন্য রয়েছে চমৎকার পুরস্কার। তারা লাভ করে আশীর্বাদধন্য দীর্ঘজীবন ও অমরত্ব। (ঋগ্বেদ-১.১২৫.৬)। বাইবেলে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘যখন দান কর গোপনে কর। তোমার নীরব দান সদা প্রভু দেখছেন। তিনি তোমাকে পুরস্কৃত করবেন। (মথি ৬:৩-৪)।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
সিলেটে সুরমার পানি বাড়ছে, বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই কুশিয়ারা
সিলেটে সুরমার পানি বাড়ছে, বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই কুশিয়ারা

১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে ট্যাক্সির ছাদে হাতে বানানো এয়ার কুলার
দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে ট্যাক্সির ছাদে হাতে বানানো এয়ার কুলার

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন
চাঁদপুরে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

মোংলায় বৃষ্টিতে তলিয়েছে সাড়ে ৬শ চিংড়ি ঘের
মোংলায় বৃষ্টিতে তলিয়েছে সাড়ে ৬শ চিংড়ি ঘের

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নদীর এই বাঁধ দিয়ে বন্যা ঠেকানো সম্ভব নয় : দুর্যোগ উপদেষ্টা
নদীর এই বাঁধ দিয়ে বন্যা ঠেকানো সম্ভব নয় : দুর্যোগ উপদেষ্টা

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

জেমিনি এখন পড়ছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, সুরক্ষায় বদলান সেটিং
জেমিনি এখন পড়ছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, সুরক্ষায় বদলান সেটিং

৫২ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা অব্যাহত থাকবে
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা অব্যাহত থাকবে

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

সিরিয়ার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী
সিরিয়ার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘সরকার জনগণের জানমাল ও সম্মান রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ’
‌‘সরকার জনগণের জানমাল ও সম্মান রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবার মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখলেন সাকিব
এবার মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখলেন সাকিব

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পররাষ্ট্র দপ্তরের ১৩৫০ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করছে ট্রাম্প প্রশাসন
পররাষ্ট্র দপ্তরের ১৩৫০ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করছে ট্রাম্প প্রশাসন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে হাসপাতালে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচ্ছন্নতা অভিযান
ঝিনাইদহে হাসপাতালে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

জঙ্গিবাদের সন্দেহে বাংলাদেশি নাগরিকদের তদন্তে সহযোগিতা করবে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ
জঙ্গিবাদের সন্দেহে বাংলাদেশি নাগরিকদের তদন্তে সহযোগিতা করবে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের
মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারুফুলের হাতেই থাকছে আবাহনীর দায়িত্ব
মারুফুলের হাতেই থাকছে আবাহনীর দায়িত্ব

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবু সাঈদের শাহাদাত বার্ষিকীতে বেরোবি যাচ্ছেন চার উপদেষ্টা
আবু সাঈদের শাহাদাত বার্ষিকীতে বেরোবি যাচ্ছেন চার উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাইবান্ধায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচার মৃত্যু
গাইবান্ধায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচার মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুই দেশের হয়ে টেস্ট খেলা মুরের অবসর
দুই দেশের হয়ে টেস্ট খেলা মুরের অবসর

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল
পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজাকে শিশুদের কবরস্থান বানাচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ
গাজাকে শিশুদের কবরস্থান বানাচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় লেবাননে হতাহত ৬
ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় লেবাননে হতাহত ৬

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোতা’র ২০ নম্বর জার্সি আজীবনের জন্য তুলে রাখলো লিভারপুল
জোতা’র ২০ নম্বর জার্সি আজীবনের জন্য তুলে রাখলো লিভারপুল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্থায়ীভাবে অভাব দূর করছে বসুন্ধরা গ্রুপ
স্থায়ীভাবে অভাব দূর করছে বসুন্ধরা গ্রুপ

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে দুই মাসে নিহত ৭৯৮ ফিলিস্তিনি
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে দুই মাসে নিহত ৭৯৮ ফিলিস্তিনি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলা, স্যাটেলাইট চিত্রে যা দেখা গেলো
কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলা, স্যাটেলাইট চিত্রে যা দেখা গেলো

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেনাপ্রধানের হুংকার, এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়বে না ইরান
সেনাপ্রধানের হুংকার, এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়বে না ইরান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানালো তদন্তকারীরা
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানালো তদন্তকারীরা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে আবুল বারকাত
কারাগারে আবুল বারকাত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জোয়ালে বেঁধে নব দম্পতিকে দিয়ে করানো হলো হালচাষ!
জোয়ালে বেঁধে নব দম্পতিকে দিয়ে করানো হলো হালচাষ!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পদ্মা সেতুর বোঝা এখনও টানছেন গ্রাহকরা, মোবাইল রিচার্জে কাটে সারচার্জ
পদ্মা সেতুর বোঝা এখনও টানছেন গ্রাহকরা, মোবাইল রিচার্জে কাটে সারচার্জ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানে ‘বোমা থাকার’ ফোনে থামল কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট
বিমানে ‘বোমা থাকার’ ফোনে থামল কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল
বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত, দাবি ইরানি স্পিকারের
যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত, দাবি ইরানি স্পিকারের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতালি
ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতালি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চার দশকের সংঘাতের অবসান, অস্ত্র ধ্বংস করছে পিকেকে
চার দশকের সংঘাতের অবসান, অস্ত্র ধ্বংস করছে পিকেকে

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিকিৎসাধীন শিল্পী ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
চিকিৎসাধীন শিল্পী ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল
পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার
বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

টেনিস খেলোয়াড় ‘মেয়েকে গুলি করে হত্যা’ করলেন বাবা
টেনিস খেলোয়াড় ‘মেয়েকে গুলি করে হত্যা’ করলেন বাবা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অসাধারণ সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অসাধারণ সাফল্য

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত
গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ
সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২১ জেলায় পানিতে ডুবেছে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল
২১ জেলায় পানিতে ডুবেছে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইচ্ছামতো সূর্যস্নান করতে পারবেন না ট্রাম্প, ড্রোন হামলা হতে পারে
ইচ্ছামতো সূর্যস্নান করতে পারবেন না ট্রাম্প, ড্রোন হামলা হতে পারে

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ দিলেই চলমান সব সংকট কেটে যাবে: দুদু
নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ দিলেই চলমান সব সংকট কেটে যাবে: দুদু

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই হীরার শহর এখন ভূতুড়ে অতীত
সেই হীরার শহর এখন ভূতুড়ে অতীত

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন
কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে খলিলের ২০ মিলিয়ন ডলারের মামলা
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে খলিলের ২০ মিলিয়ন ডলারের মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে চলে উন্মত্ততা
নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে চলে উন্মত্ততা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশ্যে গুলি ও রগ কেটে খুন
প্রকাশ্যে গুলি ও রগ কেটে খুন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেব না
ঢাকায় মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেব না

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্গন্ধযুক্ত আয়নাঘরে পারফিউমের ঘ্রাণ!
দুর্গন্ধযুক্ত আয়নাঘরে পারফিউমের ঘ্রাণ!

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজপথ যেন মরণফাঁদ
রাজপথ যেন মরণফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

অবসরে যাচ্ছেন মোদি
অবসরে যাচ্ছেন মোদি

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপির দরজা খোলা, জামায়াতের সঙ্গে জোট নয়
এনসিপির দরজা খোলা, জামায়াতের সঙ্গে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাধীরাই খানের টাকার খনি
অপরাধীরাই খানের টাকার খনি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঘ দম্পতি রোমিও জুলিয়েটের কোলে ডোনাল্ড ট্রাম্প
বাঘ দম্পতি রোমিও জুলিয়েটের কোলে ডোনাল্ড ট্রাম্প

পেছনের পৃষ্ঠা

খাল থেকে ১৫ কেজির বোয়াল শিকার
খাল থেকে ১৫ কেজির বোয়াল শিকার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পর্যটকে টইটম্বুর কক্সবাজারে আতঙ্ক গুপ্তখাল
পর্যটকে টইটম্বুর কক্সবাজারে আতঙ্ক গুপ্তখাল

নগর জীবন

ঘড়ির রাজকীয় ব্যবসা এখন ধুঁকছে
ঘড়ির রাজকীয় ব্যবসা এখন ধুঁকছে

শনিবারের সকাল

নেপালে বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটক
নেপালে বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটক

পেছনের পৃষ্ঠা

আগে দরকার সুশীল সমাজের সংস্কার
আগে দরকার সুশীল সমাজের সংস্কার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি নায়িকা কেন পছন্দ শাকিবের
বিদেশি নায়িকা কেন পছন্দ শাকিবের

শোবিজ

আল্লু অর্জুনের চার নায়িকা
আল্লু অর্জুনের চার নায়িকা

শোবিজ

আতঙ্কে ফেনী নোয়াখালীবাসী
আতঙ্কে ফেনী নোয়াখালীবাসী

পেছনের পৃষ্ঠা

উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে খালেদা জিয়ার আহ্বান
উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে খালেদা জিয়ার আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

বিষাক্ত ধোঁয়ায় মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত
বিষাক্ত ধোঁয়ায় মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

পঞ্চম শীর্ষ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান রুট
পঞ্চম শীর্ষ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান রুট

মাঠে ময়দানে

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বৃষ্টিভেজা দিনে কাছাকাছি রাজ-শুভশ্রী
বৃষ্টিভেজা দিনে কাছাকাছি রাজ-শুভশ্রী

শোবিজ

জয়ে শুরু রংপুর রাইডার্সের
জয়ে শুরু রংপুর রাইডার্সের

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের দাপটে অসহায় শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশের দাপটে অসহায় শ্রীলঙ্কা

মাঠে ময়দানে

জোনাকির আলোয় বৈদ্যুতিক বাতির বিকল্প!
জোনাকির আলোয় বৈদ্যুতিক বাতির বিকল্প!

পরিবেশ ও জীবন

ব্যাটারদের টেকনিকে দুর্বলতা রয়েছে
ব্যাটারদের টেকনিকে দুর্বলতা রয়েছে

মাঠে ময়দানে

সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাস
সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাস

শোবিজ

চিলড্রেন অব হ্যাভেন
চিলড্রেন অব হ্যাভেন

শোবিজ