শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ আপডেট:

ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার সবক দিয়েছে কোরআন

মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
প্রিন্ট ভার্সন
ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার সবক দিয়েছে কোরআন

‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।’ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বোঝাতে চেয়েছেন, ক্ষুধার্ত মানুষের মনে খাবার ছাড়া আর কোনো ভাবনাই জাগে না। এ জন্যই রসুল (সা.) বলেছেন, নামাজের সময় খাবার এলে আগে খাবার খেয়ে তারপর নামাজে দাঁড়াও। ইসলাম এমনই বাস্তবভিত্তিক ধর্ম। গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস ২০২০ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আধপেটা খেতে পায়, ক্ষুধা পেটে রাতে ঘুমাতে যায় ২০১৯ সালে বিশ্বে এমন মানুষের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৫০ লাখ। মহামারীকবলিত পৃথিবীতে এ সংখ্যাটি আরও বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।  অথচ কোরআনের সবকই ছিল ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার। রসুলের (সা.) মিশনই ছিল, না খেয়ে থাকবে না একজন মানুষও। হজরত ওমর (রা.) অভুক্ত কুকুরের কথাও ভাবতেন।  অন্যকে খাওয়ানোর ধর্মীয় গুরুত্ব নিয়ে আজকের আয়োজন।

 

সমাজ ও সভ্যতাকে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে হবে

পবিত্র কোরআন এবং রসুল (সা.)-এর হাদিস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যে কটি কাজ করলে নিশ্চিত জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব, মানুষকে খাবার খাওয়ানো তার একটি। যে সমাজ ও সভ্যতার মানুষ ক্ষুধামুক্ত পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে না, অভুক্ত মানুষকে নিয়ে ভাবে না- কোরআন সরাসরি তাদের জাহান্নামি বলে ঘোষণা করেছে। সুফিদের দৃষ্টিতে জাহান্নাম দুই প্রকার। দুনিয়া ও আখেরাতের আজাব। দুনিয়ার আজাব হলো অশান্ত হৃদয় বা মানসিক অশান্তির জীবন। দেখা যায়, মানুষটির সবই আছে কিন্তু মনে শান্তি নেই। বিত্তশালী অথচ হৃদয়টা খালি খালি। আর আখেরাতের আজাব মানে হলো অনন্তকাল জাহান্নামের দাউ দাউ আগুন। যার শুরু আছে শেষ নেই। শেষ হলে শুরু আবার।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন, যারা মানুষকে খাবার খাওয়ায় না, তারা সরাসরি জাহান্নামি। আল্লাহ বলেন, ‘জাহান্নামিদের জিজ্ঞাসা করা হবে, সব থেকেও কেন তোমরা অশান্তির আগুনে পুড়ছ? তারা বলবে- আমরা নামাজ পড়তাম না। অভাবীদের খাদ্য দিতাম না। (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত ৪২-৪৪)।

মুফাসসিরগণ বলেন, এ আয়াতে একটি সূক্ষ্ম ব্যাপার ইঙ্গিত করেছেন আল্লাহতায়ালা। জাহান্নামি হওয়ার দুটি কারণ। একটি হলো নামাজ না পড়া। অন্যটি হলো মানুষকে খাদ্য না দেওয়া। আয়াতের বর্ণনাভঙ্গিই বলে দেয়, নামাজি মানুষের প্রথম সংগ্রাম হবে ক্ষুধামুক্ত সমাজ গড়া। সমাজে একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না। এ জন্যই হজরত ওমর (রা.) ফোরাতের তীরে হাঁটতেন আর কাঁদতে কাঁদতে বলতেন, আমার সাম্রাজ্যের একটি কুকুরও যদি না খেয়ে মারা যায়, এজন্য আল্লাহর কাঠগড়ায় আমাকেই আসামি হতে হবে।

পবিত্র কোরআনে নামাজের কথা বলার পরপরই জাকাতের কথা বলা হয়েছে। এ থেকেও বোঝা যায়, নামাজি সমাজে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের কোনো চিহ্নও দেখতে চায় না কোরআন। সুরা বাকারায় মুত্তাকির পরিচয় দিতে গিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘এই কিতাব আল্লাহ-সচেতনদের জন্য হেদায়াত বা পথপ্রদর্শক। আল্লাহ-সচেতন তথা মুত্তাকিদের পরিচয় হলো- তারা গায়েবে অর্থাৎ মানুষের সীমাবদ্ধ জ্ঞানে বোধগম্য না হওয়া সত্ত্বেও অদৃশ্য বাস্তবতায় বিশ্বাস করে, নামাজ কায়েম করে, প্রাপ্ত রিজিক থেকে অন্যের জন্য ব্যয় করে অর্থাৎ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার সংগ্রাম করে। (সুরা বাকারা, আয়াত ২-৩)।

যাদের কর্ম ও চিন্তায় ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন নেই, কোরআন সরাসরি তাদের ধর্ম অস্বীকারকারী বলে ঘোষণা করেছে। এ ক্ষেত্রে কোরআন কোনো রাখঢাক করেনি। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! তুমি কি কখনো চিন্তা করেছ, কোন ধরনের লোকেরা ধর্মকে অস্বীকার করে? এ ধরনের লোকেরা এতিমের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে, অভাবগ্রস্তকে অন্নদানে কোনো আগ্রহবোধ করে না এবং অন্যকেও উৎসাহিত করে না। সুতরাং দুর্ভোগ সেই নামাজিদের জন্য, যারা সচেতনভাবেই নামাজে অমনোযোগী, শুধু লোক দেখানোর জন্য নামাজে শামিল হয়। দুর্ভোগ তাদের জন্যও, যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় ছোটখাটো সাহায্য দানেও বিরত থাকে। (সুরা মাউন, আয়াত ১-৬)।

যারা এতিম দরিদ্র শ্রেণিকে নীচু নজরে দেখে, যারা অভাবীদের খাদ্যসংস্থান তথা কর্মসংস্থান সম্পর্কে ভাবে না, উদ্যোগও নেয় না; এমনকি দারিদ্র্য মুক্তির ব্যাপারে অন্য কাউকে উৎসাহ পর্যন্ত দেয় না- এরা যতই নামাজ পড়ুক না কেন, যতই ধর্মকর্ম করুক, তারা আসলে ধর্ম অস্বীকারকারী।

এদের নামাজ কিংবা নির্মিত জমকালো মসজিদ দেখে বিশ্বাসীরা যেন বিভ্রান্ত না হয়। সে জন্য আল্লাহ বলেছেন, এসব নামাজির জন্য দুর্ভোগপূর্ণ জাহান্নাম অপেক্ষা করছে। আসলে এরা মানুষকে দেখানোর জন্য ধর্মকর্ম করে, মসজিদ নির্মাণ করে, নামাজ পড়ে। মূলত এদের আত্মা এতই ছোট যে, নিত্য প্রয়োজনীয় ছোটখাটো সাহায্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও তারা পিছপা হয়ে পড়ে।

 

খাদ্যের বিনিময়ে জান্নাতের গ্যারান্টি দিয়েছেন নবীজি (সা.)

মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার মতো পুণ্য আর নেই। পূর্ববর্তী যুগের এক ভয়ঙ্কর পাপীর ঘটনা বলেছেন রসুল (সা.)। ইমাম বুখারি তাঁর সহি গ্রন্থে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণনা করেছেন হাদিসটি। রসুল (সা.) বলেন, হে আমার সাহাবিরা! তোমাদের এক পাপিষ্ঠ নারীর গল্প শোনাই। জীবনভর পাপে ডুবে ছিল। আল্লাহকে ডাকেনি কোনো দিনও। ধর্মেকর্মে ছিল চরম অনাগ্রহ। নারী হলেও হৃদয় ছিল পাথরের মতো শক্ত। মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে। ফেরেশতারা ধরেই নিয়েছেন, উত্তপ্ত জাহান্নামের লাকড়ি হবে এই নারী। আল্লাহর খেলা বোঝা দায়। মৃত্যুর পর ভয়ঙ্কর এই পাপীই হয়ে গেল জান্নাতের মেহমান। কীভাবে? প্রশ্ন করলেন রসুল (সা.)।

সাহাবিদের অভ্যাস ছিল, জানা সত্ত্বেও খুব একটা উত্তর দিতেন না। বলতেন, আল্লাহ ও তাঁর রসুলই ভালো জানেন। এটা আসলে বিনয়েরই প্রকাশ। শুধু বিনয় না, একজন শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্যও এমনই হওয়া উচিত। নিজের জ্ঞানের বহর না দেখিয়ে শিক্ষক থেকে জেনে নেওয়া। তখনো সাহাবিরা তাই করলেন। বললেন, হে আল্লাহর রসুল! আপনি এবং আপনার প্রভু আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন।

রসুল (সা.) বললেন, একদিন একটি বিড়াল খুব পিপাসার্ত ছিল। নারীটি কুয়ার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। হয়তো পাপ করে এসেছে, অথবা না। পিপাসায় বিড়ালের ঝুলে যাওয়া জিহ্বা দেখে নারীটির মনে দয়ার ফুল ফুটল। কুয়া থেকে পানি তুলে বিড়ালকে পান করাল। বিড়ালের জীবন বেঁচে গেল। আল্লাহর কাছে নারীটির জন্য দোয়া করল। ব্যস! কপাল খুলে গেল তার। মাত্র একটি ভালো আমলের বিনিময়ে আল্লাহ তার সব গোনাহ ক্ষমা করে জান্নাতে জায়গা করে দিলেন।

সুরা বাকারার ১৭৭ নম্বর আয়াতে পুণ্যের পরিচয় দিতে গিয়ে আল্লাহ ইমানের পরই মানুষকে সাহায্যের কথা বলেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘পূর্ব বা পশ্চিমমুখী হওয়ার মধ্যে কোনো পুণ্য নেই। পুণ্য রয়েছে আল্লাহ, আখেরাত, ফেরেশতা, সব কিতাব ও নবীদের ওপর বিশ্বাসে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে আত্মীয়স্বজন, এতিম, মিসকিন, অসহায়, মুসাফির ও সাহায্যপ্রার্থীকে সাহায্য এবং দাসমুক্তির জন্য অর্থদানে। নামাজ কায়েম ও জাকাত আদায়ের মধ্যে। ওয়াদা রক্ষায়। দুঃখকষ্ট, বালা-মুসিবত ও সত্যের পথে যে কোনো দুর্যোগে ধৈর্যধারণ করায়। যারা তা করবে, তারাই প্রকৃত সত্যানুসারী ও আল্লাহ-সচেতন।

সৃষ্টিকে খাবার খাওয়ানো স্রষ্টার কাছে কেন এত প্রিয় কখনো ভেবে দেখেছেন? মুসলিম শরিফে বর্ণিত হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ নিজেই বলেছেন, ‘সব সৃষ্টি আমার পরিবার।’ এ গ্রন্থেরই আরেক হাদিসে আল্লাহ বলেন, ‘মানুষকে খাওয়ানো মানে আমাকেই খাওয়ানো।’ কেয়ামতের দিন আল্লাহ আমাকে-আপনাকে ডেকে বলবেন, হে আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান! ক্ষুধার্ত-অভুক্ত পেটে তোমার দুয়ারে হাত বাড়িয়েছিলাম খাবার পাওয়ার আশায়। তুমি তখন বিরক্ত হয়ে ধমক দিয়ে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলে। এ কথা শুনে আমাদের চোখ কপালে উঠে যাবে। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে বলব, হে পরওয়ারদিগার! আপনি জগতের রিজিকের মালিক! রব্বুল আলামিন! আমি অধম আপনাকে কীভাবে খাওয়াব? তখন আল্লাহ বলবেন, দুনিয়ার জীবনে অভুক্ত মানুষ যখন তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, তাকে খাবার দিলেই আমাকে খাওয়ানো হতো। তখন আমরা আফসোস করে বলব, হায়! সেদিন যদি ওই অভুক্তকে জঞ্জাল ভেবে ধমক দিয়ে বিরক্ত হয়ে তাড়িয়ে না দিতাম!

 

অন্যকে খাওয়ালে নিজের লাভ

অন্যকে খাওয়ালে পরকালীন মুক্তির পাশাপাশি আছে জাগতিক তৃপ্তিও। আজকের এ আধুনিক পুঁজিবাদী বিশ্বের সেরা ধনীরা অবলীলায় স্বীকার করেছেন সে কথা। শিব খেরা নামে একজন বিখ্যাত মোটিভেশনাল লেখক বলেছেন, দুনিয়া কাঁপানো পুঁজিপতিদের সঙ্গে কথা বলে আমি একটি সত্যিই উপলব্ধি করেছি- ‘যারা নেয় তারা খায় ভালো; আর যারা দেয় তারা ঘুমায় ভালো।’ অর্থাৎ দেওয়ার অভ্যাস মানসিক প্রশান্তির চাবিকাঠি- কথাটি আজ আর কোনো থিওরি নয়, চরম বাস্তবতা। বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গের মতো বণিকরা তাদের সম্পত্তির বড় অংশ বিলিয়ে দিচ্ছেন মানবতার কল্যাণে। কেন? মানসিক তৃপ্তি ও আত্মার প্রশান্তির জন্য।

হাদিস শরিফে রসুল (সা.) বলেছেন, আসসাদাকাতু তারুদ্দুল বালা। অর্থাৎ, দান-সদকা বিপদাপদ দূর করে। ঐশী জগতের খেলা বোঝা বড় দায়। দান কীভাবে বিপদ থেকে রক্ষা করে তার একটি উদাহরণ চাক্ষুষ দেখেছেন হজরত মুসা (আ.)। সুরা কাহাফের ৭১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘খিজির (আ.) ও নবী মুসা (আ.) একসঙ্গে যাত্রা শুরু করলেন। তাঁরা পৌঁছলেন সমুদ্রতীরে। সাগর পাড়ি দিয়ে নৌকা থেকে নামার সময় দরবেশ নৌকার তলদেশে ফুটো করে দিলেন। তখন মুসা (আ.) বিস্মিত হয়ে বললেন, আপনি এ কী করলেন? আপনি কি আরোহীসমেত নৌকা ডোবানোর জন্য তলায় ফুটো করলেন? এ তো গুরুতর অন্যায়!

আসলে জ্ঞানী খিজির (আ.) ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ ইলমপ্রাপ্ত। মুফাসসিরগণ লিখেন, নৌকার মাঝি মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর কাছ থেকে কোনো পয়সা নেননি। এ দানের ফলে খিজির (আ.) তার আসন্ন বিপদ দূর করে দিয়েছেন। আর এ জন্য তার নৌকার তলা ফুটো করা জরুরি ছিল। অনেক ক্ষেত্রে ছোট্ট ক্ষতির বিনিময়ে বড় উপকার ভাগ্যে জোটে। মাঝির ক্ষেত্রেও তাই হলো। সে রহস্য খোলাসা করে মুসা (আ.)-এর উদ্দেশে খিজির (আ.) বলেন, নৌকার ব্যাপারটি খুব সহজ। নৌকাটি ছিল কয়েকজন গরিব মানুষের। এ নৌকাই ছিল তাদের জীবিকা অর্জনের উপায়। আমি ইচ্ছা করেই নৌকায় ফুটো করে দিলাম। কারণ আমি জানতাম রাজার বাহিনী পেছনে আসছে।  যারা সমস্ত ভালো নৌকা জোর করে জব্দ করে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে ওদের জীবিকা অর্জনের উপকরণটি রক্ষা পেল। (সুরা কাহাফ, আয়াত ৭৯)।

 

দীর্ঘ জীবন চাইলে দুই হাত ভরে দান করুন

অন্যকে খাওয়ালে আমার লাভ কী? বস্তুবাদী দর্শনে এ প্রশ্ন ওঠতেই পারে। এর জবাবে দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘দান রিজিক ও সম্পদ বাড়ায়।’ (তিরমিজি)। মুসা নবীর এক উম্মতের দুয়ার থেকে আজরাইল (আ.) ফিরে গেছেন দানের কারণেই। আল্লাহ বলেন, আজরাইল! ফিরে এসো। তার হায়াত আরও কয়েক বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজরাইল (আ.) অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, এর রহস্য কী! আল্লাহ বললেন, মাত্রই সে একজন মানুষকে এক মুষ্টি চাল দিয়েছে। (কিমিয়ায়ে সাআদাত)।

বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চিকিৎসকরা যখন ব্যর্থ হয়ে রোগীর বাঁচার আশা ছেড়ে দেন তখন দান-সদকা করলে অলৌকিকভাবে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। আমেরিকায় এমন অনেক মেডিটেশন সেন্টার গড়ে উঠেছে যেখানে বলা হয়, সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনের জন্য নিয়মিত মানবতার কল্যাণে অর্থ ব্যয় করতে হবে।

বাংলাদেশের মেডিটেশন সেন্টারগুলোতেও এর ব্যাপক চর্চা রয়েছে। দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধি থেকে শুরু করে বহু জটিল রোগ থেকে কেবল দানের বরকতে মুক্ত হয়েছে এমন অসংখ্য স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ছড়িয়ে রয়েছে।

 

শ্রেষ্ঠ আমল অন্যকে খাওয়ানো

ইসলামী শরিয়তে ইবাদত দুই প্রকার। আল্লাহ সম্পর্কিত ইবাদত এবং বান্দার হক বিষয়ক ইবাদত। বান্দার হক বিষয়ক ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো- মানুষকে খাওয়ানো। বুখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত হয়েছে, একবার এক সাহাবি রসুল (সা.) এর কাছ এসে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রসুল! ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ইবাদত কোনটি? রসুল (সা.) বললেন, ‘মানুষকে খাবার খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া।’ এ হাদিসের লক্ষণীয় ব্যাপার হলো- অনেকেই মনে করেন, শুধু গরিব-অভাবীকেই খাওয়াতে হবে। কিন্তু আসল ব্যাপার তা নয়। খাওয়ানো এমন এক ইবাদত, একজন সম্ভ্রান্ত ধনীকে এমনকি নিকৃষ্ট পাপীকে খাওয়ালেও তা শ্রেষ্ঠ ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে। অনেক হাদিসেই সাহায্য করার ব্যাপারে কোনো ধরনের শর্তারোপ করেননি রসুল (সা.)। যেমন- মুসলিম শরিফের এক হাদিসে হুজুর (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ ততক্ষণ বান্দার সাহায্যে থাকবে, যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্যে লেগে থাকে।’ একই গ্রন্থের আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যের জন্য ঘর থেকে বের হওয়া মানে সে আল্লাহর পথেই বের হয়েছে। এ অবস্থায় যদি সে মৃত্যুবরণ করে তাহলে সে শহীদ হিসেবে গণ্য হবে। এসব বলে মূলত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন নবীজি (সা.)।

 

অঢেল সম্পদের চাবিকাঠি

নিজের জন্যই করতে হয় দান। দানের অর্থ বহুগুণে ফিরিয়ে দেওয়ার ওয়াদা করেছেন আল্লাহতায়ালা। সুরা বাকারার ২৪৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহকে দানের মাধ্যমে উত্তম ঋণ দাও, আল্লাহ তা বহুগুণে ফিরিয়ে দেবেন। আর দান করতে ভয় পেয়ো না। মনে রেখ, তোমাদের রিজিক ও সম্পদ আল্লাহই কমান এবং বাড়ান। সহায়-সম্পদ রেখে তোমাদের একদিন আল্লাহর কাছেই ফিরে যেতে হবে।’ একই সুরার ২৬১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘যারা নিজেদের ধনসম্পত্তি আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের এ সৎদান এমন একটি শস্যবীজ, যাতে উৎপন্ন হয় সাতটি শিষ আর প্রতিটি শিষে থাকে শত শস্যদানা। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বহুগুণ প্রবৃদ্ধি দান করেন। আল্লাহ অনন্ত প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা কিছু আল্লাহর পথে খরচ কর তিনি তার বিনিময় প্রদান করেন। তিনিই উত্তম রিজিকদাতা। (সুরা সাবা, আয়াত ৩৯)। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির (রহ.) লিখেছেন, ‘যারা আল্লাহর পথে খরচ করে, আল্লাহ তাদের এর বিনিময় দুনিয়া এবং আখেরাত দুই জগতেই দান করেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রতিদিন সকালে দুজন ফেরেশতা আল্লাহর বান্দার কাছে আসে। একজন দোয়া করে, হে আল্লাহ, তোমার পথে দানকারীকে উত্তম বিনিময় দাও। আর দ্বিতীয়জন বলে, হে আল্লাহ, তোমার পথে যারা খরচ করে না তাদের ধন-সম্পদ নিঃশেষ করে দাও (সহি বুখারি)।

 

যদিও অভাবী

‘আল্লাহর পথে দান-সদকার প্রতিযোগিতায় দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ রয়েছে। অভাব-অনটন এবং সম্পদের প্রতি লোভের সময় দান-সদকায় রয়েছে বেশি সওয়াব লাভের ঘোষণা। প্রিয়নবী (সা.) তাঁর উম্মতকে আল্লাহর ক্ষমা লাভ এবং প্রশস্ত জান্নাতের দিকে এগিয়ে যেতে দান-সদকার প্রতিযোগিতা করতে বলেছেন।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, একবার এক লোক রসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রসুল! সবচেয়ে বেশি সওয়াব কোন সদকায়? তিনি বললেন, তুমি এমন অবস্থায় দান করবে যে, তুমি শারীরিকভাবে সুস্থ; ধনসম্পদের প্রতি লোভ আছে; অভাব-অনটনকে ভয় করছ এবং ধনসম্পদের আশাও পোষণ করছ। ওই অবস্থায় এ আশঙ্কায় তুমি দান করার ব্যাপারে এমন কার্পণ্য কর না যে, শেষে মৃত্যুর সময় এসে যায়। আর তখন তুমি এটা ঘোষণা কর যে, এ পরিমাণ অমুকের এবং সে পরিমাণ অমুকের। অথচ অমুকের জন্য সেই মাল আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। (বুখারি ও মুসলিম)।

এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তুমি কি জান ধর্মের দুর্গ কী? ধর্মের দুর্গ অর্থাৎ নেক আমল বা সৎকর্মের সুউচ্চ স্তর হচ্ছে- দাসমুক্তি অর্থাৎ একজন মানুষকে মনোজাগতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অর্থাৎ সব ধরনের দাসত্ব থেকে মুক্ত করা, দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান, নিকটবর্তী এতিম বা ধূলিমলিন মিসকিন-অসহায়কে লালন এবং বিশ্বাসীদের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে পরস্পরকে বিশ্বজনীন মমতা ও সবরে অর্থাৎ পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা ও আত্মসংযমে উদ্বুদ্ধ করা। এরাই সফলকাম। (সুরা বালাদ, আয়াত ১২-১৮)।

 

ভিন্ন ধর্মগ্রন্থে দান

শুধু ইসলাম তথা কোরআন ও হাদিস নয় ঋগ্বেদ, গীতা, বাইবেলেও দানের ব্যাপারে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে। ঋগ্বেদে বলা হয়েছে, ‘নিঃশর্ত দানের জন্য রয়েছে চমৎকার পুরস্কার। তারা লাভ করে আশীর্বাদধন্য দীর্ঘজীবন ও অমরত্ব। (ঋগ্বেদ-১.১২৫.৬)। বাইবেলে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘যখন দান কর গোপনে কর। তোমার নীরব দান সদা প্রভু দেখছেন। তিনি তোমাকে পুরস্কৃত করবেন। (মথি ৬:৩-৪)।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত
রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত

৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

লেবাননের দক্ষিণে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১
লেবাননের দক্ষিণে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার
বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএনপির গণজোয়ারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : নবীউল্লাহ নবী
বিএনপির গণজোয়ারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : নবীউল্লাহ নবী

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএসএফের ছোঁড়া গ্রেনেডে সীমান্তে আতঙ্ক, বিজিবির প্রতিবাদ
বিএসএফের ছোঁড়া গ্রেনেডে সীমান্তে আতঙ্ক, বিজিবির প্রতিবাদ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‌‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি’
‌‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি’

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ
রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নারীর অধিকার ও গণতন্ত্রে ৩১ দফা গুরুত্বপূর্ণ : সেলিমা রহমান
নারীর অধিকার ও গণতন্ত্রে ৩১ দফা গুরুত্বপূর্ণ : সেলিমা রহমান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন
ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে পিঠা উৎসব
বাগেরহাটে পিঠা উৎসব

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা
চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বগুড়ায় ব্যবসায়ী খুন, স্ত্রী ও খালাতো ভাই গ্রেফতার
বগুড়ায় ব্যবসায়ী খুন, স্ত্রী ও খালাতো ভাই গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক
‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি
পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি
ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কবিরহাটে ৬ জন নিহতের ঘটনায় মামলা, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
কবিরহাটে ৬ জন নিহতের ঘটনায় মামলা, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শ্রীমঙ্গলে শিয়ালের কামড়ে আহত ১৬
শ্রীমঙ্গলে শিয়ালের কামড়ে আহত ১৬

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের সুষম বণ্টন জরুরি : তৈয়্যব
গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের সুষম বণ্টন জরুরি : তৈয়্যব

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি
বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন
যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের
বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভোকেশনাল সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে ডিএমপির জরুরি নির্দেশনা
ভোকেশনাল সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে ডিএমপির জরুরি নির্দেশনা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই যোদ্ধারা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে গুণগত পরিবর্তন আসবে
জুলাই যোদ্ধারা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে গুণগত পরিবর্তন আসবে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান
দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেয়েকে যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে বললেন শাহরুখ
মেয়েকে যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে বললেন শাহরুখ

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের
এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প
মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের
আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত
দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল
পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়
নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ
আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি

১০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়
পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি
গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি
যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা

১৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের
৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের

১১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি
বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম
আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল
পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রথম পৃষ্ঠা

দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো
দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর
তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর

প্রথম পৃষ্ঠা

মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ
মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মামদানি কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন?
মামদানি কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন?

পূর্ব-পশ্চিম

কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত

নগর জীবন

জকসু নির্বাচনের তফসিল, ভোট ২২ ডিসেম্বর
জকসু নির্বাচনের তফসিল, ভোট ২২ ডিসেম্বর

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী
স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী

দেশগ্রাম

সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন
সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন

রকমারি নগর পরিক্রমা

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার
ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার

পূর্ব-পশ্চিম

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি

নগর জীবন

অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

দেশগ্রাম

ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর

প্রথম পৃষ্ঠা

টিকটকে প্রেম তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
টিকটকে প্রেম তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০
ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০

পূর্ব-পশ্চিম

নিবন্ধন পেতে ইসির সামনে অনশনে ‘আমজনতা’র তারেক
নিবন্ধন পেতে ইসির সামনে অনশনে ‘আমজনতা’র তারেক

নগর জীবন

নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো ধরনের হুমকি নেই
নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো ধরনের হুমকি নেই

নগর জীবন

সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

নগর জীবন

গণসংহতির ৯৩ আসনে প্রার্থী যারা
গণসংহতির ৯৩ আসনে প্রার্থী যারা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ
পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ

দেশগ্রাম

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল

নগর জীবন

বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত
বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত

নগর জীবন

রাজশাহীতে ১০ মাসে ২৮ জন এইচআইভি পজিটিভ
রাজশাহীতে ১০ মাসে ২৮ জন এইচআইভি পজিটিভ

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক
সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক

পেছনের পৃষ্ঠা

বৃক্ষরোপণ ও পোনা অবমুক্তকরণ
বৃক্ষরোপণ ও পোনা অবমুক্তকরণ

দেশগ্রাম

পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে দুবলার চরে শেষ হলো রাস উৎসব
পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে দুবলার চরে শেষ হলো রাস উৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচারপতিদের বেতনভাতাসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
বিচারপতিদের বেতনভাতাসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

নগর জীবন

বিক্ষোভ মিছিল
বিক্ষোভ মিছিল

পেছনের পৃষ্ঠা